সাতভাইয়াপাড়া গ্রামে উপচে পড়া আনন্দ


প্রকাশিত:
২৫ ডিসেম্বর ২০২১ ২২:০০

আপডেট:
১৬ মার্চ ২০২৫ ০৫:১০

 

প্রভাত ফেরী: সবুজ-শ্যামলিমা ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম সাতভাইয়াপাড়া। খাগড়াছড়ির এই গ্রামে মেঘেরা খেলা করে আকাশ থেকে নেমে এসে। বুধবার রাতে মেঘের কোলে চাঁদ হেসেছে। সেই চাঁদের নাম আনাই মগিনি।

সাতভাইয়াপাড়া থেকে যোজন দূর রাজধানী ঢাকার কমলাপুরে এই গ্রামের মেয়ে আনাইয়ের লক্ষ্যভেদে বাংলাদেশ হেসেছে বিজয়ের হাসি। মেয়েদের সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবলে ডিফেন্ডার আনাইয়ের একমাত্র গোলে ভারতকে হারিয়ে শিরোপাসিক্ত হয়েছে লাল-সবুজের দল।

বৃহস্পতিবার সকালে আনাইয়ের গ্রামে গিয়ে দেখা গেল, আনন্দ যেন উপচে পড়ছে প্রতিটি ঘরের উঠোনে। বহুদিন পর চাঁদের আলোয় উদ্ভাসিত সাতভাইয়াপাড়া গ্রাম। আনাই মগিনির প্রতিবেশী মং সা থুই মারমা বলেন, ‘কাল (বুধবার) আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে টিভিতে খেলা দেখেছি। আনাই গোল দেওয়ার পর পুরো এলাকায় উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে। দেশের মানুষের পাশাপাশি আমরা গ্রামের মানুষও উচ্ছ্বসিত। আমাদের ঘরের মেয়ে গোল করায় আনন্দটা একটু বেশিই।’ আনাইয়ের বউদি রাং মে সু মগিনি ও রুইম্রা সাং মগিনির কথায়, ‘আনাই পুরো দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছে। ভারতকে গোল দিয়ে জিতিয়েছে বাংলাদেশকে। এই জয়ে আমরা খুব খুশি।’

আনাইয়ের বাবা রিপ্রু মগ বলেন, ‘আমাদের খুবই আনন্দ লাগছে। আমি আশীর্বাদ করি বাংলাদেশ এগিয়ে যাক। একদিন আমাদের মেয়েরা বিশ্বকাপে খেলবে-এটাই প্রত্যাশা।’ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চাকমার উচ্ছ্বাস, ‘আনাই খাগড়াছড়ির সন্তান। তার একমাত্র গোলে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছে বাংলাদেশ। জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে আমরা আনাইকে অভিনন্দন জানাই।’

২০০৩ সালের ১ মার্চ আনাইয়ের জন্ম। সাতভাইয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে তার অভিষেক। তিন ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা সদরে সাতভাইয়াপাড়ায় বসবাস রিপ্রু ও আপ্রমা মগিনি দম্পতির। তিনবেলা পেট ভরে খাবার জুটত না। সেসময় আনাইয়ের জন্ম। তার যমজ বোন আনুচিং মগিনিও জাতীয় দলের খেলোয়াড়। আনাই জন্ম নেওয়ার দুই মিনিট পর আনুচিংয়ের জন্ম।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top