সিডনী মঙ্গলবার, ৭ই মে ২০২৪, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩১


বুড়িগঙ্গায় দর্পন বিসর্জনের মাধ্যমে দুর্গাপূজার সমাপ্তি


প্রকাশিত:
১৯ অক্টোবর ২০১৮ ১২:১২

আপডেট:
৭ মে ২০২৪ ২২:১৬

বুড়িগঙ্গায় দর্পন বিসর্জনের মাধ্যমে দুর্গাপূজার সমাপ্তি

মহালয়া, বোধন, ষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী, মহানবমীর সুশৃঙ্খল আয়োজন পেরিয়ে বিজয়া দশমীর সকল আয়োজন শেষ করেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বি জনগোষ্ঠী।



আজ শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় সিঁদুর খেলা দূর্গাদেবীর দশমী বিহিত পূজার আয়োজন করা হয়। পূজান্তে বুড়িগঙ্গায় দর্পন বিসর্জনের মাধ্যমে এবারের দুর্গাপূজার সমাপ্তি হয়েছে।



বিকেল ৩ টায় মহানগর সার্বজনীন পূজা পরিষদের আয়োজনে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে বিজয়া শোভাযাত্রা বের হয়।



{video-on}

 

গতকাল মহানবমীতে কলাবাগান মন্ডপ, ঢাকেশ্বরী, রমনা কালি মন্দির এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল মণ্ডপে শান্তিপূর্ণভাবে মহানবমী উদযাপিত হয়েছে।



সাহবাগ থানার এস.আই টিপু সুলতান জানান, নিরাপত্তার জন্যে বড় মণ্ডপগুলোতে ৫০ জন এবং ছোট মণ্ডপগুলোতে ৫ থেকে ১০ জনের মত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া আনসার, র‌্যাবের সদস্যরাও ছিল মণ্ডপে।





 

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত বলেন, 'আমরা প্রতি বছর নতুন করে শিখছি কিভাবে উৎসবটি আরও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করা যায়। এইবার মানুষের ভির বেড়েছে। কোন বিশৃঙ্খলতা না থাকায় মানুষের আস্থার জায়গা বেড়েছে, হয়েছে সামাজিক, মানসিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন। একারণে পুজার সংখ্যা ও বেড়েছে। ৩১২১২টি ছোট বড় পুজা মণ্ডপ ছিল দেশব্যাপি যা গতবারের চেয়ে প্রায় ১২০০টি বেশি । এটা সম্ভব হয়েছে সরকারের মৌলবাদি সংগঠনগুলোকে শক্ত হাতে দমন করার জন্য।'



তিনি আরও বলেন, 'বাঙালি জাতি শুরু থেকেই সার্বজনিন এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার ভেতর দিয়ে গড়ে উঠেছে। ধর্ম এবং গোত্রের পার্থক্য থাকলেও সংস্কৃতির জায়গা থেকে আমরা নির্বিভেদ'।



প্রতিদিনই নেত্রীরা আসছেন এবং পরিস্থিতি দেখে জাচ্ছেন। গতকাল কালি মন্দিরে এসেছিলেন সমাজকল্যান মন্ত্রি রাশেদ খান মেনন। তার আগে, সপ্তমিতে রাষ্ট্রপতি সকল মণ্ডপ এবং মন্দির ঘুরে দেখেছেন।



পূজা উপলক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি মন্দিরে ৫০০ কেজি করে মোট ১৭ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে ঢাকা সিটি করপোরেশন ১২৫ টি মন্দিরে পাঁচ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছে। এছাড়াও সর্বপরি সহায়তায় আছে হিন্দুধর্ম কল্যান ট্রাস্ট।



এবার মা এসেছিলেন 'ঘোটকে' চড়ে এবং বিদায় নিলেন 'দোলায়' চড়ে। এ ব্যপারে অনেকেরই মতোবিরধ রয়েছে। ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের পুরোহিত বরুন চক্রবর্তী বলেন, মা প্রতিবছর আসেন সন্তানদের জন্য সুখ ও শান্তি নিয়ে। ফেরত জান সকল অসুখ ও দৈনতা নিয়ে। ঘোড়ায় চড়ে আসার কারণে কিছু ভুমিকম্প, জলাতঙ্ক দেখা দিতে পারে। দোলায় ফেরত জাওয়ার কারণে এবার শস্য এবং ফসল ভালো হবে।



অন্যদিকে, কলাবাগান মণ্ডপের প্রধান পুরোহিত সজল চক্রবর্তী বলেন, "ঘোটকে চড়ে আসা মঙ্গল জনক এবং এখানে কোন বিপদের সঙ্কা নেই"।



প্রতিদিনই মুলত তিনবেলা করে প্রধান পূজার আয়োজন করা হয়। ঘর স্থাপন, মহাস্রানের মধ্য দিয়ে ধুপ, পুস্প, ঘি, মধু বিভিন্ন উপকরনের মাধ্যমে দুর্গাদেবীর আরাধনা করা হয়। সকালে ‘মা’কে স্নান করিয়ে ভোগ সামগ্রি দিয়ে অর্চনা করে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করা হয়। তারপর দুপুরে আয়জিত করা হয়েছিল সন্ধি পূজার যার মাধ্যমে ‘মা’কে কুমারী হিসেবে বরণ করে নেওয়া হয় এবং সন্ধায় অঞ্জলির মাধ্যমে প্রতিদিনের কার্যক্রম শেষ হয়।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top