দিল্লিমুখী কৃষকদের ওপর কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট
প্রকাশিত:
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:৩১
আপডেট:
১০ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:০৪

শস্যের ন্যূনতম মূল্যের দাবিতে ভারতের রাজধানী দিল্লিমুখী কৃষকদের থামাতে দ্বিতীয় দিনের মতো কাঁদানে গ্যাস এবং রাবার বুলেট ব্যবহার করেছে দেশটির পুলিশ। আন্দোলনরত কৃষকদের বেশির ভাগই পাঞ্জাব প্রদেশের। এ ছাড়া হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশের হাজার হাজার কৃষকও দিল্লিমুখী হয়েছেন। তাঁরা গতকাল বুধবার দিল্লি থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরের হরিয়ানা রাজ্যের শম্ভু সীমান্তে পৌঁছেছেন।
দিল্লির দিকে আসার জাতীয় মহাসড়কে কংক্রিট এবং পেরেক পুঁতে, কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে বহু স্তরীয় প্রতিবন্ধক সৃষ্টি করেছে পুলিশ। একাধিক স্তরে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে। এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে রাজধানীতে।
গত মঙ্গলবার কৃষকরা ব্যারিকেড সরানোর চেষ্টা করলে হরিয়ানা পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে।
গতকাল সকালে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে থামাতে দিল্লি সীমান্তে দাঙ্গা পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। শম্ভু সীমান্তে কৃষকরা বিক্ষোভকারীদের আত্মরক্ষার জন্য চশমা বিতরণ করছেন। পুলিশ তাঁদের মিছিল থামাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করায় তাঁরা প্রতিরক্ষার জন্য এসব সরঞ্জাম এনেছেন। কৃষকদের দিল্লিমুখী অভিযানের মূল দাবিগুলোর অন্যতম এমএসপিকে আইনের আওতায় আনা, স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশের পূর্ণ রূপায়ণ, কৃষিঋণ মওকুফ এবং কৃষকদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার।
২০২০-২১ সালে কৃষকদের দিল্লি অবরোধের সময়ও এগুলোই ছিল মুখ্য দাবি। কৃষি আইন ও বিদ্যুৎ বিল প্রত্যাহারের দাবি সেবার মেনে নিলেও এমএসপিকে আইনি বৈধতা দেওয়ার বিষয়টি বিজেপি বিবেচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কৃষক নেতাদের অভিযোগ, কেন্দ্র টালবাহানা করে যাচ্ছে। দাবি পূরণ করেনি। অন্যদিকে সরকারের বক্তব্য, কৃষক নেতারা নতুন নতুন দাবি জানাচ্ছেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ মেনে সব পণ্যের এমএসপির জন্য আইনি বৈধতা দিলে সেই ফসল কিনতে সরকারের ভর্তুকি পাঁচ গুণ বেড়ে যাবে। এদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘কংগ্রেস ক্ষমতায় গেলে স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ মেনে কৃষকদের ফসলের জন্য এমএসপির আইনি নিশ্চয়তা দেওয়া হবে।’ গত মঙ্গলবার ছত্তিশগড়ে তিনি এই প্রতিশ্রুতি দেন।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: