সিডনী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৫ই বৈশাখ ১৪৩১


একটি চমৎকার ভালবাসার গল্প : মোঃ শামছুল আলম 


প্রকাশিত:
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৩:৫৮

আপডেট:
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৮:৩৮

 

আমরা অনেক সময় মনে করি ইসলামে ভালোবাসা বলে কিছু নেই, শুধু চোখ-মুখ বুজে রোবটের মত জীবন কাটাব!
আসলে কিন্তু তা সঠিক নয়, বরং আমাদের নবীজি (সা:) তার স্ত্রীদেরকে অনেক ভালোবাসতেন। নবী করিম (সাঃ) এর ভালোবাসায় ছিল না কোন মিথ্যা, বেহায়াপনা বা অশ্লীল কিছু। সেই ভালবাসা ছিল পবিত্র যা আমাদের জন্য আদর্শ এবং অনুসরনীয়।

আমাদের চারপাশে হওয়া Maximum বিয়ে-পূর্ববর্তী রিলেশনের বেশীরভাগ সময়েই সম্পর্কগুলো বিয়ে পর্যন্ত পূর্ণতা পায় না। আর বিয়ে পর্যন্ত গড়ালেও আবেগের সাথে সাথে যখন সীমাহীন দায়িত্ব এসে ভর করে, তখন আবেগগুলো ফিকে হওয়া শুরু করে! একে অপরকে পুরোপুরি বুঝতে পারে’ এমন দাবি করা প্রেমিকযুগল বিয়ের পর আবিষ্কার করে সম্পূর্ণ নতুন আরেকজনকে! এ কারণেই হয়তো ‘লাভ মেরেজ’ গুলোতে ‘Divorce’ এর হার অস্বাভাবিক রকমের বেশি! কারণ, এ বিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করা হয়নি। তাই এতে আল্লাহর কোনো রহমত থাকে না।

প্রথম প্রেম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত পাশে থাকার যে ফ্যান্টাসি সমকালীন সাহিত্যে দেখানো হয়, তা কেবল উপন্যাস কিংবা রূপালী পর্দাতেই সীমাবদ্ধ! বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বলে। ‘কাছে আসার গল্প’গুলোতে দূরে সরে যাবার সম্ভাবনাই থাকে অনেক বেশি।
পবিত্র এ ভালবাসার সাথে অপবিত্র ও নেতিবাচক কোন কিছুর সংমিশ্রণ হলে তা আর ভালবাসা থাকে না, পবিত্রও থাকে না; বরং তা হয়ে যায় ছলনা, শঠতা ও স্বার্থপরতা।

ভালবাসা, হৃদয়ে লুকিয়ে থাকা এক অদৃশ্য সুতোর টান। কোন দিন কাউকে না দেখেও যে ভালবাসা হয়; এবং ভালবাসার গভীর টানে রূহের গতির এক দিনের দূরত্ব পেরিয়েও যে দুই মুমিনের সাক্ষাত হতে পারে তা ইবন আব্বাস (রাঃ) এর এক বর্ণনা থেকে আমরা পাই। তিনি বলেন-
‘‘কত নি‘আমতের না-শুকরি করা হয়, কত আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করা হয়, কিন্তু অন্তরসমূহের ঘনিষ্ঠতার মত (শক্তিশালী) কোন কিছু আমি কখনো দেখি নি।’’ (ইমাম বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ :হাদীস নং২৬২)

আজ আমি ভালবাসার চমৎকার একটি গল্প বলবো। গল্পের নায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব, সায়্যিদুল মুরসালিন, খাতামান্নাবিয়্যিন হযরত রাসুলে পাক (সাঃ)।

ধীর-স্থির যুবক! চাচার ঘরে মানুষ হয়েছেন। সমাজের কলুষতা থেকে দূরে নির্জনে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন। প্রচণ্ড সৎ ও সত্যবাদী হবার কারণে সবাই তাঁকে ‘আল-আমিন’ নামে ডাকে। সম্ভবত এ কারণেই তিনি সে  সময়ের অন্যতম ধনাঢ্য ব্যবসায়ী খাদিজা (রাঃ) এর চোখে পড়েন। তিনি মুহাম্মাদ (সাঃ) কে তাঁর হয়ে ব্যবসা করার জন্য প্রস্তাব পাঠান-

“একজন সৎ ও সত্যবাদী মানুষের বড় প্রয়োজন আমার। আপনার 'আল-আমিন' খ্যাতি আমাকে আকৃষ্ট করেছে আপনার প্রতি। যদি এ বিশ্বাসের মর্যাদা আপনি রক্ষা করেন এবং আমার ব্যবসা-বাণিজ্যের দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তাহলে সন্তুষ্টচিত্তে আমি দ্বিগুণ লভ্যাংশ দিতে রাজি। এ প্রস্তাব মনঃপুত হলে আমি আপনাকে স্বাগত জানাই।”

