আসামে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি, ১০ লাখ মানুষ ঘরছাড়া


প্রকাশিত:
২ জুলাই ২০২০ ২১:৪৯

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:৪১

 

প্রভাত ফেরী: গত কয়েকদিনের ভারীবর্ষণে আসামে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার অনেক ওপরে ওঠে যাওয়ায় উত্তর-পূর্ব ভারতের বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া প্রদেশ আসামে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। জানা গেছে, প্রাণে বাঁচতে বাড়িঘর ছেড়েছেন বন্যায় প্লাবিত এলাকাগুলোর ১০ লাখেরও বেশি মানুষ।

মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, আগামী দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন প্রাদেশিক সরকারের কর্মকর্তারা। বৃহত্তম নদী ব্রহ্মপুত্রের তীরবর্তী ২ হাজারেরও বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বন্যার পানিতে ডুবে পৃথক ঘটনায় অন্তত দু’জন মারা গেছেন। বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১০ লাখেরও বেশি মানুষ। আসামের ৩৩টি জেলার মধ্যে অন্তত ২৩টি জেলায় মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে।

আসাম রাজ্যসরকারের প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী, ১১ হাজার ৭৬৫ হেক্টর জমির ফসল এখন পানির নিচে। রাজ্য জুড়ে ১৪২টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন ১৮ হাজার বানভাসী মানুষ। সরকারি কর্মকর্তারা জানান, শুধু মানুষেরই ক্ষতি নয়, এ বছর বন্যায় প্রায় দেড়লাখ গবাদিপশুরও ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দেখা গেছে, নিজেদের জিনিসপত্র ও গবাদি পশুদের সঙ্গে নিয়ে কোমরসমান জলের ওপর দিয়ে অন্য আশ্রয়ের খোঁজে যাচ্ছেন।

ভুটান ও ভারতের আসামসহ উত্তরপূর্বের অন্য রাজ্যগুলোতে অবিরাম বর্ষণ চলছে। এর ফলে আসামে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক জায়গায় ব্রহ্মপুত্রের নদের জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

প্রদেশটিতে আরও তিনদিন প্রবল এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ বলছে, উদ্ধার অভিযান ও অস্থায়ী আশ্রয়শিবিরে শারীরিক দূরত্ব বজায়ে রাজ্যটিতে আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top