সিডনী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১

অনলাইন ক্লাস নিয়ে যত অভিযোগ : মাহবুবুল আলম


প্রকাশিত:
৭ আগস্ট ২০২০ ০০:০৯

আপডেট:
৭ আগস্ট ২০২০ ০০:১১

 

দেশের শুধু উচ্চশিক্ষা নয়, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক সকল পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম করোনা ভাইরাস স্থবির করে রেখেছে। মুষৃটিমেয় কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ক্লাসের সুযোগ পেলেও সবাই পাচ্ছে না। এক্ষেত্রে একটি অসমতা তৈরি হচ্ছে। কেউ কেউ আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বকেয়া পাওনা আদায়ের জন্যও অনলাইন ক্লাসের নামে এক ধরণের প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে বলে অনেক অভিযোগ অাসছে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকদের মধ্যে রিটও হয়েছে।
কোথাও কোথাও কিছু অনলাইন ক্লাস হলেও অধিকাংশ স্থানে তা হচ্ছে না। এ নিয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এক ধরণের বৈষম্য সৃষ্ট হয়েছে। কিন্তু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধানের ৯ নম্বর অনুচ্ছেদে অনুযায়ী (১) সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করিতে সচেষ্ট হইবেন। (২) মানুষে মানুষে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসাম্য বিলোপ করিবার জন্য নাগরিকদের মধ্যে সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করার জন্য এবং প্রজাতন্ত্রের সর্বত্র অর্থনৈতিক উন্নয়নের সমান স্তর অর্জনের উদ্দেশ্যে সুষম সুযোগ-সুবিধা দান নিশ্চিত করিবার জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা করিবেন।’ এই অনুচ্ছেদের আলোকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন হলেও হচ্ছে না।
দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস পর দেশের প্রাইভেট ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চালু হয়েছে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম। তবে, উপকরণের স্বল্পতা, নির্দিষ্ট নীতিমালা ও শিক্ষকদের অনেকটা কোন প্রশিক্ষণ ছাড়াই শুরু হয় এ কার্যক্রম। যা নিয়ে রয়েছে শিক্ষার্থীদের বিস্তর অভিযোগ। বিশেষ করে ডিভাইস ও মানসম্মত ইন্টারেন্ট সুবিধা না পাওয়ায় ক্লাস নিয়ে পড়ছেন নানা বিপাকে। 
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী তার প্রতিক্রিয়ায় লিখেছে-বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকে শিক্ষার্থী গ্রামে থাকে। বর্তমানে তারা গ্রামেই অবস্থান করছে। তাদের অধিকাংশই গরীব অস্বচ্ছল পরিবারের মেধাবী সন্তান। অনেকের ইন্টারনেট কেনার সামর্থ্য নেই। কারণ বর্তমান করোনা, আম্পান, সামুদ্রিক লঘুচাপ এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সবাই বেকার ও মানবেতর জীবন যাপন করছে। অনেক গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, আবার অনলাইনে ক্লাস করতে গেলে অনেক সময় বাফারিংসহ ডাটা মুড দুর্বল হয়ে যায়। আর বাংলাদেশের ইন্টারনেট অনেক ব্যয় সাপেক্ষ, যা ক্রয় করা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। আমাদের অনলাইন ক্লাস হচ্ছে, অনেক ছাত্র অনুপস্থিত থাকে। তাদের জিজ্ঞেস করার পর জানালো ডাটা ব্যবহার করার পরও অনেকসময় ক্লাস স্কিপ এবং বাফারিং হয়। ক্লাস বোঝা যায় না। অনেকের সামর্থ্যের বাইরে। তাছাড়া নগর মহানগরীতে যেখানে হাইস্পিড ইন্টারনেট ক্যানেকশনে বাফারিং এর কারণে ঠিক মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমই ব্রাউজ করা যা না সেখানে প্রত্যন্ত গ্রাম টু-জি, থ্রি-জির ঠকানো মোবাইল কোম্পানীর ডাটাপ্যাক কিনে অনলাইনের ক্লাস বুঝ নেয়া শতকরা অাশিভাগ বা তারও বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর পক্ষেই অনলাইনের ক্লাস বুঝে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
অনেক জায়গায় প্রথম দিন সবাই ঠিকঠাকমতো ক্লাস করতে পারলেও দ্বিতীয় দিন থেকে শুরু হয় সমস্যা। কারও বাসায় বিদ্যুৎ নেই। কারও ওয়াই-ফাই ঠিকমতো কাজ করছে না। শিক্ষক সময়মতো ক্লাসে জয়েন করতে পারছেন না। কাউকে কিছু জিজ্ঞাসা করা হলে উত্তর পাওয়া যায় না, কারণ অপর প্রান্তের মানুষটার ইন্টারনেটে সমস্যা হচ্ছে।