মুহাম্মাদ (সাঃ) এ প্রস্তাব গ্রহণ করলেন। তিনি খাদিজা (রাঃ) এর দাস মাইসারাহ ও পণ্যসামগ্রী নিয়ে সিরিয়ার পথে রওনা দিলেন। সিরিয়ায় পৌছে তিনি গির্জার কাছে এক গাছের নিচে বিশ্রাম নিলেন। তখন গির্জা থেকে এক পাদ্রী বের হয়ে মাইসারাহকে জিজ্ঞেস করলো-

“গাছটির নিচে যিনি বিশ্রাম নিচ্ছেন উনি কে?” মাইসারাহ বললেন, “তিনি হারামের অধিবাসী।” পাদ্রী বললো, “এই গাছের নীচে নবী ছাড়া আর কেউ কখনো বিশ্রাম নেয়নি।”

পাদ্রীর এই কথাটি সিরিয়া থেকে ফিরে মাইসারাহ খাদিজা (রাঃ)-কে অবহিত করেন। ঘটনাটি খাদিজা (রাঃ) এর মনে দাগ কাটে। তিনি তাঁর চাচাতো ভাই ওরাকা বিন নওফলকে  (যিনি ছিলেন সে সময় তাওরাত ও ইঞ্জিলের একজন বিজ্ঞ পণ্ডিত) পাদ্রীর কথাটি জানান। সব শুনে ওরাকা বললেন-

“যদি এ ঘটনাগুলো সত্য হয় তবে অবশ্যই তিনি মুহাম্মাদ
(সঃ) এবং উম্মতের নবী। আর আমি ভালোভাবেই জানি আমরা যার অপেক্ষা করছি, তার সময় খুব কাছেই।”

ওরাকার এ কথা খাদিজা (রাঃ)-কে ভীষণভাবে আলোড়িত করে। এদিকে ব্যবসাতেও মুহাম্মাদ (সাঃ) রেকর্ড পরিমাণ লাভ করে আসেন। মুহাম্মাদ (সাঃ) এর সততা তাঁকে মুগ্ধ করে। তিনি মুহম্মদ (সাঃ)-কে বিয়ে করতে আগ্রহবোধ করেন।

আমাদের দেশের কিছু মুনাফিক লোক আছেন যারা বলে থাকে যে- নবী (সঃ) বড় লোক খাদিজা (রাঃ) কে আগে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন! (নাউজুবিল্লা)।
লোকগুলো এ কথা কখনোই বলবে না যে ব্যবসা এবং বিয়ের প্রস্তাব কিন্তু খাদিজা (রাঃ) স্বয়ং রাসূল (সাঃ)-কে দিয়েছিলেন।

চাচা আবু তালিবের সাথে পরামর্শ করে মুহাম্মাদ (সাঃ) বিয়েতে রাজি হন। তখন নবী (সঃ) এর বয়স ছিলো পঁচিশ আর খাদিজা (রাঃ) এর বয়স ছিলো চল্লিশ। তাঁদের বিয়েতে আবু তালিব খুতবা পাঠ করেন। বিয়ের পরে কি খাদিজা (রাঃ) এর মোহ কাটতে শুরু করেছিল? না, ঘটনাটি আমাদের বর্তমান সময়ের মতো এগোয়নি।

বরং তাঁর মুগ্ধতা বহুগুণে বেড়েছিলো! মুহাম্মাদ (সাঃ), খাদিজা (রাঃ) এর সম্পদের কোনো অপব্যবহার না করে আগের মতোই সাদা-সিধে জীবনযাপন করতে থাকেন। বিয়ের পর মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে খাদিজা (রাঃ) এর দৃষ্টিভঙ্গি কেমন ছিল তা আমরা সহজেই বুঝতে পারি নবুওয়্যাতের ঘটনা থেকে। মুহাম্মাদ (সাঃ) যখন প্রথম ওহীপ্রাপ্ত হন এবং জীবনের আশংকা করে কাঁপতে কাঁপতে ঘরে প্রবেশ করেন, তখন খাদিজা (রাঃ) তাঁকে বস্ত্রাবৃত করে আত্মবিশ্বাসের সাথে বলেন-

"অসম্ভব! আপনাকে কখনো আল্লাহ তা’আলা অপমান করবেন না। আপনি আত্মীয়-স্বজনের হক আদায় করেন। বিপদগ্রস্ত লোকদের সাহায্য করেন। মেহমানদারী ও সত্যের পথে বিপদাপদে সহায়তা করেন।”

রাসূল (সাঃ) আর খাদিজা (রাঃ) এতটাই পরিপূরক ছিলেন যে তাঁর জীবদ্দশায় তিনি দ্বিতীয় কোন বিয়ে করেননি। ইবরাহীম (রাঃ) ব্যতীত রাসূল (সাঃ) এর সকল সন্তান-সন্ততি খাদিজা (রাঃ) এর গর্ভেই হয়েছিলেন।

খাদিজা (রাঃ) এর মৃত্যু রাসূল (সাঃ) কে এতটাই ব্যথিত করে যে, তিনি যে বছর মারা যান সে বছরকে সীরাতকারকেরা “দুঃখ ও বিষণ্ণতার বছর” নামে অভিহিত করেছেন।

নবী (সাঃ) এর ভালোবাসা আমাদের ভালোবাসার মতো এত ঠুনকো ছিল না। তাই মৃত্যুর পরেই তা শেষ হয়ে যায়নি। পরবর্তীতে দ্বীনের স্বার্থে ও ওহীর ইশারায় তিনি বেশ কয়েকটি বিয়েতে আবদ্ধ হন, কিন্তু খাদিজা (রাঃ) সবসময়ই তাঁর স্মৃতিতে অমলিন ছিলেন। 
খাদিজা (রাঃ) এর মৃত্যুর পর একবার তাঁর বোন হালাহ (রাঃ) রাসূল (সাঃ) এর সাথে দেখা করতে আসেন এবং ভেতরে প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা করেন। তাঁর কণ্ঠস্বর ছিল অনেকটা খাদিজা (রাঃ) এর মতোই। সে স্বর শুনতে পেরেই রাসূল (সাঃ) এর খাদিজা (রাঃ) এর কথা মনে পড়ে গেলো। তিনি বললেন-

“হালাহ হবে হয়তো।” আয়েশা (রাঃ) সেখানে উপস্থিত ছিলেন।তিনি বললেন, “আপনি এখনো সে বৃদ্ধার কথা মনে করেন, তার এমনি প্রশংসা করেন, আল্লাহ যে আপনাকে তার চেয়ে উত্তম বদলা দিয়েছেন।” এ কথা শুনে রাসূল (সাঃ) খুব রাগ করে বললেন-
“আল্লাহর শপথ ! আল্লাহ তা’আলা আমাকে তার চেয়ে উত্তম বদলা দেননি। মানুষ যখন আমার উপর ঈমান আনতে অস্বীকার করেছিলো, তখন সে আমার উপর ঈমান এনেছিলো। যখন সবাই আমাকে মিথ্যুক বলেছে, তখন সে আমাকে সত্যবাদী বলেছে।” 
নবী (সাঃ) যখনই কোন ছাগল জবাই করতেন, তখন খাদিজার (রাঃ) ভালোবাসার স্মরণে সে ছাগলের গোশত খাদিজা (রাঃ) এর বান্ধবীদের উপহারস্বরূপ পাঠিয়ে দিতেন।

বদর যুদ্ধে বন্দীদের মধ্যে ছিলেন রাসূল (সাঃ) এর জামাতা আবুল আস। তিনি রাসূল (সাঃ) এর কন্যা যায়নাবের স্বামী ছিলেন। মুসলিমগণ যখন বন্দীদের মুক্তির জন্য পণ পাঠানোর ব্যবস্থা করলেন, তখন যায়নাব নিজ গলার হার স্বামীর মুক্তির জন্য পাঠিয়ে দেন। এ হার খাদিজা (রাঃ) যয়নাবের বিয়ের সময় নিজের গলা থেকে খুলে দিয়েছিলেন। রাসূল (সাঃ) এ হার দেখে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেন না। নবী (সঃ) এর চোখ পানিতে ভিজে গেলো। তিনি সাহাবীদের বললেন-

“তোমরা যদি রাজি থাকো, তাহলে এই হার ফিরিয়ে দাও এবং বন্দীকে পণ ব্যতীতই মুক্ত করে দাও।”

আমাদের বর্তমান সময়ে বিয়ের একটা প্রধান কারণ থাকে সাময়িক মোহ ও যৌনতা। ছল্লিশ বছরের একজন মহিলার সাথে পঁচিশ বছরের এক যুবকের বিয়েতে এসবের কিছুই ছিলো না। ছিলো আল্লাহর জন্য ভালোবাসা এবং পারস্পরিক চিরস্থায়ী মুগ্ধতা।
তাহিরা (খাদিজা রাঃ) ও আল-আমিনের ভালোবাসা তাই একজনের মৃত্যুতেই শেষ হয়ে যায়নি।

আমাদের বর্তমান প্রজন্মের ভালোবাসা (I love you) তেই শেষ হয়ে যায়, সেখানে (for Allah) কথাটি থাকে না। মহান আল্লাহ তা’আলা এসব চোখ-ধাঁধানো কিন্তু অন্তঃসারশুন্য প্রেম-ভালোবাসা থেকে আমাদের দূরে রাখুন। 

