পুঁজিবাজারে আস্থা ফিরছে না


প্রকাশিত:
২৪ মে ২০১৯ ০৭:২৩

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৫ ০৩:৫২

পুঁজিবাজারে আস্থা ফিরছে না

লেনদেন তলানীতে নেমে আসছে। মূল্যসূচক একদিন বাড়ছে, তো পাঁচ দিন পড়ছে। কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে।



সবাই প্রত্যাশা করেছিল ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের পর নতুন সরকার আসলে বাজার ভালো হবে; তেমনটা লক্ষ্যও করা গিয়েছিল। প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়ে ৫ হাজার ৯০০ পয়েন্টে উঠেছিল। লেনদেনও এক হাজার ৩০০ কোটি টাকায় গিয়ে ঠেকেছিল।



কিন্তু ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক জানুয়ারি-জুন মেয়াদের মুদ্রানীতি ঘোষণার পর থেকেই বাজার উল্টোপথে হাটতে শুরু করে। সূচক কমতে কমতে ৫ হাজার ২৫০ পয়েন্টে নেমে এসেছে। লেনদেন নেমে এসেছে ৩০০ কোটি টাকার ঘরে।



বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ফের হতাশা ফিরে এসেছে। অব্যাহত দরপতনের প্রতিবাদে মতিঝিলে ডিএসই ভবনের সামনে বিক্ষোভ-মানবন্ধন করেছেন ছোট বিনিয়োগকারীরা।



এ পরিস্থিতিতে বাজারের দরপতন ঠেকাতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিএসইসি, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান-সংগঠন বিভিন্ন ধরনের ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে।



এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালও পুঁজিবাজার নিয়ে ইতিবাচক বক্তব্য দিয়েছেন। তারপরও বাজার ভালো হচ্ছে না; স্বাভাবিক হচ্ছে না।

গত কয়েক দিনের বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১৬ মে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগের সুযোগ বাড়ানো সংক্রান্ত সার্কুলার জারির পর চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার বাজারে উল্লম্ফন ঘটে। ঐ ডিএসইএক্স ১০৫ পয়েন্ট বাড়ে। কিন্তু পরের দিনই বাজারে বড় পতন হয়। মঙ্গলবারও সূচক পড়ে, লেনদেন নেমে আসে ৩০০ কোটি টাকার নীচে। বুধবার সূচক কিছুটা বাড়লেও বৃহস্পতিবার কমে সপ্তাহ শেষ হয়েছে।



 বৃহস্পতিবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দশমিক ৩৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ২৫০ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে।

চট্টগ্র্ম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসপিআই ১ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৬ হাজার ৪১ দশমিক ০৮ পয়েন্টে।



বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৩১৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা বুধবারের তুলনায় ২৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা বেশি। বুধবার ডিএসইতে লেনদেন ছিল ২৯০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।



লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩৪০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৯টির, কমেছে ১৬৪টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৭টি কোম্পানির শেয়ার দর।



ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্য সূচক দশমিক ৩৪ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৫০ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৩ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ১৯২ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ ২ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৮৩২ পয়েন্টে।



অন্যদিকে সিএসইতে ১৮ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এই লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বেশি।



লেনদেন হয়েছে ২৪৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৬ টির, কমেছে ১১২ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬ টির।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top