সিডনী রবিবার, ২৮শে এপ্রিল ২০২৪, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১


নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকার থেকে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত:
১৪ অক্টোবর ২০১৯ ০০:৫১

আপডেট:
২৮ এপ্রিল ২০২৪ ২২:০৯

নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকার থেকে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বাজেটে একশ’ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘যেখানে নদী ভাঙন হবে, সেখানেই ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।’ রবিবার (১৩ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।



এসময় প্রধানমন্ত্রী ৬৪ জেলায় ১১ হাজার ৬০৪টি দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি ও ১৪ জেলায় ১০০টি আশ্রয়কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।



প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নদীগুলোতে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে আমরা সেগুলো ড্রজিং করছি। তাছাড়া ভাঙন রোধে নদীশাসন ও বাঁধ দেওয়ার কাজ চলছে।’ আমরা যখনই সরকারে এসেছি, দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিয়েছি। দুর্যোগের সময় প্রতিবন্ধীদের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে বিষয়ে আমরা সজাগ রয়েছি।



প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেপালে ভূমিকম্পের সময় আমরা তাদের সৈয়দপুর এয়ারপোর্টটি ব্যবহার করতে দিই। প্রতিবেশী দেশগুলো দুর্যোগের সময় এই বিমানবন্দরটি ব্যবহার করতে পারবে। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে একে অপরকে সহযোগিতা করা আমাদের দায়িত্ব।



প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ আশির দশকে কৃষক লীগের মাধ্যমে সারাদেশে পহেলা আষাঢ় থেকে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নেয়। প্রত্যেকে যেন একটি করে গাছ লাগান সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়। বনভূমি বৃদ্ধিতে উপকূলীয় এলাকায় সবুজ বেষ্টনী তৈরি করা আমাদের লক্ষ্য। চট্টগ্রামের ঝাউবন তৈরির ফলে বিশাল এলাকা জলোচ্ছ্বাসের কবল থেকে রক্ষা পায়। এছাড়া বনভূমি সৃষ্টিতে হেলিকপ্টারে করে আমরা পাহাড় অঞ্চলে বীজ ছিটিয়ে দিয়েছিলাম।



দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ রোল মডেল’



বিশ্বে বাংলাদেশ এখন শুধু উন্নয়নের রোল মডেল নয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায়ও রোল মডেল। বাংলাদেশ দুর্যোগের দেশ। দুর্যোগের সঙ্গেই বসবাস করতে হবে। কিন্তু মানুষের যাতে ক্ষতি কম হয়, মানুষ যাতে বাঁচে সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। এসময় দেশের উপকূলীয় এলাকায় সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে বৃক্ষ রূপণের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।



প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে যে বিশাল ঝাউবন। এই ঝাউবনটি কিন্তু জাতির পিতার নির্দেশে তৈরি করা হয়েছিল। ঠিক এভাবে উপকূল অঞ্চলে জলোচ্ছ্বাস মোকাবেলা করার জন্য বৃক্ষ রূপণ করা হবে।'



প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশ একটি ব-দ্বিপ। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যে ক্ষতি হচ্ছে তা মোকাবেলায় আমরা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়েছি। আমাদের শিশু কিশোরদের ভবিষ্যৎ সুন্দর করতে আমাদের সরকার কাজ করছে।'


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top