আবারও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম,শীতের সবজির দামও চড়া
প্রকাশিত:
৪ জানুয়ারী ২০২০ ২৩:১৭
আপডেট:
৫ জানুয়ারী ২০২০ ২২:৫৩

প্রভাত ফেরী: শীতের সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও রাজধানীর বাজারগুলোতে সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরণের সবজির দাম বেড়েছে। ফলে বেশ কিছুদিন ধরে যে সবজির দাম ক্রেতাদের স্বস্তি দিচ্ছিল, তাই হঠাৎ করে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে রাজধানীর বাজারগুলোয় পেঁয়াজের দাম আবারও বেড়েছে। অপরদিকে ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে সবজির বাজার। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকার মতো। বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়লেও কোনো সবজির দাম কমেনি, বরং কিছু সবজির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে। বাজারে মুলা ছাড়া প্রতিটি সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে পাঁচ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। সবজির সঙ্গে বেড়েছে সব ধরনের শাকের দাম।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও অঞ্চলের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাজধানীর কাঁচাবাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম এমন লাফিয়ে বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে নতুন দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। এ কারণে আবারও দাম বেড়েছে।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী নোয়াব আলী বলেন, চাষিরা বাড়তি দামের কারণে আগেই তোলা শুরু করায় এখন দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। এ কারণে দাম বেড়েছে। পরিস্থিতির সামনে হয়তো পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে।
খিলগাঁওয়ে ব্যবসায়ী রুবেল মিয়া বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে আমরা নতুন দেশি পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা বিক্রি করেছি। কিন্তু এখন শ্যামবাজারেই পেঁয়াজের কেজি পড়েছে ১২০ টাকা। এ পেঁয়াজ এনে ১৪০ টাকার নিচে বিক্রি করা সম্ভব না। পাইকারিতে দাম কমলে আমরা আবার পেঁয়াজের দাম কমিয়ে দেব।
এদিকে পেঁয়াজের বাড়তি ঝাঁজের মধ্যে স্বস্তি দিচ্ছে না সবজির দামও। গত সপ্তাহের মতো বাজার ও মানভেদে করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা। দেশি পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা। আর আমদানি করা পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। সবজিভেদে কেজিপ্রতি ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে শিম (কালো) বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, শিম (সাদা) ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৮০ টাকা, নতুন আলু ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, পটোল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঝিঙা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
তবে অপরিবর্তিত আছে কাঁচামরিচের দাম। কাঁচামরিচ বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেড়ে আকারভেদে প্রতি পিস বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ফুলকপি ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, লাউ ৪০ থেকে ৬০ টাকায়।
এসব বাজারে দাম বেড়ে আটি প্রতি কচুশাক পাঁচ থেকে সাত টাকা, লালশাক ১০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, পালংশাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, পুঁইশাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, লাউশাক ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: