জেনারেশন্স অব মেলোডিজ: অস্ট্রেলিয়ায় নকীব খানের গোল্ডেন জুবিলি ও তাহসান খানের বিদায়ের আবেগঘন মঞ্চ


প্রকাশিত:
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:৩৫

আপডেট:
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:৩২

ছবি : সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশি প্রবাসীরা ইতিহাসের সাক্ষী হলো, যখন আইকনিক ট্রেড অস্ট্রেলিয়া গর্বের সাথে আয়োজন করলো দুই মহারথীর সঙ্গীতানুষ্ঠান জেনারেশন্স অব মেলোডিজ, যেখানে মঞ্চ মাতালেন কিংবদন্তি শিল্পী নকীব খান ও তাহসান খান। এই আয়োজনে টাইটেল স্পনসর হিসেবে ছিলো লুমিনেজ ও পাওয়ার্ড বাই ছিলো ফাস্ট সেটেল।

আইকনিক এর প্রথম আয়োজন ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সিডনিতে, এবং দ্বিতীওটি ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ মেলবোর্নে, যা শেষ হয় এক তাহসানের আবেগঘন বিদায়ের মাধ্যমে। দুটি শহরের দর্শকরা সঙ্গীতের সোনালি স্মৃতি, উদযাপন ও আবেগের মিশ্রণে গভীরভাবে আলোড়িত হয়েছিলেন।

এই কনসার্টে বিশেষভাবে সম্মান জানানো হয় নকীব খানের ৫০ বছরের সঙ্গীত যাত্রাকে—যা তাকে বাংলাদেশি সঙ্গীত ইতিহাসের এক অনন্য আইকনে পরিণত করেছে। 

ব্যান্ড রেনেসাঁ দিয়ে শুরু করে পাঁচ দশকের অগণিত কালজয়ী সৃষ্টিতে নকীবের গোল্ডেন জুবিলি কেবল একটি কনসার্ট নয়—এটি ছিল এক সাংস্কৃতিক কিংবদন্তিকে উদযাপনের স্মরণীয় মুহূর্ত, যার গান প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে ছুঁয়ে গেছে।

অন্যদিকে, মেলবোর্নে দর্শকরা প্রত্যক্ষ করলেন এক আবেগঘন বিদায়। তাহসান খান তার সঙ্গীত জীবনের ২৫ বছর পূর্ণ করে ঘোষণা দেন সঙ্গীত থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের। অনুষ্ঠানের শেষ প্রহরে তাহসান জানালেন তিনি তার সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছেন, যা ছিল তার চূড়ান্ত বিদায়ের প্রতীক।

শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিতে গিয়ে তাহসানের কণ্ঠ ভারী হয়ে ওঠে, তিনি চোখ মুছলেন আবেগে। পুরো হল নীরব হয়ে যায়, আর দর্শকদের অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন—তাদের প্রিয় শিল্পীর বিদায় মুহূর্ত ভাগাভাগি করে নিতে। অস্ট্রেলিয়ার ভক্তদের জন্য এটি ছিল মিশ্র অনুভূতির: তাহসানের সিলভার জুবিলির আনন্দ, আবার একই সঙ্গে চিরবিদায়ের বেদনা।

হয়তো তাহসানের সংগীত নিয়ে আর কখনোই অস্ট্রেলিয়ায় আসা হবে না । তবু রেখে গেলেন এক ঐতিহ্য—অসংখ্য হৃদয়স্পর্শী গান, অনন্য মঞ্চ উপস্থিতি এবং ভক্তদের সাথে এমন এক বন্ধন যা তার শেষ সুর ম্লান হয়ে যাওয়ার পরও বেঁচে থাকবে।

এই মহোৎসব সম্ভব হয়েছে আইকনিক ট্রেড অস্ট্রেলিয়ার সিইও মোশারফ হোসেন রেহান এর নেতৃত্বে আয়োজক দলের অক্লান্ত পরিশ্রমে। তিনি মেলবোর্ন রাতটিকে বর্ণনা করেছেন—“আমাদের সাংস্কৃতিক ক্যালেন্ডারের এক অসাধারণ ও অবিস্মরণীয় মুহূর্ত” হিসেবে। রেহান আরও জানান সরাসরি তাহসানের সাথে আলাপ করে নিশ্চিত হয়েছেন তাহসানের গানে ফিরবার আর সম্ভাবনা নেই।

জনপ্রিয় শিল্পীদের এই নিবেদিত প্রয়াসে, আইকনিক ট্রেড অস্ট্রেলিয়া এমন এক মঞ্চ তৈরি করলো যেখানে দুটি ইতিহাস একসাথে যুক্ত হলো—নকীব খানের গোল্ডেন জুবিলি এবং তাহসান খানের সিলভার জুবিলি বিদায়। এই স্মৃতি আগামী অনেক বছর ধরে মনে রাখবে প্রবাসী বাংলাদেশি সমাজ।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top