সিডনী মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৪, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩১


চীন পরিচালিত পাকিস্তানের সমুদ্র বন্দরে হামলা, নিহত ৮


প্রকাশিত:
২২ মার্চ ২০২৪ ১৭:১০

আপডেট:
৩০ এপ্রিল ২০২৪ ০৬:৫৪


পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের গোয়াদর সমুদ্র বন্দর কর্তৃপক্ষ কমপ্লেক্সে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। হামলা চালানোর সময় নিরাপত্তা বাহিনীর পালটা হামলায় আট সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এ সময় সেনাবাহিনীর এক সদস্য নিহত হন।

বুধবার (২০ মার্চ) এ হামলার ঘটনা ঘটে। প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সারফরাজ বাগতি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ হামলার দায় স্বীকার করেছে দ্য বালুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। খবর আরব নিউজ, হিন্দুস্তান টাইমস ও এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।

এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আতঙ্ক ছড়াতে থাকে ক্রমশ।

বাগতি এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন, ‘আট জঙ্গি আজ গোয়াদর বন্দর কর্তৃপক্ষ কমপ্লেক্সে হামলার চেষ্টা করেছিল। তাদের সবাইকে নিরাপত্তা বাহিনী নিষ্ক্রিয় করেছে। বার্তাটি জোরালো এবং পরিষ্কার। যারা হিংস্রতার পথ ধরবে তারা রাষ্ট্রের কাছ থেকে কোনো করুণা পাবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সব সাহসী জওয়ানদের কুর্নিশ, যারা আজ পাকিস্তানের জন্য সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছেন।’

জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, গোলাগুলির আগে একটি বিস্ফোরণ ঘটে।

সশস্ত্র বালুচ সন্ত্রাসীরা গোয়াদারের বন্দর কর্তৃপক্ষ কমপ্লেক্সে ঢুকে গুলি চালাতে শুরু করে।

প্রদেশটির মাকরানের কমিশনার সাঈদ আহমেদ উমরানি সংবাদমাধ্যম ডনকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে ব্যাপকভাবে মোতায়েন করা হয়েছে।

এক্সপ্রেস ট্রিবিউন পত্রিকা জানিয়েছে, কমপ্লেক্সে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় সব হামলাকারীকে নিষ্ক্রিয় করা হয়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) সঙ্গে যুক্ত মজিদ ব্রিগেড এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সন্ত্রাসবাদ দৃঢ়ভাবে নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দেওয়ার পর এ হামলা হলো। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, তার সরকার কোনো ধরনের আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস সহ্য করবে না।

গোয়াদর বন্দরটি চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের (সিপিইসি) জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যার মধ্যে বহু বিলিয়ন সড়ক ও শক্তি প্রকল্প রয়েছে এবং এটি চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) একটি অংশ।

বিআরআইয়ের অধীনে চীন খনিজ সমৃদ্ধ বেলুচিস্তানে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করেছে এবং বেলুচিস্তানের ঐতিহাসিকভাবে নানা ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা ও বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহ সত্ত্বেও গোয়াদরের বিকাশ করেছে।

বিএলএ, একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী, বেলুচিস্তানে চীনের বিনিয়োগের বিরোধিতা করে এবং চীন ও পাকিস্তান উভয়কেই প্রদেশের প্রচুর সম্পদ শোষণের জন্য অভিযুক্ত করে।

বেলুচিস্তানের সঙ্গে ইরান ও আফগানিস্তানের সীমান্ত রয়েছে বলে খবর। আর আচমকাই বন্দর কর্তৃপক্ষের কমপ্লেক্সে গুলির লড়াই। তবে বিস্ফোরণ হয়েছে বলেও খবর। সব মিলিয়ে আটজন জঙ্গি মারা গিয়েছে বলে খবর। তবে অনেকের মতে, পাকিস্তানে জঙ্গি হানার একাধিক ঘটনা অতীতে হয়েছে। ফের সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top