বিপিএল ২০২৪: টুর্নামেন্ট সেরার দৌড়ে এগিয়ে যারা


প্রকাশিত:
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:১২

আপডেট:
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:৩০

সংগৃহীত

শেষ হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশতম আসরের লিগ পর্ব ও প্লে-অফ রাউন্ড। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মুখোমুখি হবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংস। দলগত চ্যাম্পিয়ন তকমা পাওয়ার যে লড়াই, সেই মঞ্চ প্রস্তুত। একইসাথে আসরের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার দৌঁড়ে রয়েছেন একাধিক খেলোয়াড়। ব্যাট-বল হাতে কিংবা অলরাউন্ডার নৈপুণ্যে আসর মাতিয়েছেন একাধিক খেলোয়াড়। ব্যক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বের অর্জনে এগিয়ে কারা, দেখা যাক সেই তালিকা।

সবশেষ দুই আসরে দাপট ছিল ব্যাটারদেরই। ২০২৩ আসরে ৫১৬ রান করে শান্ত, আর সবশেষ আসরে ৪৯২ রান করে আসরসেরা হয়েছিলেন তামিম ইকবাল। এবারের আসরে তাই ব্যাটিং কার্ডটাই দেখা যাক আগে।

ব্যাটিংয়ে নাঈম শেখের নামটা শীর্ষস্থান থেকে নামার সুযোগ নেই। প্রায় ৪৩ গড়ে ১৪৪ স্ট্রাইকরেটে ৫১১ রান করে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন খুলনার এই ওপেনার। ১ সেঞ্চুরি আর তিন ফিফটিতে আসর জুড়ে ব্যাট হাতে দাপিয়েছেন এই ব্যাটার।

সেরা পাঁচ ব্যাটারের তালিকায় বরিশালের কেউ নেই। ৩৮৭রান নিয়ে পাঁচে আছে আরেক ফাইনালিস্ট চট্টগ্রামের বিদেশি ব্যাটার গ্রাহাম ক্লার্ক। বিপিএলের এক আসরে পাঁচশো রানের মাইলফলক অতিক্রম করা তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে তাই সেরার পুরস্কারের সবচেয়ে বড় দাবিদার নাঈম শেখ।

চোখ রাখা যাক সেরা বোলারদের তালিকায়। সবাইকে ছাপিয়ে ২৫ উইকেট নিয়ে টেবিল টপার তাসকিন আহমেদ। যদিও আগেই ছিটকে গিয়ে এই স্পিডস্টারের আক্ষেপ বাড়িয়েছে তার দল দুর্বার রাজশাহী। এই তালিকার সেরা পাঁচে আছেন দুই ফাইনালিস্ট বরিশাল-চিটাগংয়ের দুই পেসার। সমান ২০ উইকেট নিয়ে সেরার তালিকায় বরিশালের ফাহিম আশরাফ আর চট্টগ্রামের খালেদ আহমেদ। ব্যাট হাতে ৬৪ রানও আছে খালেদের। তাই মুকুটের লড়াই হতে পারে তাসকিন বনাম খালেদের মধ্যেই।

আসরের সেরা অলরাউন্ডার তালিকায় কাউকে খুঁজতে গেলে শুরুতেই আসবে খুলনার অধিনায়ক মেহেদী মিরাজের নাম। ব্যাট হাতে ৩৫৫ রান আর বল হাতে ১৩ উইকেটের মালিক মিরাজ বেশ ভালোভাবেই আছেন আসর সেরার রেসে।

বিপিএলের গত ১০ আসরে ৪ বারই টুর্নামেন্টসেরার পুরস্কার গেছে সাকিব আল হাসানের হাতে। তিন বার নিয়ে গেছেন বিদেশিরা। দুই ফাইনালিস্টের বাইরে আসর সেরার পুরস্কার পেয়েছেন সাকিব আর মাহমুদউল্লাহ। ২০১২ ও ২০১৬ বিপিএলের ইতিহাসে কেবল দুই বারই ঘটেছে এই ঘটনা। কাকতালীয়ভাবে দু’বারই পেয়েছেন খুলনার ক্রিকেটার। এবারও কি তবে তাই? তাহলে মেহেদী মিরাজের হাতে উঠতেই পারে প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার।

সবকিছু ছাপিয়ে এখন সবার নজর শুক্রবারের ফাইনালে। প্রস্তুত শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। বরিশালের ব্যাক টু ব্যাক শিরোপা, নাকি এক যুগ পর ফিরে আসা চিটাগং ফ্র্যাঞ্চাইজির নতুন চ্যাম্পিয়নের তকমা। সবশেষ চিটাগং কিংস (এই ফ্র্যাঞ্চাইজি) ২০১৩ সালের ফাইনালে হেরেছিল ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের কাছে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top