চামড়া কিনতে ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ
প্রকাশিত:
৭ আগস্ট ২০১৯ ২৩:৪৯
আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৫ ০৩:৩১

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: গতবারের চেয়ে এবার কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া কিনতে বেশি টাকা দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। এবার প্রায় ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক সোনালী, অগ্রণী, জনতা ও রূপালী ব্যাংক। এর বাইরে বেসরকারি খাতের উত্তরা, ন্যাশনালসহ আরও কয়েকটি ব্যাংক চামড়া খাতে ঋণ দিচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে এর পরিমাণ জানা যায়নি।
চামড়া খাতে দেয়া ঋণ সহজে আদায় হয় না। তারপরও শিল্পের স্বার্থে কোরবানির পশুর চামড়া কিনতে এবার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক। কোরবানির পশুর চামড়া কিনতে প্রতিবছর স্বল্পমেয়াদি ঋণ দেয় সরকারি সোনালী, জনতা, রূপালী ও অগ্রণী ব্যাংক।
ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, চামড়াশিল্পের স্বার্থে কাঁচা চামড়া সংগ্রহে স্বল্পমেয়াদি ঋণ দেয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। যার সিংহভাগই দিয়ে থাকে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, রূপালী ও অগ্রণী ব্যাংক। প্রতিবছর ঈদুল-আজহার আগে এ ঋণ দেয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী যারা আগের বছরের ঋণ পুরোপুরি শোধ করে শুধু তারাই এ ঋণ পায়। তবে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের বিবেচনায় অনেক প্রতিষ্ঠান ঋণ দিয়ে থাকে।
ব্যাংকগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবারও কাঁচা চামড়া কিনতে ঋণ দিচ্ছে জনতা ব্যাংক। এ বছর ২০০ কোটি টাকা নতুন ঋণ দেবে ব্যাংকটি।
এ বিষয়ে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ গণমাধ্যমকে বলেন, এবার ১২টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ২০০ কোটি টাকা ঋণ দেবে বলে ঠিক করা হয়েছে। গত বছর ৩২ প্রতিষ্ঠানকে ২০৫ কোটি টাকার ঋণ দেয়া হয়েছিল। গতবার যারা খেলাপি হয়েছে এবার তাদের ঋণ দেয়া হবে না বলেও তিনি জানান।
এছাড়াও, রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংক এ বছর চামড়া কিনতে ঋণ দেবে ২০০ কোটি টাকা। গত বছর ব্যাংকটি এ খাতে ঋণ দিয়েছিল ১৭৫ কোটি টাকা। সোনালী ব্যাংক এ বছর ৭০ কোটি টাকা ঋণ দেবে। ভুলুয়া ট্যানারি, আমিন ট্যানারি ও কালাম ট্যানারিকে এ ঋণ দেয়া হবে বলে ব্যাংকটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান। গত বছরও এসব প্রতিষ্ঠানকে চামড়া কিনতে একই পরিমাণ ঋণ দিয়েছিল সোনালী ব্যাংক। চামড়া কিনতে এবার ১৩৫ কোটি টাকা ঋণ দেবে অগ্রণী ব্যাংক। গত বছর চারটি প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছিল প্রায় ১৪৬ কোটি টাকা।
এদিকে চামড়া শিল্পের স্বার্থে কাঁচা চামড়া সংগ্রহে ঋণ দিচ্ছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। প্রতিবছর ঈদুল আজহার আগে এ ঋণ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ নির্দেশনা মোতাবেক কম সুদেই এসব ঋণ বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সালমা ট্যানারির মালিক সাখাওয়াত উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, চামড়া কেনার ঋণ মূলত এক বছরের জন্য দিয়ে থাকে। যারা গত বছরের টাকা পরিশোধ করেছে তারাই ঋণ পায়। প্রতিবছরই এ লক্ষ্য ঠিক করে। তবে এ ঋণ কাগজে-কলমে ঠিক না করে ব্যবসায়ীরা যেন সঠিক সময়ে ঋণ পায়, তা নিশ্চিত জরুরি হবে বলে জানান তিনি।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: