ভারতের শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ছাত্রদের দেওয়া হয়েছে নষ্ট বিরিয়ানি


প্রকাশিত:
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০০:৪০

আপডেট:
২১ এপ্রিল ২০২৫ ০৩:২৬

 

ভারতের শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ছাত্রদের নষ্ট বিরিয়ানি দেওয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনায় পুলিশ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পিপা নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) শিলিগুড়িতে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে সবুজসাথী প্রকল্পে যোগ দেন। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের হাতে সাইকেল তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সব মিলিয়ে এক হাজার ৪০টি সাইকেল দেওয়া হয়েছে।

ভারতের শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ছাত্রদের নষ্ট বিরিয়ানি দেওয়া হয়েছে।ভারতের শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ছাত্রদের নষ্ট বিরিয়ানি দেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠান শেষে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শিক্ষার্থীদের জন্য দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয়। কিন্তু ওই খাবারের প্যাকেট খুলে বমি করে ফেলেন অনেক শিক্ষার্থী। নষ্ট বিরিয়ানি কেউ খেতে পারেনি। তবে যারা এই নষ্ট বিরিয়ানি দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

খাদ্য সরবরাহের দায়িত্ব ছিল অনগ্রসর কল্যাণ দফতরের কর্মকর্তাদের। তারা স্থানীয় বিরিয়ানির দোকান থেকে এক হাজার ২৫০ প্যাকেট বিরিয়ানি অর্ডার করেছিল। বিরিয়ানির দোকানদার জানান, সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তার কাছ থেকে সব বিরিয়ানি নিয়ে যাওয়া হয়।

নষ্ট বিরিয়ানি কেউ খেতে পারেনি।নষ্ট বিরিয়ানি কেউ খেতে পারেনি।

প্রচণ্ড গরমে সারাদিন বিরিয়ানি রাখার পর মঙ্গলবার বিকেলে তা শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবেই বাক্সটি খোলার সঙ্গে সঙ্গে ভেতর থেকে পচা গন্ধ বের হতে থাকে। সেই বিরিয়ানি কেউ খেতে পারেনি। পরে শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক সিনিয়র সাংবাদিক জানান, ওই বিরিয়ানি খেলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। এর আগেও নষ্ট বিরিয়ানি খেয়ে মৃত্যুর একাধিক ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীরা ভুল করে বিরিয়ানি খেয়ে নিলে ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে পারত। যারা এই জঘন্য কাজ করেছে তাদের তিরস্কারও করা হয়নি। পুরো বিষয়টি কার্যত চাপা পড়ে গেছে।

এর আগেও নষ্ট বিরিয়ানি খেয়ে মৃত্যুর একাধিক ঘটনা ঘটেছে।এর আগেও নষ্ট বিরিয়ানি খেয়ে মৃত্যুর একাধিক ঘটনা ঘটেছে।

অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের এক আধিকারিককে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজন সরকারি স্কুলের শিক্ষক জানান, এক দিন ফেলে রাখা বিরিয়ানি হাজারের ওপর বাচ্চাকে দেওয়া হয়েছিল। এটি একটি ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝি নয়। বিপর্যয়কর কিছু ঘটতে পারত।

বিষয়টি দার্জিলিং জেলার জেলা প্রশাসক এস পুনম বালামের নজরেও এসেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top