সিডনী মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ ২০২৪, ৫ই চৈত্র ১৪৩০

৩০ মার্চ খুলছে বাংলাদেশের স্কুল-কলেজ, আর ২৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়: মু: মাহবুবুর রহমান


প্রকাশিত:
১ মার্চ ২০২১ ১৯:৩১

আপডেট:
১৯ মার্চ ২০২৪ ১১:২৮

ছবিঃ শিক্ষা মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি

 

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এক বছর বন্ধ থাকার পর আগামী ৩০ মার্চ থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাস শুরু হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। 

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। 

শিক্ষামন্ত্রী জানান, সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া পঞ্চম, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ক্লাস হবে প্রতিদিন। অন্য শ্রেণিতে সপ্তাহে একদিন করে ক্লাস নেয়া হবে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবার রমজানের মধ্যেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে বলেও জানান তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী ব্রিফিংয়ে বলেন, যেসব শ্রেণির শিক্ষার্থী এখন সপ্তাহে একদিন আসবে, অবস্থা বুঝে পরে তাদের প্রথমে ২ দিন, এরপর হয়তো প্রতিদিনই আনার সিদ্ধান্ত হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে স্বাভাবিকের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এসএসসির জন্য ৬০ কর্মদিবস এবং এইচএসসির জন্য ৮০ কর্মদিবসের একটি সিলেবাস প্রণয়ন করেছি। এসএসসি শিক্ষার্থীদের ৬০ কর্মদিবস এবং এইচএসসি শিক্ষার্থীদের ৮০ কর্মদিবস ক্লাস করিয়ে পরীক্ষা নেয়া হবে।’

এদিকে মন্ত্রিসভার বৈঠকে গত সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিবেশ পর্যালোচনা করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সেদিনই এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি জানান, দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে ২৪ মে থেকে। আর আবাসিক হল খুলবে ১৭ মে।

টিকা প্রদানের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ১৭ মে বিশ্ববিদ্যালয় হল খুলে দেওয়ার আগে টিকা দেয়ার কাজ শেষ করা হবে। ইতোমধ্যে প্রাথমিকের দেড় লাখ শিক্ষকের টিকা দেয়ার কাজ শেষ হয়েছে। বাকিরাও করোনার টিকা নিচ্ছেন। সুরক্ষাডটকমে শিক্ষকদের যুক্ত করা হয়েছে। তারা সেখানে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা নিতে পারছেন। দীপু মনি জানান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২২০টি ছাত্রাবাসের প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার আবাসিক শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়ার তৎপরতা চলছে। 

বাংলাদেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর দফায় দফায় সেই ছুটি বাড়ানো হয়েছিল। সবশেষ ঘোষণা অনুসারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ছিল।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় দেশের প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর পড়াশোনা ঝুঁকিতে পড়েছে। গত বছরের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা বাতিল করা হয়। গত বছর উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষাও নেয়া হয়নি। জেএসসি, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার গড় ফলের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থীরা ওপরের শ্রেণিতে উঠেছে।

 

মু: মাহবুবুর রহমান 
নিউজিল্যান্ডের মেসি ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top