নবী (সা.) স্ত্রীদের সাথে কোমল ও ভালোবাসার আচরণ করতেন। নিন্মে এমন কিছু দিক-নির্দেশনা তুলে ধরা হলো-

এক. হজরত আবু হুরাইরা (রা.) তার বর্ণিত হাদীসটি বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি তারা যারা তাদের স্ত্রীদের কাছে সর্বোত্তম। (তিরমিজি)

দুই. হজরত আবু হুরাইরা (রা.) তার অন্য এক হাদীসে বর্ণনা করেছেন যে নবী (সা.) বলেছেন, একটি মুমিন কখনো মুমিন নারীকে (তার স্ত্রীকে) অপছন্দ করতে পারে না। তার একটি গুণ অপছন্দ হলে অন্যটি অবশ্যই পছন্দ হবে। (মুসলিম)

তিন. আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আল আস (রা.) বলেন, নবী (সা.) বলেছেন, সব থেকে আনন্দিত ব্যক্তি সে, যার একটি উত্তম স্ত্রী আছে। (মুসলিম)

চার. আনাস (রা.) হাদিসে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূল (সা.) কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, হে আল্লাহর রসূল, আপনার কাছে কে বেশি প্রিয়? তিনি উত্তরে বললেন, আয়েশা। তাকে আরো জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, এবং পুরুষদের মধ্যে? তিনি বলেন, তার বাবা। (ইবনে মাজাহ)

পাচ. আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) তার ঋতুস্রাবের সময় তাকে একটি পানি পান করার জন্যে পাত্র দিতেন। আয়েশা যেখানে তার ঠোঁট লাগিয়ে পানি পান করতেন, নবীও সেই একই জায়গা থেকে পানি পান করতেন। (নাসায়ি শরিফ)

ছয়. আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে নবী (সঃ) ছিলেন একজন পারস্যের প্রতিবেশী যিনি স্যুপ রান্নায় ভালো ছিলেন। একদিন তিনি কিছু স্যুপ প্রস্তুত করলেন এবং নবীকে দাওয়াত করলেন। সেসময় সেই কক্ষে হজরত আয়েশা (রাঃ) ও উপস্থিত ছিলেন। নবী (সা.) প্রতিবেশীকে বললেন তাকে নিমন্ত্রণে অন্তর্ভুক্ত করতে কিন্তু সে তাতে অসম্মতি জানালো। সুতরাং, নবী এই নিমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করলে সেই প্রতিবেশী আবার নবী (সাঃ) কে বিশেষভাবে নিমন্ত্রণ করলেও নবী আবারও নিমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন। তৃতীয় প্রচেষ্টায়, নবী (সঃ) এবং আয়েশা উভয়কে নিমন্ত্রিত করা হলো তারপর নবী (সাঃ) তার নিমন্ত্রণ গ্রহণ করলেন এবং তারা সেই প্রতিবেশীর বাসায় নিমন্ত্রণ খেলেন। (মুসলিম)

আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেছেন, ‘আল্লাহর কুদরতের মধ্যে অন্যতম একটি নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকে তোমাদের স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাকো এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও অনুগ্রহ সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয়ই এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্য নিদর্শনাবলি রয়েছে।’ (সূরা রুম : ২১)।

ভালবাসা ছাড়া পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব। তাইতো পরম মমতা ও ভালবাসা নিয়ে রাসুল (সাঃ) এসেছিলেন এ ধরাতে। আল্লাহ তায়ালা রাসুল (সাঃ) কে ‘রহমাতুল্লিল আলামিন’ তথা সমগ্র বিশ্বের জন্য করুণার মূর্তপ্রতীক হিসেবে ঘোষণা করেছেন। ইরশাদ হয়েছে-

‘আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্য ভালবাসা ও রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি।’ (সূরা আম্বিয়া : ১০৭)।

পরিশেষে বলব মহান আল্লাহ তা’আলা আমাদের সেই পবিত্র ভালোবাসার সাথে যুক্ত করুন, যে ভালোবাসাতে সততার মুগ্ধতা থাকবে। এবং যে ভালোবাসার কারণেই স্ত্রী/স্বামী গভীর রাতে একসাথে তাহাজ্জুদ পড়ার জন্য স্ত্রী/স্বামীর মুখে পানি ছিটিয়ে দেয়, অসম্ভব সুন্দর একটা তারা ভরা রাতে গভীর মমতায় আর্দ্র এক কণ্ঠ বলে উঠে- " আমি ভালবাসি তোমাকে, তাই জান্নাতেও আমরা এক সাথে থাকতে চাই।"

 

মোঃ শামছুল আলম
লেখক ও গবেষক

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top