সিডনী রবিবার, ৩০শে জুন ২০২৪, ১৬ই আষাঢ় ১৪৩১


বেনজীর আহমেদের ৭টি পাসপোর্টের সন্ধান পেয়েছে দুদক


প্রকাশিত:
২৬ জুন ২০২৪ ১৪:৩৯

আপডেট:
৩০ জুন ২০২৪ ২৩:১১


পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের ৭টি পাসপোর্টের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের আট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সাবেক এ আইজিপির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি পাসপোর্টে আড়াল করেছেন তার পুলিশ পরিচয়। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তিনি সরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে নীল রঙের অফিশিয়াল পাসপোর্ট ব্যবহার করেননি। আবার সুযোগ থাকার পরও নেননি লাল পাসপোর্ট। এমনকী বেসরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে সাধারণ পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রেও আশ্রয় নিয়েছেন নজিরবিহীন জালিয়াতির।

তবে নবায়নের সময় ধরা পড়লে নবায়ন কার্যক্রম আটকে দেয় পাসপোর্ট অধিদফতর। ওই সময় তিনি র‌্যাবের মহাপরিচালক থাকায় চিঠি দেওয়া হয় র‌্যাব সদর দপ্তরে। তবে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে ম্যানেজ করেন সবকিছু। পাসপোর্ট অফিসে না গিয়েই নেন বিশেষ সুবিধাও এমন তথ্য উঠে এসেছে।

সম্প্রতি দেশের বেশ কিছু গণমাধ্যমে পুলিশের সাবেক এ মহাপরিদর্শকের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এ সময় তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে একটি কমিটিও গঠন করে দুদক।

দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে এখন পর্যন্ত তিন দফায় বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোক ও ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতের আদেশে তার জব্দ করা সম্পত্তি নেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রের হেফাজতে।

এদিকে বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে দুদক থেকে দুই দফা তলব করা হলেও তাঁরা সংস্থাটির ডাকে হাজির হননি। তবে তারা হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে লিখিত বক্তব্য পাঠিয়েছেন।

একের পর এক অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠলে গত মে মাসের শুরুতেই বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যরা দেশ ছাড়েন।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top