ভাবমূর্তি 'উদ্ধারে' বিএসএফ কড়া অবস্থানে


প্রকাশিত:
৩০ জানুয়ারী ২০২১ ১৭:২৯

আপডেট:
২১ এপ্রিল ২০২৫ ১১:২৫

 

প্রভাত ফেরী: গরু পাচারের কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের তিন জন শীর্ষ আধিকারিককে বরখাস্ত করেছে বিএসএফ। পাচারের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁদের আগেই বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানানো হল শুক্রবার। পাশাপাশি ১৩ জনকে অন্য রাজ্যে বদলি করা হয়েছে। বিএসএফের পূর্বাঞ্চলীয় এডিজি পঙ্কজ কুমার সিং মানছেন, ওই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পাচারে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলার পরই তাঁদের বরখাস্ত করা হয়েছে। এদিন কলকাতায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। পঙ্কজ কুমার বলেছেন, সরাসরি পাচারে যোগ থাকার প্রমাণ পেয়েছে বাহিনীর শৃঙ্খলা কমিটি। যাঁদের বদলি করা হয়েছে, তাঁরা যাতে আর কখনও সীমান্তে কাজ না করতে পারে, তাও নিশ্চিত করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। পাশাপাশি এ ধরনের কাজ যে কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না, তাও এদিন স্পষ্ট করেন তিনি।
কয়েক মাস আগেই গ্রেফতার করা হয় বিএসএফ’র কম্যান্ডান্ট পদমর্যাদার আধিকারিক সতীশ কুমারকে। নিজাম প্যালেসে সিবিআই- আধিকারিকরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দীর্ঘ সাত ঘণ্টা। তিনি একাধিক প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছিলেন বলেও সিবিআই সূত্রের খবর। তদন্তে সহযোগিতা না করার জন্য তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে কেরালার বাসিন্দা এক বিএসএফ কম্যান্ডান্ট আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন অর্থের উৎস খুঁজতে গিয়েই বাংলায় গরু পাচার-চক্রের হদিশ পায় সিবিআই । সেই সূত্র ধরে কলকাতায় গরু পাচার নিয়ে আলাদা একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
গরু পাচারকাণ্ডে এর আগে রাজ্যের একাধিক আইপিএস অফিসার ও পুলিশ আধিকারিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। পাশাপাশি কাস্টমস ও বিএসএফ-এর মতো সংস্থার একাধিক আধিকারিক সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছেন বিএসএফ কম্যান্ডান্ট অমৃক সিংহ, বিএসএফ-এর ডেপুটি কম্যান্ডান্টকে মহেন্দ্র সিংহ রাওয়াতরা।
যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রের বিরুদ্ধে জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা দিন কয়েক আগেই গরু পাচার কাণ্ডে যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে সিবিআই-এর বিশেষ আদালত। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু বাড়িতে এই নেতার খোঁজ মেলেনি। এরপরেই তাঁর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির জন্য আসানসোলে বিশেষ আদালতে আবেদন জানায় সিবিআই সিবিআই প্রসঙ্গত, গরুপাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরে যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্র এবং তাঁর ভাই বিকাশ মিশ্রের উপর নজর রেখেছিল সিবিআই। ২৫ জানুয়ারি নিজাম প্যালেস বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশ মিশ্র-কে জেরাও করা হয়। তবে এই সব ঘটনার পর এটা স্পষ্ট হয়েছে, এত দিন সর্ষের মধ্য়েই ভূত ছিল। কিন্তু বিএসএফ স্পষ্ট বুঝিয়ে দিতে চাইছে, তারা এসব কোনভাবেই মেনে নেবে না। অভিযোগের সত্য়তা প্রমানিত হলেই নেমে আসবে শাস্তির খাঁড়া।

 


বিষয়: BSF


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top