সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১


হুমায়ূন আহমেদের চলচ্চিত্রে মুক্তিযুদ্ধ : আহাদ আদনান


প্রকাশিত:
২৭ জুলাই ২০২০ ২১:২৯

আপডেট:
৭ নভেম্বর ২০২০ ২৩:০৫

ছবিঃ আগুনের পরশমণি

 

একটি ভালো এবং মানসম্মত চলচ্চিত্র বানানো সবসময় খুব কঠিন কাজ। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ব্যাপারটি নানা কারণে দুরূহ হয়ে পড়ে। হুমায়ূন আহমেদের স্পর্শ অনেকেই পরশ পাথর বলে অভিহিত করেন। এই মানুষটি যখন চলচ্চিত্র নির্মাণে হাত দিলেন অনেকেই খুব আশাবাদী হয়ে উঠেন। পরিচালক হিসেবে আবার প্রথম ছবিটিই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। ‘আগুনের পরশমণি’ অনেকের কাছেই অন্যতম প্রিয় ছবি (মুক্তিযুদ্ধের বাইরের ছবি সহ)। এরপরেও তাঁর ছবিতে মুক্তিযুদ্ধ এসেছে। প্রত্যাশা আর বাস্তবতার নিরিখে হুমায়ূন আহমেদের নানা ছবি নিয়ে আলোচনা করা তাই যেতেই পারে।

প্রথমেই যে ‘আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে’র কথাটি বললাম এর সাথে মিশে আছে কিছু হতাশা আর অপ্রাপ্তির গল্প। আমাদের দেশের সিনেমা শিল্পটি ধুঁকছে অনেকদিন ধরেই। বর্তমানে সারা বছর যে কয়টি সিনেমা হয় একসময় দুই তিন মাসে হত এর চেয়ে বেশি। সেই সিনেমাগুলো থেকে লগ্নি তুলে আনাও আজকাল কঠিন হয়ে পড়ছে। আর সেটা যদি হয় বিকল্পধারা’র (মূলধারা এবং বিকল্পধারা নিয়ে বিতর্ক বাদ দিয়ে বলছি) তাহলে খোদ প্রযোজক বা পরিচালকও হয়ত ‘হিট’ আশা করেন না। তথাকথিত বাণিজ্যিক কিছু ছবিতে মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ এসেছে বিচ্ছিন্নভাবে যার শিল্পমান নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেছে। এতকিছুর মাঝে কেও যদি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাঁর চলচ্চিত্র পরিচালনা শুরু করেন তাঁকে কুর্নিশ জানাতে হয়।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ছবি বানাতে গেলে সেই সময়কে তুলে আনার ব্যাপার থাকে। সেই সময়ের আবহ, স্থান নির্বাচন, পরিচ্ছদ বাছাই বেশ চ্যালেঞ্জিং। সম্মুখ যুদ্ধের কোন দৃশ্য থাকলে সেনাবাহিনী’র সজ্জা, গাড়ি, বন্দুক, কামান, বিশাল সেট তৈরে করে তাতে গোলাগুলি নিয়ে হুলস্থুল কাণ্ড বাঁধাতে হয়। সমস্যা হচ্ছে এই দেশে নিশ্চিত লোকসান মেনে লগ্নি করবে কে। সরকারি অনুদানের টাকায় ভালো টেলিফিল্ম হতে পারে, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নয়। শুধু সেই টাকায় সিনেমা হলে পর্দাতে ভেসে উঠে জোড়াতালি আর বিষাদের সুর। তখন নির্মাতা এমন কাহিনি বেছে নেন যেখানে সম্মুখ যুদ্ধের চেয়ে মনস্তাত্ত্বিক টানাপড়েন, পারিবারিক সংকট, বেঁচে থাকার সংগ্রাম কিংবা সম্মুখ যুদ্ধের প্রস্তুতি (শারীরিক, মানসিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক) মুখ্য হয়ে উঠে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ‘আগুনের পরশমণি’ আর ‘শ্যামল ছায়া’ ছবি দুইটিতেও আমরা সেই দৃশ্যই দেখেছি।

‘আগুনের পরশমণি’ (১৯৯৪) নিয়ে আলোচনা করার সময় সেই সময়ের রাজনৈতিক অবস্থার কথা মাথায় রাখা উচিত। খেয়াল করলে দেখবেন ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে মাত্র চারটি। মেঘের অনেক রং (১৯৭৬), কলমীলতা (১৯৮১), আমরা তোমাদের ভুলব না (১৯৯৩-শিশুতোষ) আর একাত্তরের যীশু (১৯৯৩)। এই সময়টাতে এফডিসিতে বাণিজ্যিক নাচ গান, মারদাঙ্গা ছবি, অশ্লীলতা এসব কিছুর চর্চা হয়েছে, আর মুক্তিযুদ্ধ থেকে গেছে অবহেলিত। আমি আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলতে চাই। দয়া করে এটাকে সারাদেশের চিত্র হিসেবে ভাববেন না, কারণ একেকজনের অভিজ্ঞতা একেকরকম হতে পারে, যা আমার জানা নেই। কেরানীগঞ্জের যে গ্রামে আমার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা সেখানে তখন জয় বাংলা, জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু শব্দগুলো নিষিদ্ধ ছিল। আমি বলছি নব্বই দশকের শুরুর কথা। তখন আমি ছিলাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। উগ্র সরকারপন্থি পত্রিকাই শুধুমাত্র হাতেগোনা আমাদের গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে শোভা পেত। তারপর ১৯৯৬ সালে সরকার পরিবর্তনের পর বিটিভিতে দেখলাম একজন লোক পাঞ্জাবির উপর কালো কোট পরে ভাষণ দিচ্ছেন। জানলাম এটা ১৯৭১ এর ৭ই মার্চের ভাষণ। লোকটার নাম শেখ মুজিবর রহমান। তাঁর উপাধি বঙ্গবন্ধু আর তিনি আমাদের জাতির জনক। আগে যেটা আপাত নিষিদ্ধ হিসেবে দেখা হত সেই ‘জয় বাংলা’ হচ্ছে আমাদের মুক্তির স্লোগান। আমি এই কথাগুলো বললাম কারণ তখন পাঠ্যপুস্তক, টিভি (অর্থাৎ বিটিভি) এবং সিনেমা থেকে এই শব্দগুলো মুছে ফেলার চেষ্টা ছিল। বিটিভি’তে মুক্তিযুদ্ধের ছবি দেখানো হত ৭ই মার্চের ভাষণ আর ‘জয়বাংলা’ স্লোগান (এবং গান) সেন্সর করে। সেই সময়ে হুমায়ূন আহমেদ খ্যাতির চুড়ায় উঠতে শুরু করেছেন। কয়েকবছর আগেই তিনি নতুন প্রজন্মকে ‘তুই রাজাকার’ সংলাপের সাথে পরিচিয় করিয়ে দিয়েছিলেন। পরিচালক হিসেবে প্রথম ছবিতেই তিনি ৭ই মার্চের ভাষণ যুক্ত করলেন। ভাষণের শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানটি কেন বাদ গেল সেটা জানতে ইচ্ছে করেছিল খুব। সেটা স্বেচ্ছায়, নাকি সেন্সর বোর্ডের চাপ ছিল? পুরো ছবিতে এমনকি মুক্তিযোদ্ধারাও একবারের জন্য ‘জয় বাংলা’ উচ্চারণ করেনি!

মধ্যবিত্ত নাগরিক পরিবার একজন যুবক মুক্তিযোদ্ধাকে বাসায় সাদরে থাকতে দেয়না। যখন সেই বাসায় যুবতি আছে। কর্তা ছাড়া আর কোন পুরুষ নেই সেখানে। তাঁর থাকা নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্বের বিষয়টি পরিচালক বিশ্বাসযোগ্য ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। বাসার সেই মেয়েটি মনের মধ্যে প্রবল ভয় আর অনিশ্চয়তার অন্ধকার দূর করার জন্য বই পড়ে, গান করে, বৃষ্টিতে ভিজে। প্রেমে পড়তে চায়, নাকি পড়েই যায়? সেই সময়টাতে রাত আর দিনে যেন দুইটা আলাদা জগত। রাত হলে আতঙ্ক, ভয়। খাবার খাওয়া, ঘুম এমনকি মৃত্যু পথযাত্রীর চিকিৎসারও প্রচণ্ড অনিশ্চয়তা। সেই শহরের দিনের বেলায় সবাই কাজে বের হয়, হাসিঠাট্টা করে, বিয়ের কথা ভাবে।

‘এসো নীপবনে’ গানের সাথে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে মুক্তিযোদ্ধা চরিত্রের প্রবেশের (আসাদুজ্জামান নূর) চিত্রায়ন একমাত্র হুমায়ূন আহমেদের পক্ষেই সম্ভব। ছবিতে আরও দুটি রবীন্দ্রসঙ্গীত ব্যাবহার করা হয়েছে। ‘চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙেছে’ আর ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’। হুমায়ূন আহমেদ আর মোস্তফা মনোয়ার, এই দু’জনকে নিয়ে সমালোচনা পড়েছিলাম চুরানব্বই কি পঁচানব্বই সালে, একটি উগ্র সরকারপন্থি পত্রিকায়। অপরাধ তারা ‘কারণে-অকারণে’ রবীন্দ্র চর্চা করেন! ভাগ্যিস করেন বলেই বাংলা ছবিতে এত শৈল্পিক ভাবে সঙ্গীতের উপস্থাপন দেখতে পেয়েছিলাম।

গ্রেনেডের সাহায্যে বিদ্যুৎ অফিস উড়িয়ে দেওয়া, কয়েকটি সম্মুখ গোলাগুলি, বেঁধে হত্যা’র দৃশ্য, মোটামুটি সীমিত পরিসরে এই হচ্ছে একাত্তরের ঢাকার গেরিলাদের সাথে ‘অ্যাকশন’। প্যান্ট খুলে খৎনা করা পুরুষাঙ্গ উন্মোচনের দৃশ্যে পিছন থেকে প্রায় উন্মুক্ত নিতম্ব দেখানোর ব্যাপারটি বেশ সাহসী ছিল। অনেকের কাছে অশ্লীল মনে হলেও এটাই ছিল বাস্তবতা। ঠিক যেমন মিলিটারির টহল, রাজাকার কমিটির মিছিল, অফিসে গেরিলাদের ‘আগাছা’ বলে উপহাস, গর্ত করে মৃতদের পশুর মত ফেলে দেওয়া এসবই ছিল ঢাকার নিয়মিত চিত্র। সেই কবরে মাটি ভরাট করা, নিজের বাঙালি ভাইদের নিজেদের গর্তে কবর দিয়ে মোনাজাত আর ঝরঝর করে বৃষ্টি এসে সব ভিজিয়ে দেওয়া এসব পরিচালক ফুটিয়ে তুলেছেন নিপুণ দক্ষতায়।

প্রথম মুক্তিযুদ্ধের ছবি সম্পূর্ণ নাগরিক বলেই হয়ত হুমায়ূন আহমেদ তাঁর পরের ছবিটির পটভূমি বেছে নিয়েছিলেন গ্রাম আর নদী। হানাদার বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে একটি পরিবার নৌকা করে সীমান্ত পাড়ি দিতে যায়। সাথে আরও যুক্ত হয় আরও কিছু লোক। তাদের ধর্মের পার্থক্য, আচরণের তফাত, সাহসের বিস্তর ফারাক। কেও কেও কথায় কথায় উত্তেজিত হয়ে পড়ে। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রকাশ করে মানসিক সংকীর্ণতা। এই ছবিতেও পরিচালক মনস্তাত্ত্বিক টানাপড়েন তুলে আনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সফলতার ব্যাপারে প্রশ্ন থেকেই গিয়েছে।

তিনটি ব্যাপারে দর্শক কিছুটা ‘বায়াসড’ ছিল। ‘আগুনের পরশমণি’র সাথে তুলনা, ‘জয়যাত্রা’র মুক্তি আর হুমায়ূন আহমেদের কাছে বিপুল প্রত্যাশা। উল্লেখ্য নৌকায় করে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে যাত্রা’র প্রায় একই পটভূমিকায় তৌকির আহমেদের পরিচালনায় ‘জয়যাত্রা’ মুক্তি পেয়েছিল ‘শ্যামল ছায়া’র প্রায় সাথে সাথেই। অসাধারণ ছবিটি দর্শক এবং বোদ্ধা সকলেরই বেশ প্রশংসা পেয়েছে। তুলনায় শ্যামল ছায়া’র চরিত্রগুলো মনে হয়েছে কৃত্রিম (বিশেষ করে শাওনের চরিত্র), সংলাপ মনে হয়েছে আরোপিত। সবচেয়ে সমালোচিত হয়েছে ‘রাজাকার’ চরিত্রটির পুনঃপ্রবেশের দৃশ্যটি। এরকম ‘মানবিক’ আর ‘কৃতজ্ঞ’ রাজাকার অনেককেই ক্ষুদ্ধ করেছিল। আবার অনেক সমালোচকও নিজেদের হীনমন্যতার পরিচয় দিয়েছেন ‘মওলানা’ চরিত্রের মুক্তিবাহিনীতে যোগদান নিয়ে অবান্তর নিন্দা করে। এই মওলানা প্রথমদিকে পাকিস্তানের সমর্থক হলেও পরে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়। অনেক মুক্তিযোদ্ধার জবানিতেই এই রকম ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়। তাই শুধু ধর্ম বিশ্বাস আর ‘লেবাসে’র জন্য কারও ব্যাপারে ‘জাজমেন্টাল’ হওয়া ঠিক নয়।

ছবিটির প্রাণ মনে হয়েছে হুমায়ুন ফরিদী’কে। তাঁর নাটকীয় প্রবেশ এবং তারচেয়ে নাটকীয়ভাবে পরিচয় উন্মোচন ছবির গতি পাল্টে দিয়েছে। জাত অভিনতা যেন একেই বলে। এই ছবিতেও কোন মুক্তিযোদ্ধা ‘জয় বাংলা’ উচ্চারণ করেনি। শুধু একবারের জন্য এই স্লোগান দিয়েছিল মাতাল নৌকা চালকের সহকারি। সেই সময়ে এই ধরণের ইঞ্জিনের নৌকা ছিল কিনা এটা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। সময়কে তুলে আনা আসলেই কঠিন। তবে আরও সুচারু হলে হাল আমলের পোশাক পরিধান (শহুরে চরিত্রের বেলায়), অফিসের দেওয়ালে  আধুনিক টেপা সুইচ (আগুনের পরশমণি), মওলানার নামাজের বসার ভঙ্গি (কোন মওলানা নামাজে এভাবে পা বিছিয়ে বসেনা) এসব এড়ানো যেত।

তবে মুক্তিযুদ্ধের ছবি হিসেবে এই দুটির কথা বললেও আদর্শিক দৃষ্টিকোণের বিচারে আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ছবিটি। বিশেষ করে ইরতাজ উদ্দিন চরিত্রটি হুমায়ূন আহমেদের চিন্তা ভাবনার একটি দিক উন্মোচন করে। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের একজন লোক, নিজের মতে যে কোন অন্যায় করেনি বা মানবতা বিরোধী অপরাধ করেনি বর্তমান সময়ে সমাজে তার অবস্থান কেমন হবে? এখনও গ্রামে তার দুর্দান্ত প্রতাপ, কারও উপর ক্রোধ হলে নৌকা পুড়িয়ে দিতে বা মহিলাদের চুল কেটে দিতে পিছপা হয়না, তার অনুমতি ছাড়া গান গাওয়া নিষেধ। তার ছেলে আবার ভিন্নমতের জন্য তাকে ছেড়ে শহরে প্রতিষ্ঠিত জীবন যাপন করছে। গ্রামের লোকের তার উপর সুপ্ত ঘৃণা এবং ক্ষোভ, কিন্তু তার নাতনি যেন জাদুর কাঠিতে সবাইকে মন্ত্রমুগ্ধ করে দাদুর পাপের ভার লