কুমিল্লায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত
প্রকাশিত:
৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২১:৪১
আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৫ ২০:০২
প্রভাত ফেরী ডেস্ক: কুমিল্লায় থানা ও ডিবি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন নিহত হয়েছেন। রোববার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে জেলার বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের কোমল্লা এলাকায় গোমতী নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবী, নিহত তিনজনই ডাকাত দলের সদস্য। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে।
নিহতরা হলেন, জেলার দেবিদ্বার উপজেলার চরবকর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে বাবুল (৩৯), ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার গোপালনগর দিঘিরপাড় গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে এরশাদুল (২৬) এবং বুড়িচং উপজেলার জগতপুর গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে অলি মিয়া (৪৩)।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত বাবুল, এরশাদুল ও অলি মিয়া বড় ধরনের ডাকাতিয়া বাহিনীর সদস্য। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, ডাকাতি, মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে থানায় পাঁচটিরও বেশি মামলা রয়েছে।
জেলা ডিবি পুলিশের ওসি মো. মাঈন উদ্দিন খাঁন জানান, কোমাল্লা গ্রামে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে রোববার রাতে সেখানে যৌথভাবে অভিযান চালায় ডিবি ও বুড়িচং থানা পুলিশ। এ সময় ডাকাত দল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষায় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে তিন ডাকাত আহত হয় এবং অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে আহতদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি বলেন, এসময় তিনিসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন। গোলাগুলি এক পর্যায়ে ডাকাতদলের অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়। পরে গুলিবিদ্ধ ডাকাতদলের তিন সদস্যকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
পরে ঘটনাস্থল থেকে ১টি পিস্তল, ৪ রাউন্ড তাজা গুলি, ১টি পাইপগান, ৫ রাউন্ড বন্দুকের তাজা গুলি, ৪ রাউন্ড খালি খোসা, ৬টি কাঠের বাটযুক্ত ছোড়া ও রামদা, ৩টি মোবাইল, ২টি টর্চলাইটসহ ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: