ফেয়ারফিল্ড শো গ্রাউন্ডে বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত
প্রকাশিত:
১৩ এপ্রিল ২০১৮ ১০:৩৮
আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ১৮:৪০

সিডনিতে গত ৭ এপ্রিল শনিবার বৈশাখী মেলার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু পরিষদ সিডনি।সিডনির ওয়েস্টার্ন সাবারবের ফেয়ারফিল্ড শো গ্রাউন্ডের আয়োজন করা হয় এই বৈশাখী মেলার।দুপুর থেকেই শাড়ি, কামিজ আর পায়জামা-পাঞ্জাবি পরে বাংলাদেশিরা ছুটছেন তারা মেলা প্রাঙ্গণের দিকে।শো গ্রাউন্ডের কাছে পৌঁছাতেই কানে আসে বাংলা গানের সূর। সন্ধ্যার পর ফেয়ারফিল্ড শো গ্রাউন্ড যেন লোকে লোকারণ্য। সুবিশাল মাঠে গোল করে বসানো সারি সারি স্টল। ঝালমুড়ি, চানাচুর, ফুচকা-চটপটি ও বিরিয়ানিসহ স্টলগুলোতে নানা বাঙালি খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন সিডনির বাংলাদেশিরা।
মেলা প্রাঙ্গণে বসে এসব মূখরোচক খাবার খাচ্ছিলেন অনেকে। তারা সবাই প্রায় এক বাক্য বলেন, দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে সন্তানদেরকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার এক বড় সুযোগ এই মেলা। বিদেশ বিভুঁইয়ে আপন সংস্কৃতিকে ধারণ করে একটা দিন কাটানো যায় এই মেলায়।
ভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির মানুষের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। মেলার মঞ্চে দুপুর ৩ টা থেকে শুরু স্থানীয় শিশু কিশোর ও শিল্পীদের সংগীতের মূর্ছনা। নিয়মিত বিরতি দিয়ে পরিবেশিত হয় নৃত্য ও ফ্যাশন শো। এদের মধ্যে কবিতা আবৃত্তি করেন ডঃ কাউয়ম পারভেজ, স্মৃতি, মলয় বিশ্বাস নৃত্য পরিবেশন করেন মাইশা,স্মিতা বড়ুয়া, ছোটদের অনুষ্ঠান পরিচলনা করেন সুমিতা দে,সংগীতে পরিবেশন করেন স্রোতসনী, নিলুফার ইয়াসমিন, , ফারিয়া আহমেদ, লাল সবুজ, কৃষ্টি , সুজন , কার্নিশ এছাড়া সালমিন তানহা পরিবেশন করে ফ্যাশন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বিরতিতে সন্ধ্যা ৬ টায় বিশিষ্ট আইনজীবি ও মেলা কমিটির অন্যতম সদস্য সিরাজুল হকের পরিচালনায় অস্ট্রেলিয়ার মুলধারার রাজনীতিবিদ, এমপি এবং কাউন্সিলরগন উপস্হিত সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। মেলা কমিটির আহবায়ক গাউসুল আলম শাহাজাদা নতুন এই ভেন্যুতে সিডনির অন্যতম বৃহত্তম উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক উৎসব সফল করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান।
মেলায় অস্ট্রেলিয়ার প্রথম বাংলা পত্রিকা স্বদেশ বার্তার পক্ষ থেকে ফ্রি র্যাফেল ড্র এর আয়োজন করা হয়। এতে প্রচুর সংখ্যক দর্শনার্থী অংশগ্রহন করেন এবং লটারীর মাধ্যমে তিনজনকে বিজয়ী নির্বাচিত করা হয়। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদক ফয়সাল আজাদ ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদক এনামুল হক।
সবশেষে শুরু হয় আতশবাজির উৎসব। প্রায়১৫ মিনিট ধরে চলে এ উৎসব। এসময় আতশবাজির আলোয় আকাশে ভিন্ন রুপের সৃষ্টি হয়। আতশবাজির চোখ-ধাঁধানো শৈলী মনোরঞ্জন করে সকলের। উৎসব শেষে তৃপ্তির ডেকুর তুলে যেন ঘরে ফিরেন সকল প্রবাসীরা।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: