সিডনী মঙ্গলবার, ৭ই মে ২০২৪, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩১


কোরআন-হাদিসের মনগড়া ব্যাখ্যা, মাওলানা সাদকে বর্জনের আহ্বান


প্রকাশিত:
২৯ জুলাই ২০১৮ ০১:৩১

আপডেট:
৭ মে ২০২৪ ২০:৪৮

কোরআন-হাদিসের মনগড়া ব্যাখ্যা, মাওলানা সাদকে বর্জনের আহ্বান

মাওলানা সাদ কান্ধলভী কোরআন হাদিসের মনগড়া ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। তিনি তাবলীগ ছাড়া ইসলামের অন্যান্য কার্যক্রমকে হেয়প্রতিপন্ন করেছেন। কাজেই তাকে সম্পূর্ণভাবে বর্জন করতে হবে।



শনিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মাওলানা সাদ বিরোধী ওয়াজাহাতি জোড় বা পরামর্শ সভায় অংশ নেয়া নেতৃবৃন্দ এ মন্তব্য করেন।



মাওলানা সাদের ক্ষুদ্র চিন্তার কারণে তাবলীগ জামাতের মূল দৃষ্টিভঙ্গি ধুলোর সঙ্গে মিশে যেতে বসেছে বলে এতে জানানো হয়েছে।



সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাহ আহমদ শফী (রহ.)।



সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, মাওলানা সাদের কারণে তাবলীগের মধ্যে বিভেদ দেখা দিয়েছে। তার কর্মকাণ্ডে যাতে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত না হন, সে জন্য শনিবারের পরামর্শ সভায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।



এতে চলতি বছরের টঙ্গী ইজতেমায় সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে আগামী বছরের জন্য প্রথম পর্ব ১৮ থেকে ২০ জানুয়ারি ও দ্বিতীয় পর্ব ২৫ থেকে ২৭ জানুয়ারি নির্ধারণের সঙ্গেও একমত পোষণ করা হয়।



এমনকি মাওলানা ইলিয়াস (রহ.), মাওলানা ইউসুফ (রহ.) ও মাওলানা এনামুল হাসানের (রহ.) উসুল ও কর্মপন্থা থেকে সরে যাওয়ায় মাওলানা সাদকে সম্পূর্ণভাবে বর্জন করতে হবে বলে বৈঠকে জানানো হয়।



সভায় মাওলানা সাদ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের মতাদর্শ ছেড়ে নতুন কোনো ফেরকা গঠনের চেষ্টা করছেন বলেও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে।



সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের কোনো জামায়াত কিংবা ব্যক্তিকে নেযামুদ্দিনে পাঠানো উচিত হবে না। অনুরূপ সেখান থেকে আসা কাউকেও বাংলাদেশে কাজ করতে দেয়া যাবে না বলে জানানো হয়।



সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়, ঢাকার কাকরাইল মসজিদের যে সব শুরা সদস্য আমরণ মাওলানা সাদের আকিদা অনুসরণ করবেন, তারা নিজেদের পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।



কাজেই তাদেরকে তাবলীগের কাজে শুরা ও ফয়সালা না করার আহ্বান জানানো হয়েছে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top