এরপর, শিক্ষক যদি কোনো অ্যাসাইনমেন্ট দেন তাহলে খুব কম ছাত্রছাত্রীই পারেন অ্যাসাইনমেন্ট আপলোড করতে, বাকিরা পারেন না।
আর একজন লিখেছেন, ‘অশিক্ষিত ব্যক্তিরাও টাকা গুনতে পারেন এবং মুঠোফোনের নাম্বার ডায়াল করতে পারেন। তার মানে কিন্তু ধরে নেওয়া যাবে না যে, উনি প্রথাগত শিক্ষায় শিক্ষিত। সেইভাবে বাংলাদেশে কতজনের হাতে মোবাইল আছে, সেটা এই অনলাইন শিক্ষার ব্যাপারে বিবেচ্য নয়। বরং বিবেচ্য হলো কতজন আসলেই এই প্রযুক্তি এই কাজে ব্যবহার করতে সক্ষম। ফ্রি ডেটাপ্যাক কেবল আরেকটা ‘ডিজুস ঢেউ’ তৈরি করতে পারবে। যারা শিক্ষা দেবেন তারাই বা কতটুকু এই কাজে দক্ষ? আমার পরামর্শ হচ্ছে এ বিষয়ে ব্যাপক প্রশিক্ষণ দরকার। তারা হোয়াইট বোর্ডের দিকে ক্যামেরা তাক করে পড়াচ্ছেন আর এদিকে শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে চ্যাটে মগ্ন।
প্রযুক্তির চেয়ে প্রয়োজন হলো দক্ষ পদ্ধতি। আমাদের জিনে ঢুকিয়ে দেওয়া আছে, ক্লাসে স্বশরীরে উপস্থিত থেকে পড়া। সেই জিনিসকে রাতারাতি ভার্চুয়াল করে ফেললে একটা বিশাল মানসিক প্রস্তুতি দরকার দুপক্ষেরই। এই ব্যাপারটা কি কোন প্ল্যানে আছে? সম্ভবত না। কেবল বলে দেয়া হয়েছে, অনলাইনে ক্লাস নেওয়া শুরু করুন। এতো সহজে সবকিছু হলে পৃথিবীর সবাই প্রযুক্তিবিদই হতো।
এআইটি এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি বিষয়ে উচ্চশিক্ষাপ্রাপ্ত আইটি বিশেষজ্ঞ এক অধ্যাপক এ বিষয়ে বলেন, বাংলাদেশের ফোর জি নেটওয়ার্ক সব জেলায় নেই। তিনিও বেশ কয়েকদিন অনলাইনে পাঠদান করেছেন শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগই উপস্থিত থাকতে পারে না। তবে লেকচার রেকর্ড করে রাখা যায়। যারা ক্লাস করতে পারবে না, পরে তারা ডাউনলোড করে নিতে পারবে। লকডাউনে শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হচ্ছে, তা পুষিয়ে নেওয়ার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর সপ্তাতে ছয় দিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে একটি ক্লাসকে দুটি বিভাগে বিভক্ত করে পাঠদান করা যেতে পারে। তাছাড়া তাত্ত্বিক ক্লাসগুলো অনলাইনে পাঠদান করা সম্ভব হলেও ব্যবহারিক ক্লাস অনলাইনে পাঠদান করা সম্ভব নয়।” 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন। তার ভাষ্য এখানে তোলে ধরা হলো: করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের পর থেকেই ঝিনাইদহে গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছেন তিনি।
গেলো জুন মাসে তার বিভাগে অনলাইন ক্লাস চালু হওয়ার পর বিপাকে পড়েছেন মি. হোসাইন।
কারণ তার এলাকায় ইন্টারনেটের দুর্বল নেটওয়ার্ক। তিনি বলেছেন-
"আমি কয়েকটা ক্লাস করেছি। কিন্তু নেট এতো দুর্বল যে, ঠিকমতো টিচারদের লেকচার দেখা কিংবা শোনা যায় না। একদিন এমনও হয়েছে যে, ক্লাসের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ করে বাফারিং শুরু হলো। নেটওয়ার্ক নাই। তখন বাকি ২৫ মিনিট আমাকে গাছে উঠে ক্লাস করা লাগছে।"
মি. হোসাইন জানাচ্ছেন, এখন তিনি বাড়ি থেকে কয়েককিলোমিটার দুরে যেখানে ইন্টারনেট তুলনামূলক ভালো পাওয়া যায়, সেখানে গিয়ে ক্লাস করছেন। কিন্তু এখন তার নতুন চিন্তা ইন্টারনেটের খরচ। মাসে যদি ২০টা ক্লাসও হয়, আমি হিসেব করে দেখলাম আমার ছয় থেকে সাতশত টাকা খরচ হবে।
এপ্রিলের শেষ দিকে প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ক্লাস-পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এমন সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হয়ে ইউজিসি জানায়, অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়ার সক্ষমতা অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েরই রয়েছে। এরপরই একে একে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চালু হয় অনলাইন ক্লাস। যা দেশের ৬৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান রয়েছে। এর মধ্যে ৫৬টি বেসরকারি ও ৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। 
গত জুন থেকে অনলাইনে ক্লাস চালু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি বিভাগে। এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান রয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দিকে ৭০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী উপস্থিতি থাকলেও, ক্রমান্বয়ে তা কমছে। ফলে, শিক্ষার্থীদের মাঝে তা নিয়ে রয়েছে অস্থিরতা ও হতাশা। 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে ক্লাস চালু হয়েছে গত জুন মাসে। যেখানে ৪০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। কারণ হিসেবে স্মার্টফোন না থাকা, ইন্টারনেটের ধীরগতি ও সাময়িক আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণকে দেখা হচ্ছে। 
বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস-এর ২০১৯ সালের এক জরিপ বলছে, বাংলাদেশে মাত্র ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ গৃহস্থলির ইন্টারনেট একসেস আছে। আর কম্পিউটার আছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশের বাড়িতে। চলতি বছর এসে খুব যে বেশি বেড়েছে তা নয়। বরং, করোনা সংকটে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও মার্কেট বন্ধ থাকায় অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কমেছে। 
কিন্তু যাদের ম্মার্টফোন নেই কিংবা থাকলেও নেটওয়ার্কের দুর্বলতা বা ইন্টারনেটের ব্যয় বহন করার মতো অবস্থা নেই, তারা ক্লাস করতে না পারায় পিছিয়ে পড়বে বলে অভিযোগ করছেন শিক্ষার্থীরা। আবার স্মার্টফোন থাকলেও ক্লাসে ভালভাবে অংশ নিতে পারবে না। কারণ অংকের মতো জটিল বিষয়গুলোর সমাধান করতে বেশ বিপাকে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এর ফলে অনলাইন ক্লাস নিয়ে যে প্রত্যাশা ছিল তা থেকে অনেকটাই দূরে। উল্টো বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন কিছু শিক্ষার্থী। 
আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশের সামাজিক বাস্তবতা অন্যান্য উন্নত দেশগুলোর সাথে মেলালে চলবে না। তাদের সাথে আমাদের পার্থক্যটা বেশ। আমাদের দেশে অনলাইন ক্লাস পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামো এখনও গড়ে ওঠেনি। মুখে ফোরজির কথা বলা হলেও সেখানে টুজির একটু বেশি গতি সম্পন্ন আমাদের ইন্টারনেট। 
অপরদিকে, আছে অপারেটর কোম্পানিগুলোর উচ্চ রেট। ফলে সবকিছু থমকে যাওয়া অবস্থায় চাহিদা শতভাগ পূরণ করা সত্যিই সরকারের পক্ষে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। 
২৯.০৫.২০২০ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের এক ভার্চুয়াল আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ‘সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সম্পূর্ণ অনলাইন ক্লাস শুরু না করার পেছনে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্বিক অবস্থা বড় বাধা। আমাদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যে ডিজিটাইলেজশন, বিশেষ করে আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে ডিজিটাইজেশন প্রয়োজন ছিল, তা হয়নি। তার চেয়ে বড় কথা আমাদের মাইন্ডসেটটা কিন্তু পরিবর্তন হয়নি। আমরা কি বলব আমাদের অনলাইনে সমস্যা, সেহেতু আমরা অনলাইনে যাব না? তাহলে আমাদের এই শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে কতগুলো দিন, কতগুলো মাস ঝরে যেতে দেব? সারা বিশ্বে স্টুডেন্ট লোনের ব্যবস্থা আছে, আমাদের এখানে সেটা নিয়ে এখনও চিন্তা করব না, তা তো হয় না। আজকে যদি আমরা বলি, আমি অনলাইনে পড়াতে পারি না, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। আজকে যদি বলি, আমার এক্সেস নেই, কতদিনের মধ্যে এক্সেস দেওয়া যায়, কেন এক্সেস নেই, কোথায় সমস্যা, কীভাবে আমরা সেই সমস্যা সমাধান করতে পারি।’
মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী জনসমক্ষে যেভাবে কথাবলার সেভাবেই বলেছেন। কিন্তু আমাদের দেশের প্রকৃত অবস্থা তিনিও ভাল করে জানেন আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে অনলাইনের ক্লাস নিয়ে যে কথা ওঠেছে
তা শোনে যথাযথ পদক্ষেপ নিলে সেটাই হবে কাজের কাজ। প্রকৃত সত্য হলো প্রাশ্চত্যের মত অামাদের দেশে শতভাগ অনলাইনের ক্লাস নিতে অারও বিপুল অবকাঠামো ও সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেই শেষ করছি।



মাহবুবুল আলম
কবি, কথাসাহিত্যিক, কলামিস্ট ও গবেষক

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top