সিডনী বুধবার, ৮ই মে ২০২৪, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩১


যে কারনে এক দিনে সারা পৃথিবীতে রোযা ও ঈদ পালন সম্ভব নয়


প্রকাশিত:
১৫ জুন ২০১৮ ০৭:১২

আপডেট:
৮ মে ২০২৪ ০৪:০৯

যে কারনে এক দিনে সারা পৃথিবীতে রোযা ও ঈদ পালন সম্ভব নয়

“পৃথিবীর দুটি স্থানের সর্বোচ্চ সময়ের পার্থক্য ১৪ ঘণ্টা। সুতরাং কখনো এক দিনে পৃথিবীর সব দেশে রোযা ও ঈদ পালন করা সম্ভব নয়।”



পৃথিবীর এমন অনেক স্থান আছে যেখানে সন্ধ্যা হলে অন্য স্থানে সকাল। আর আমরা জানি, শরীয়তের দিন শুরু হয় সন্ধ্যার পর থেকে। সুতরাং কোন স্থানের সন্ধ্যায় চাঁদ দেখে, যে স্থানে সকাল সেখানে যদি ঈদ পালন করতে হয় তবে ঐ স্থানের দিনটি হবে অপূর্ণ। 



কেননা, ঈদ পালনের দিনটির রাতটি তাহলে কোথায়? অথচ হাদীছ শরীফ-এ রয়েছে ঈদের রাতে দোয়া কবুল হয়। তাহলে কোন স্থানের সন্ধ্যায় চাঁদ দেখে পৃথিবীর সব দেশে ঈদ পালন করতে চাইলে পৃথিবীতে বহু দেশের অধিবাসীরা এই দোয়া কবুলের রাত পাবে না।



শরীয়তের পূর্ণ দিন পাবে না। আর এরকম অবস্থায় ঈদ, রোযা পালন করা শরীয়ত কখনো সমর্থন করে না।



শুধু ঈদ কেন, রোযার কথাই ধরা যাক। পৃথিবীতে এমন অনেক স্থান আছে যেখানে সন্ধ্যায় রোজার চাঁদ দেখা গেলে অন্যস্থানে সকাল গড়িয়ে প্রায় দুপুর। যে অঞ্চলে সকাল সে অঞ্চলের অধিবাসীরা পূর্বে তারাবীহ পড়েননি, সাহরীও খাননি বরং সকালের নাস্তা শেষ করেছেন। তাহলে অন্য অঞ্চলের সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা গেলে সেই চাঁদ দেখে কিভাবে তারা রোযা পালন করবেন? 



তাহলে দেখা যাচ্ছে, সারা বিশ্বে একদিনে ঈদ এবং রোযা পালনকারীদের শরীয়তের ইলমের যেমনি অভাব রয়েছে তেমনি রয়েছে ভৌগোলিক জ্ঞানের অভাব।



অনেকেই বলে থাকে- যদি পৃথিবীর সব দেশের শুক্রবারেই জুমার নামায আদায় হয় তাহলে এক দিনে ঈদ পালন করা সম্ভব নয় কেন? 



পৃথিবীর সব দেশের জুমার দিনে যেমনি জুমার নামায আদায় হয় তেমনি সব দেশের পহেলা শাওয়ালেই ঈদ পালিত হয়। অর্থাৎ একটি দেশের পহেলা শাওয়ালের সকালে অন্য অনেক স্থানে ৩০শে রমজান সন্ধ্যা আবার কোন দেশ পহেলা শাওয়ালের ঈদ পালন করে সন্ধ্যায় যখন পৌঁছেছে তখন অন্য দেশে ঈদ পালন শুরু হয়েছে। যেহেতু পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে সময়ের পার্থক্য রয়েছে এবং এই পার্থক্য ১৪ ঘণ্টারও বেশি সুতরাং কোন দেশে ঈদ পালিত হলে অন্য দেশে ঈদ পালন শেষ হবে; এটাই স্বাভাবিক এবং এটাই শরীয়তের নিয়ম।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top