সিডনী শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


ক্ষমা চেয়েও পার পেলেন না রামদেব, ‘শেষ সুযোগ’ দিলো সুপ্রিম কোর্ট


প্রকাশিত:
২ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:১৭

আপডেট:
৩ মে ২০২৪ ১৪:২৬

 

নিজে সুপ্রিম কোর্টে হাজির হয়ে ক্ষমা চেয়েও পার পেলেন না ভারতের যোগগুরু বাবা রামদেব। পতঞ্জলির বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন মামলায় শীর্ষ আদালতে তুমুল ভর্ৎসিত হলেন তিনি। এমনকি আদালতে মিথ্যা কথা বলায় রামদেব এবং পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আচার্য বালাকৃষ্ণনের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করারও হুঁশিয়ারি দেয় শীর্ষ আদালত।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করে অ্যালোপ্যাথি ওষুধের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করায় যে দু’জনকে আদালত অবমাননার নোটিশ জারি করেছিল। শেষপর্যন্ত এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের নতুন করে হলফনামা পেশের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লার ডিভিশন বেঞ্চ। তবে সেটা যে শেষ সুযোগ হতে চলেছে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।


আগামী ১০ মার্চ যখন মামলার ফের শুনানি হবে, তখন তাদের দু’জনকেই আদালতে হাজির থাকারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেইসাথে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) শীর্ষ আদালত মন্তব্য করে যে যখন পতঞ্জলি চারদিকে গিয়ে বলছিল যে কোভিড সারাতে পারবে না অ্যালোপ্যাথি, তখন কেন সরকার চোখ বন্ধ করে রেখেছিল, সেটা ভাবনার বিষয়।


মঙ্গলবার পতঞ্জলি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে যা হলো
গত ১৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশমতো মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে হাজিরা দেন রামদেব এবং পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বালাকৃষ্ণন। পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেডের দাখিল করা হলফনামার গা-ছাড়া মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তোলে শীর্ষ আদালত। তুমুল ভর্ৎসনা করে পতঞ্জলিকে। ওই সংস্থার পক্ষ থেকে যে যুক্তি দর্শানো হয়, তাতে চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট।


পতঞ্জলির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সুপ্রিম কোর্ট যে ওই ধরনের বিজ্ঞাপন দেখাতে বারণ করে দিয়েছে, সেই বিষয়ে জানত না পতঞ্জলির মিডিয়া উইং।

তারপর বিচারপতি কোহলি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, এটা যদি সমর্থনযোগ্য না হয়, তাহলে কখনোই পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের ক্ষমাপ্রার্থনা কাজে দেবে না। অনেকটা কড়া ভাষায় তিনি বলেন, ‘আমরা বলতে পারি যে এই আদালতে কী হচ্ছে, সেটা (পতঞ্জলির) মিডিয়া উইং জানে না বলে যে যুক্তি পেশ করা হচ্ছে, সেটা গ্রহণ করতে চাইছি না আমরা।’


সেই রেশ ধরে পতঞ্জলির ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি আমানুল্লাও।


তবে সেখানেই পতঞ্জলির বিপদ শেষ হয়নি। শুনানির সময় শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ জানায় যে পতঞ্জলি আদালতে মিথ্যা কথা বলেছে বলে মনে হচ্ছে। বিচারপতি কোহলি বলেন, ‘আপনারা বলছেন যে নথিপত্র দেয়া হয়েছে। কিন্তু এসব নথিপত্র পরে তৈরি করা হয়েছে। এটা স্পষ্টতই আদালতে মিথ্যা বলার মামলা।’


সেইসাথে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন সম্প্রচার করা নিয়ে শীর্ষ আদালতের সতর্কবার্তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রামদেব যেভাবে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন, তা নিয়েও পতঞ্জতলিকে তুলোধোনা করেছে বিচারপতি কোহলি এবং বিচারপতি আমানুল্লার বেঞ্চ।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top