নতজানু ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আফিফ টিকতে গিয়েও টিকলো না
প্রকাশিত:
২০ নভেম্বর ২০২১ ০২:৩৪
আপডেট:
১৬ মার্চ ২০২৫ ০০:৩৯

প্রভাত ফেরী: পাকিস্তানি বোলারদের সামনে সাবলিল ব্যাটিং করছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। তবে উদ্বোধনী জুটি থেকেই মনে হচ্ছিল ব্যাটসম্যানরা নতজানু। একের পর এক উইকেট হারাচ্ছিল। তাদের ভিড়ে একজনই ব্যতিক্রম ছিলেন তিনি।
কিন্তু তার দৃঢ়তাও বেশিক্ষণ টিকলো না। ৩৪ বল খেললেন। বড়বড় দুটি ছক্কাও মারলেন। কিন্তু আফিফ হোসেন ধ্রুব ফাঁদে পড়লেন শাদাব খানের গুগলির। রাউন্ড দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে স্ট্যাম্পিং হয়ে ফিরে গেলেন আফিফ। ২টি করে বাউন্ডারি আর ছক্কায় ৩৪ বলে ৩৬ রান করে ফিরে যান আফিফ হোসেন ধ্রুব। ৫ম উইকেট পড়লো ৬১ রানের মাথায়।
এ রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের রান ১৩.৪ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৬৬। ৭ রানে রয়েছেন নুরুল হাসান সোহান, তার সঙ্গী শেখ মেহেদী হাসান ২ রানে।
নতুন চেহারার বাংলাদেশ। সিনিয়রদের প্রায় সবাইকে বাদ দিয়ে স্কোয়াড গঠন করার পরই চিন্তা তৈরি হয়, পাকিস্তানের মত উড়তে থাকা দলটির সামনে এই নতুন চেহারার বাংলাদেশ কী করবে?
ভোরের সূর্য দেখলে যেমন পুরো দিনের একটা আভাস পাওয়া যায়, তেমনি পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের শুরুতেই সেই আভাস মিলছে। দলে নতুন আসা সাইফ হাসান এমনভাবে খেললেন, মনে হচ্ছিল যেন তিনি টি-টোয়েন্টিই খেলতে জানেন না। ৮ বল খেলে আইট হলেন ১ রান করে।
নাইম শেখ বিশ্বকাপ খেলে এসেছেন। অভিজ্ঞতায় সমৃ্দ্ধ। কিন্তু তিনি কী করলেন? ৩ বল খেলে আউ হয়ে গেলেন ১ রান করে। নাজমুল হাসান শান্তও অভিজ্ঞ। বিশ্বকাপ না খেললেও তাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে দলে। কিন্তু তিনিও হতাশ করলেন। ১৪ বল খেলে বিদায় নিলেন ৭ রান করে।
১৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে যখন মহা বিপর্যয়ে টিম বাংলাদেশ, তখনই হাল ধরার চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং আফিফ হোসেন ধ্রুব। এ দু’জন বিপর্যয় কাটিয়ে ভালো একটি জুটি গড়ার চেষ্টা করছিলেন।
কিন্তু জুটিটা ২৫ রানের বেশি হতে পারলো না। দলীয় ৪০ রানের মাথায় দুর্ভাগ্যজনক আউট হয়ে গেলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১১ বলে ৬ রান করেছেন তিনি। তবে আফিফ হোসেনকে নিয়ে উইকেটে সেট হওয়ার চেষ্টা ছিল রিয়াদের। কিন্তু মোহাম্মদ নওয়াজের করা ইনিংসের ৯ম ওভারের শেষ বলটি মিস করেন রিয়াদ।
একটু পর দেখা গেলো স্ট্যাম্পের বেল পড়ে গেলো। নওয়াজ উইকেট পাওয়ার আনন্দে উল্লাস করছেন। রিয়াদ অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছেন। আম্পায়াররা দু’জন কথা বলে টিভি আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত চাইলেন।
টিভি রিপ্লেতে দেখা গেলো বল স্ট্যাম্পের উপর দিয়ে যাওয়ার পতে আলতো ছোঁয়া লাগিয়েছে বেলের ওপর। মনে হচ্ছিল যেন বাতাস লাগিয়েছে। এর খানিক পরই বেল পড়ে যেতে দেখা গেলো।
মাহমুদউল্লাহ আউট হওয়ার পর অবশ্য আফিফ হোসেন ধ্রুবকেও আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। শাদাব খানের বলে এলবিডব্লিউ আউট দেন আম্পায়ার। কিন্তু আফিফ রিভিউ নিলে দেখা যায়, তিনি আউট হননি। বল অফ স্ট্যাম্প মিস করে যেতো। এ যাত্রায় বেঁচে গিয়ে পরের ওভারেই চড়াও হন মোহাম্মদ নওয়াজের ওপর। পরপর দুটি ছক্কার মার মারেন তিনি।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: