সিডনী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৫ই বৈশাখ ১৪৩১


বঙ্গবন্ধুর মশাল নিয়েই চলতে চাই: মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত:
১১ জানুয়ারী ২০২০ ২২:২১

আপডেট:
১২ জানুয়ারী ২০২০ ০৪:৪২

তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার সূচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ফিরে বিজয়ের যে ‘আলোকবর্তিকা’ তুলে দিয়েছেন, তা নিয়েই পথচলার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার সূচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রত্যয়ের কথা তুলে ধরেন।

তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার সূচনা অনুষ্ঠানে মুজিববর্ষের লগো উদ্বােধন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে বিজয়ের আলোকবর্তিকা তিনি আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন, সে মশাল নিয়েই আমরা আগামী দিনে চলতে চাই। বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে চাই। ৪৮ বছর আগের এদিনে জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ঘটনাপ্রবাহের প্রতীকী মঞ্চায়ন করা হয় ক্ষণগণনার শুরুর আয়োজনে। আয়োজকদের ধন্যবাদ দিয়ে ১৯৭২ সালের সে দিনের ঘটনাপ্রবাহে ফিরে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে মুজিববর্ষের ক্ষণগননা উদ্বােধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

তিনি বলেন, সেদিনটিতে আমরা হয়তো বিমানবন্দরে আসতে পারিনি, তখন আমার বাচ্চাটি ছোট ছিল, আমরা এমন অবস্থায় ছিলাম। কিন্তু আমার মনে পড়ে মা সর্বক্ষণ একটি রেডিও নিয়ে বসেছিলেন, ধারাবাহিক বিবরণ শুনছিলেন, আমরা পাশে বসে সারাক্ষণ ধারা বিবরণী শুনছিলাম।

জনগণের প্রতি বাবার গভীর ভালোবাসার কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বলেন, আমার মনে পড়ে, তিনি কিন্তু বাংলার মাটিতে নেমে আমাদের কথা ভাবেননি, পরিবারের কথা ভাবেননি। তিনি চলে গিয়েছিলেন রেসকোর্স ময়দানে তার প্রিয় জনগণের কাছে, তার প্রিয় মানুষগুলোর কাছেই তিনি সর্বপ্রথম পৌঁছে যান। তারপর আমরা তাকে পাই। তিনি এ দেশের মানুষকে গভীরভাবে ভালোবেসেছেন। চেয়েছিলেন এ দেশের মানুষ সুন্দর জীবন পাবে।

তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে মুজিববর্ষের ক্ষণগননা অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে আসার প্রতীকী রুপ

এ প্রেক্ষাপটে কবিগুরুর ‘বঙ্গমাতা’ কবিতার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন ‘সাত কোটি সন্তানে রে, হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালি করে, মানুষ করনি’। তারই উত্তর (বঙ্গবন্ধু) দিয়েছিলেন এই ১০ জানুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে। জাতির পিতা বলেছিলেন, কবি গুরু দেখে যান আপনার সাত কোটি বাঙালি আজ মানুষ হয়েছে, তারা যুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছে।

তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে মুজিববর্ষের ক্ষণগননা অনুষ্ঠানে অশ্রুসিক্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে সম্মানের সঙ্গে চলার প্রত্যয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাঝখানে একটা কালো অধ্যায় আমাদের জীবন থেকে চলে গেছে, সেই কালো অধ্যায় যেন আর কোনো দিন আমাদের দেশের মানুষের ওপর ছায়া ফেলতে না পারে। আমাদের দেশের মানুষ যেন জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলে। এ বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে পারে, সেই কামনা করে ক্ষণগণনার শুভ সূচনা ঘোষণা করছি।

 বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে আসার প্রতীকী রুপে প্রধানমন্ত্রীসহ সবাই দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানান

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, চলুন আজকের দিনে আমরা সেই প্রত্যয় নিই যে, এই বাংলাদেশ কারও কাছে মাথানত করে না, বাংলাদেশ এবং বাঙালি জাতি মাথা উঁচু করে বিশ্বে চলবে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন সেই সোনার বাংলা ইনশাআল্লাহ আমরা গড়ে তুলব।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top