সিডনী শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


চলে গেলেন সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি রোজালিন কার্টার


প্রকাশিত:
২০ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:১১

আপডেট:
১৮ মে ২০২৪ ১০:১৬

 

প্রাক্তন মার্কিন ফার্স্ট লেডি রোজালিন কার্টার ৯৬ বছর বয়সে মারা গেছেন। তিনি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের স্ত্রী। তাঁর মৃত্যুতে কার্টার সেন্টার একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে মৃত্যুর সময় পরিবারের সবাই তাঁর পাশেই ছিলেন।


রোজালিন কার্টার চলতি বছরের মে মাসে ডিমেনশিয়া (স্মৃতিভ্রম) রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
গত শুক্রবার থেকে তিনি জর্জিয়ায় ‘হসপিস কেয়ার (নার্সদের সাহায্যে বাসায় সেবা প্রদান)’-এ ছিলেন। ৯৯ বছর বয়সী স্বামী জিমি কার্টারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন রোজালিন। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারও গত ফেব্রুয়ারি থেকে হসপিস কেয়ার-এ রয়েছেন।


এই দম্পতি জুলাই মাসে তাদের ৭৭ তম বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছেন।
এক বিবৃতিতে প্রাক্তন মার্কিন জিমি কার্টার বলেছেন, ‘আমি যা কিছু করেছি তাতে রোজালিনকে সবসময় আমার পাশে পেয়েছি। আমাকে প্রয়োজনে নানা ধরনের নির্দেশনা এবং উৎসাহ দিয়েছেন। যতদিন রোজালিন পৃথিবীতে ছিলেন, আমি সবসময় জানতাম কেউ আমাকে ভালবাসে এবং সমর্থন করে।


’১৮ আগস্ট ১৯২৭ সালে এলেনর রোজালিন স্মিথ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ৭ জুলাই ১৯৪৬ সালে জিমি কার্টারকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির চারটি সন্তান রয়েছে। কার্টারের ছেলে চিপ তাকে একজন স্নেহময়ী মা, অসাধারণ ফার্স্ট লেডি এবং একজন মহান মানবতাবাদী হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘তাঁকে কেবল আমাদের পরিবারই নয়, অনেক মানুষই খুব বেশি মিস করবেন।


’ডেমোক্র্যাট নেতা জিমি কার্টার ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৯তম প্রেসিডেন্ট। ১৯৬০-এর দশকে তিনি রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। প্রথমে জর্জিয়ার অঙ্গরাজ্যের সিনেটর, গভর্নর এবং পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এদিকে তাঁর স্ত্রী রোজালিন কার্টার মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে এবং মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন।

ওয়াশিংটন ত্যাগ করার পর রোজালিন এবং তাঁর স্বামী জিমি ১৯৮২ সালে ‘কার্টার সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করেন। যার মাধ্যমে তিনি মানসিক স্বাস্থ্য, শৈশবকালীন টিকাদান এবং অন্যান্য মানবিক কারণে অ্যাডভোকেসি কাজ করতেন তাঁরা। ২০০২ সালে জিমি কার্টারকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হলে তাঁরা তাদের মানবিক কাজের জন্য স্বীকৃতি পায়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রোজালিন কার্টারকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন, ‘তিনি নিজের পথে হেঁটেছেন, সেই পথ ধরে একটি জাতি ও বিশ্বকে অনুপ্রাণিত করেছেন।’

প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা বলেছেন, ‘যখন আমাদের পরিবার হোয়াইট হাউসে ছিল প্রায়ই রোজালিন আমার সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিতেন। তিনি নানা পরামর্শ দিয়ে সর্বদা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন। তিনি আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন ফার্স্ট লেডির ভূমিকাটিকে আমার নিজের করে নেওয়ার জন্য, ঠিক তাঁর মতোই। আমি সবসময় তাঁর সমর্থন এবং উদারতার জন্য কৃতজ্ঞ থাকব।’

প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি লরা বুশ বলেছেন, রোজলিন কার্টার ছিলেন শক্তিশালী নারী। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর সবচেয়ে দীর্ঘজীবী সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top