ট্রুডোকে একহাত নিলেন শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশিত:
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:৩১
আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৫ ২০:৪১

শিখ নেতা হারদীপ সিং হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভারত-কানাডার মধ্য এখন চরম উত্তেজনা চলছে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এরই মধ্যে তলানিতে ঠেকেছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের পক্ষ নিলেন শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি সাবরি।
সোমবার তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসীরা কানাডায় নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পেয়েছে ও প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়াই আপত্তিকর অভিযোগ করেছেন। ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাবরি বলেছেন, ট্রুডোর এমন অভিযোগে আমি অবাক নই। খবর এনডিটিভির।
তারা শ্রীলঙ্কাকে নিয়েও এমন ভয়ানক অভিযোগ করেছিল। শ্রীলঙ্কায় গণহত্যা হয়েছে বলে পুরোপুরি মিথ্যা অভিযোগ করেছিল। সবাই জানে আমাদের দেশে কোনো গণহত্যা হয়নি বলে শ্রীলঙ্কার এই মন্ত্রী। ট্রুডোর গণহত্যা নিয়ে মন্তব্য শ্রীলঙ্কা ও কানাডার সম্পর্কে প্রভাব পড়েছে।
জি-২০ সম্মেলনেই আঁচ পাওয়া যাচ্ছিল কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে সরাসরি কিছু একটা হতে যাচ্ছে। কানাডায় ভারতীয় দূতাবাসের ওপর খালিস্তানপন্থী সমর্থকদের হামলা ও দেশটিতে ভারতবিরোধী কর্মকাণ্ড নিয়ে ট্রুডোকে সরাসরি তার অসন্তুষ্টি কথা জানান মোদি। এরপর ভারত থেকে জাস্টিন ট্রুডো যখন দেশে ফিরলেন সেইসময়ে নির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ না করে কানাডার পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্থগিত করেছে।
ভারতের পক্ষ থেকে তখন জানানো হয়, রাজনৈতিক ইস্যুতে কানাডা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এরপর গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভারতের বিরুদ্ধে সরাসরি প্রথম বিস্ফোরক দাবি করেন ট্রুডো। পার্লামেন্টে সেদিন তিনি বলেন, কানাডার শিখ নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যার পেছনে ভারত সরকারের হাত থাকতে পারে।
কানাডার হাউজ অব কমন্সের সভায় ট্রুডো বলেন, কানাডার গোয়েন্দা সংস্থা হারদীপ হত্যার সঙ্গে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতার ‘বিশ্বাসযোগ্য’ প্রমাণ খুঁজে পেয়েছে। ট্রুডোর এমন দাবির পরেই কানাডা ভারতীয় এক শীর্ষ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে।
অন্যদিকে ট্রুডোর এমন মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় ভারত। তারাও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে কানাডার একজন কূটনীতিককে বহিষ্কার করে। এতেই ক্ষ্রান্ত হয়নি ভারত, কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়া স্থগিত করেছে। সেই সঙ্গে ভারতে কানাডার কূটনীতিকদের সংখ্যা কমাতে হবে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: