সিডনী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১


১৯৭৫ সালে ভারতের জরুরি অবস্থা এবং গণতন্ত্র : সুভাষ দে  


প্রকাশিত:
২৭ জুলাই ২০২০ ২১:৩৩

আপডেট:
১১ আগস্ট ২০২০ ২১:৪৪

 

“From One Midnight to another Midnight, Democracy Collapsed”

"At the stroke of the midnight hour, when the world sleeps, India will awake to life and freedom"

উক্তিটি ১৪ ও ১৫ই আগস্ট এর মাঝে, মধ্যরাতে ইংরেজদের থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহেরুর ভাষণের অংশ, যার সাথে সাথেই জন্ম নিয়েছিলো বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র, ভারতবর্ষ। আর স্বাধীনতার 28 বছর পর ২৬শে জুন ১৯৭৫ সালে, সকাল ছ'টায়, দিল্লির আকাশবাণী ভবন থেকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তথা জওহরলাল নেহেরুর কন্যা ইন্দিরা গান্ধীর জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষন দিলেন।

"The President has proclaimed emergency. This is nothing to worry about"

যা ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথেই শুরু হয়ে যায় বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের অন্ধকারময় এক অধ্যায়, জরুরী অবস্থা, Emergency, आपातकाल।

গণতন্ত্র কার্যত পঙ্গু হয়ে যায়। সংবাদ মাধ্যমের উপর সেন্সর চাপানো হয়, সংবাদপত্র অফিসের ইলেক্ট্রিসিটি লাইন কেটে দেওয়া হয়, বিরোধী দলনেতাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়, জোড় করে বন্ধ করে দেওয়া হয় সরকার বিরোধী আন্দোলন, জমায়েত, বিশিষ্ট সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করা হয়, সমস্ত নির্বাচন কর্মসূচি বন্ধ হয়ে যায়, কেড়ে নেওয়া হয় সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার।

কিন্তু কেন এই জরুরি অবস্থা? তার আগে জেনে নেওয়া যাক জরুরি অবস্থাটা আসলে কী? ভারতীয় সংবিধানে মোট তিন ধরণের জরুরি অবস্থার কথা বলা হয়েছে - 1) অভ্যন্তরীণ জরুরি অবস্থা, 2) আর্থিক জরুরি অবস্থা ও 3) রাষ্ট্রপতি শাষণ। সংবিধানের ৩৫২ নং ধারা অনুযায়ী, শুধুমাত্র দুটি কারণের উপর ভিত্তি করেই অভ্যন্তরীণ জরুরি অবস্থা জারি করা যেতে পারে। তা হল - 1) যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে, আর 2) দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি ভঙ্গের চেষ্টা হলে। পূর্বে ১৯৬২ সালে ও ১৯৭১ সালে যথাক্রমে ইন্দো-চিনা ও ইন্দো-পাক যুদ্ধের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিলো, কিন্তু ১৯৭৫ সালের এই জরুরি অবস্থা ছিলো যুদ্ধ পরিস্থিতি বহির্ভূত কোন কারণে প্রথম জরুরি অবস্থা। এর পিছনে কারণ হিসেবে দেখানো হয় বিরোধীরা অভ্যন্তরীণ শান্তি ভঙ্গ করার চেষ্টা করছে। তবে ঐতিহাসিকদের মতে এই জরুরি অবস্থার প্রেক্ষাপট রচনা শুরু হয় চার বছর আগে, ১৯৭১ সালে যখন ইন্দিরা গান্ধী রায়বেড়েলি কেন্দ্র থেকে প্রায় এক লাখেরও বেশি ভোটে দ্বিতীয়বারের জন্য জয় লাভ করেন। আসুন একটু ইতিহাসের পাতা ওল্টানো যাক।

নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়ার পর রায়বেড়েলি কেন্দ্র থেকে মিসেস গান্ধীর বিপরীতে দাড়ানো United Socialist Party এর নেতা রাজ নারায়ণ সিং এলাহাবাদ হাইকোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনে ছ'টি দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। এই অভিযোগগুলোর মধ্যে ছিলো নিজের সরকারি সেক্রেটারিকে নির্বাচনের কাজে লাগানো, অতিরিক্ত টাকা খরচ করা, বায়ুসেনার হেলিকপ্টারের অপব্যবহার করা ইত্যাদি। বিচারপতি জগমোহন লাল সিং এর অধিনে এই বিচার কার্য চলতে থাকে।

এরই মধ্যে ইন্দিরা গান্ধী সরকারের সংসদে দুটি বিল পাশ করানোকে নিয়ে বিরোধ বাঁধে সুপ্রিম কোর্টের সাথে। 1) চোদ্দটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের রাষ্ট্রায়ত্ত করণ ও 2) স্বাধীনতার পূর্বের রাজা ও তাঁদের পরিবারকে সরকারের তরফ থেকে পেনশন দেওয়ার নিয়মকে বন্ধ করা - এই দুটি বিল পাশ করাতে না পারার কারণ হিসেবে মিসেস গান্ধী সুপ্রিম কোর্টকেই দায়ী মানতেন। তাই সুপ্রিম কোর্ট যেনো ভবিষ্যতে আর কখনও সংসদের কাজে হস্তক্ষেপ করতে না পারে আর তার জন্য কংগ্রেস সরকার সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করতে শুরু করলো। ৫ই নভেম্বর ১৯৭১, সংবিধানের ২৪ তম সংশোধন ও পরের বছর এপ্রিল মাসে হলো 25তম সংশোধন। যার দ্বারা সরকার এখন সংসদে চাইলে যেকোন ধরনের বিল পাশ করাতে পারে তাতে যদি সংবিধানের মূল ভাবনাকেও পরিবর্তন করতে হয় তো কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু এবারও বাঁধ সাধলো সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিমকোর্টের মুখ্য বিচারপতি S.M. Sikri এর নেতৃত্বে ১৩ জন বিচারপতির বেঞ্চ গঠিত হলো, যা ভারতের ইতিহাসে প্রথম ও শেষবারের মতো এতো বড়ো বিচারবিভাগীয় বেঞ্চ। ৭-৬ ভোটে সেই বেঞ্চ আবারও সেই বিলগুলোকে খারিচ করে দেয়। নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা ও রাষ্ট্রপতি ভি বি গিরি মিসেস গান্ধীর কথা মতো চললেও তাঁর রাস্তায় একমাত্র প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে চলেছিল সুপ্রিম কোর্ট, তাই সেখানেও চাই একটা "কমিটেড জুডিশিয়ারি" অর্থাৎ এমন একজন বন্ধু মানুষকে চাই যে সরকারের হ্যাঁ তে হ্যাঁ মেলাবে, সরকারের কোনরকম কাজে বাঁধা সৃষ্টি করবে না। আর ঘটনাক্রমে এই রায় ঘোষণার ঠিক একদিন পরই প্রধান বিচারপতি S.M. Sikri এর অবসরের দিন চলে আসে। পরম্পরা অনুযায়ী তাঁর পরে সর্বোচ্চ বিচারপতিরই ওই আসনে বসার কথা ছিল, কিন্তু তা হলো না। সিক্রির পর পদমর্যাদা অনুযায়ী তিনজন বিচারপতি কে বাদ দিয়ে প্রধান বিচারপতির স্থানে আনা হলো A. N. Ray কে। আর তিনি আসা মাত্রই যে যে বিল গুলোকে সুপ্রিম কোর্ট "অন হোল্ড" করে দিয়েছিলো সেগুলোকে সংসদে পেশ করার ছাড়পত্র দিয়ে দিলেন, এবং খুব স্বাভাবিক ভাবেই সেগুলো সংসদেও পাশ হয়ে গেলো। আর এখানেই শুরু হলো বিরোধী দলনেতা তথা স্বাধীনতা সংগ্রামী জয় প্রকাশ নারায়ন ওরফে জে পি -এর সাথে বিরোধ, যা ভবিষ্যতে জরুরি অবস্থা ডেকে এনেছিল। ইনিই হলেন সেই জে পি যে একসময় গান্ধীজির সাথে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন, সেই জে পি যাকে একসময় নেহেরু ভারতের উপপ্রধানমন্ত্রী করতে চেয়েছিলেন, সেই জে পি যিনি ইন্দিরা গান্ধী কে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরুর দিকে নিজের মেয়ের মতো আগলে রাখতেন।

 

এদিকে চলে আসে সেই দিন, ১২ জুন ১৯৭৫, এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলার রায়ের দিন। ২৫৯ পাতার কপি থেকে বিচারপতি জগমোহন লাল সিং শুধু মাত্র রায়টা পড়ে শোনান, আর তাতেই কেঁপে যায় 1-সফদরজং রোড। কেউ হয়তো আন্দাজই করতে পারেননি যে রায় যাবে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর বিপক্ষে। ঘোষণা হলো যে আগামী ছয় বছরের জন্য ইন্দিরা গান্ধী নির্বাচনে লড়তে পারবেন না ও সাথে সাথে রায়বেড়েলি কেন্দ্র থেকে তার জয়কেও বেআইনি ঘোষণা করে দেওয়া হলো। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী মিসেস গান্ধীকে এবার তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে। ইস্তফা দেবেন বলে তিনি তৎকালীন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধাত্য শংকর রায়ের সাথে পরামর্শই করছিলেন ঠিক তখনই উপস্থিত হন মিসেস গান্ধীর ছোটছেলে সঞ্জয় গান্ধী। মায়ের পদত্যাগের ইচ্ছাকে দমিয়ে দিয়ে তিনি বলেন যে করে হোক তাঁকে নির্দোষ প্রমান করতেই হবে। সেইসময় মিসেস গান্ধীর পর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো কংগ্রেস থেকে ছিলেন ডি কে বড়ুয়া, কিন্তু এই বিষয়ে সঞ্জয়ের মত ছিল নেতিবাচক। তাঁর মতে অনেক লড়াইয়ের পর ইন্দিরা প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, এভাবে সড়ে যাওয়া উচিত হবে না, আর পরিবর্ত হিসেবে যে প্রধানমন্ত্রী হবেন সে পরে বেইমানিও করতে পারে। সেদিন সারারাত ধরে সঞ্জয় তাঁর ঘনিষ্ঠদের নিয়ে বৈঠক করলেন, কীভাবে তাঁর মাকে পদত্যাগ করা থেকে বিরত রাখা যায়। ঠিক হলো যে এখন থেকে প্রতিদিন 1-সফদরজঙ্গ রোডে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে লাখ লাখ মানুষ নিয়ে জমায়েত করবে কংগ্রেস, আর সেই জমায়েতের পৌরহিত্য করবেন স্বয়ং সঞ্জয় গান্ধী। পরেরদিন দিল্লিতে চলা DTC এর ৯৭৮টি বাস ভরে হরিয়ানা, রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশ থেকে অগণিত মানুষকে নিয়ে আসা হলো, জমায়েত চললো। সঞ্জয় খুব ভালো ভাবেই জানতেন যে তাঁর মায়ের সবথেকে বড়ো দুর্বল জায়গা হলো মানুষের ভীড়, তাই তাঁকে পদত্যাগ করা থেকে বিরত রাখার জন্য তিনি সেটাই করলেন, বাসভবনের বাইরে লাখ লোকের ভীড় লাগিয়ে দিলেন। তবে দেশের অন্যান্য অংশের চিত্র ছিল ভিন্ন, সম্প্রতি গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হার ও বিহারের ছাত্র আন্দোলন এক অন্য ভয়ের সুর শোনাচ্ছিলো। জে পি বারবার প্রকাশ্য সমাবেশে সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ চালাচ্ছিলেন, সেই সময় তিনি কংগ্রেস বিরোধী আন্দোলনের মুখ হয়ে ওঠেন। বাইরের আবহাওয়া ক্রমশ গরম হতে দেখে সঞ্জয় ওই মাসেরই ২৩ তারিখ সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কে স্থগিত করানোর উদ্দেশ্যে। পরেরদিন সুপ্রিম কোর্ট মিসেস গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী থাকার অনুমতি দিলেও শেষ সিদ্ধান্ত আসা পর্যন্ত তাকে সংসদে সমস্ত রকমের ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকতে বলেন।

 

এদিকে এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী ইস্তফা না দেওয়ায় জয় প্রকাশ নারায়ন ২৫শে জুন দিল্লির রামলীলা ময়দানে এক জনসভার ডাক দেন। জুন মাসের তীব্র দাবদাহে সেদিনের জনসভায় উপস্থিত ছিলেন প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ। ভাষণ দিতে উঠে জে পি সেদিন প্রথমে বিখ্যাত কবি রামধারী সিং দিনকরের একটি হিন্দি কবিতা পাঠ করেন, যার একটি লাইন ছিল -

 

"সিংহাসন খালী করো, জানতা আতি হেঁ"

 

এই জনসভাতেই তিনি পুলিশ ও আর্মি জওয়ানদের উদ্দেশ্যে বলেন যে সরকারের কোন আদেশ ভুল মনে হলে তারা যেন সেটা না মানে। রামলীলা ময়দানে পাঁচ লাখ মানুষের ভীড় দেখে ভীত প্রধানমন্ত্রী জওয়ানদের উদ্দেশ্যে জয় প্রকাশের এই আহ্বান দেখে আর চুপচাপ বসে থাকতে পারেননি। তৎকালীন কংগ্রেস অধ্যক্ষ দেবকান্ত বড়ুয়াকে নিয়ে সেদিন সন্ধ্যাতেই পৌছে যান রাইসিনা হিলসে। প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি ফাখরুদ্দিন আলি আহমেদকে অভ্যন্তরীণ জরুরি অবস্থা জারি করার অনুরোধ করেন। ক্যাবিনেটের অজান্তেই এতো বড়ো সিদ্ধান্ত কিভাবে প্রধানমন্ত্রী নিয়েছিলেন সেই বিষয়ে খুজতে শুরু করলে যার নাম সামনে আসে সে হলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর পুত্র, সঞ্জয় গান্ধী। সেই সময়ে খাতায় কলমে প্রধানমন্ত্রী মিসেস গান্ধী হলেও কাজ করছিলেন সঞ্জয়, যিনি সংসদের সদস্যই ছিলেন না। দেশ তখন প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে নয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে শাসিত হচ্ছিলো। সঞ্জয়ের কথা তখন কতটা গুরুত্ব দিয়ে শোনা হত সেই প্রসঙ্গে তৎকালীন বেতার সম্প্রসারণ মন্ত্রী ও পূর্বতন প্রধানমন্ত্রী ইন্দ্র কুমার গুজরাল একবার এক সাক্ষাৎকারে বলেন,

 

"It was clear that the transfer of power has been taken place"

 

রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ রাষ্ট্রপতি ভবনে জরুরি অবস্থার প্রস্তাবের খসড়া গিয়ে পৌছায়। সেখানে সাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি ফাখরুদ্দিন আলি আহমেদ। আর তার সাথে সাথেই দেশের সমস্ত ক্ষমতা অনির্দিষ্টকালের জন্য চলে যায় প্রধানমন্ত্রীর হাতে। এখন থেকে আর কোন লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচন হবে না, রাস্তায় মিছিল হবে না, সংসদে তর্ক হবে না, পুলিশ মনে করলেই যেকাউকে ধরে জেলে ঢুকিয়ে দিতে পারবে, কোন বিচার হবে না, কোন আপিল করা যাবে না, বিরোধী দল বলে কিছু থাকবে না। কেড়ে নেওয়া হলো সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার অর্থাৎ সংবিধানের 21 নম্বর ধারাকে বন্ধ করে দেওয়া হলো। মাঝরাতে গ্রেপ্তার করা হলো জয় প্রকাশ নারায়ণ, মোরারজি দেশাই, চৌধুরী চরণ সিং, আচার্য কৃপালানী, লালকৃষ্ণ আডবাণী, অটল বিহারি বাজপেয়ী সহ প্রমুখ বিরোধী নেতাদেরকে। সকাল 6টায় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীসভার জরুরি বৈঠক ডাকলেন, জরুরি অবস্থার বিষয়ে সবাইকে অবগত করার জন্য। এখন থেকে যেকোনো খবর প্রকাশের আগে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে ছাড়পত্র নিয়েই তারপর প্রকাশ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেন

 

।। भाइयों और बहनों, राष्ट्रपति ने आपातकाल की घोषणा की है। यह घबराने की कोई बात नहीं है ।।

 

এমন পরিস্থিতিতে একমাত্র সুপ্রিম কোর্ট পারে জরুরি অবস্থার প্রয়োজনীয়তা বিচার করতে। সেই আশংকার কথা মাথায় রেখেই মিসেস গান্ধী সংসদে পাশ করালেন দুটি সংবিধান সংশোধনী, ৩৮ ও ৩৯। প্রথমটির দ্বারা সুপ্রিম কোর্টের জরুরি অবস্থার প্রয়োজনীয়তা বিচারের অধিকার কেড়ে নেওয়া হলো আর দ্বিতীয়টির দ্বারা কেড়ে নেওয়া হলো প্রধানমন্ত্রীর কোন কাজের উপর কোর্টের হস্তক্ষেপ করার অধিকার।

 

প্রায় ১৯ মাস ধরে চললো জরুরি অবস্থা। বিভিন্ন সূত্রানুযায়ী প্রায় এগারো লক্ষ মানুষকে জেলে ঢোকানো হয় বিনা বিচারেই। সর্বদা সর্ব ধর্ম সমন্বয় ও গণতন্ত্রের কথা বলা ভারতকেও সেদিন বিভিন্ন দেশ এক অন্য নজরে দেখলো, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ এক লহমায় ঘরবন্দী হয়ে গেলো। পরেরদিন The Times of India লিখলো

"STATE OF EMERGENCY DECLARED"

"Several leaders arrested"

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা


বিষয়: সুভাষ দে


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top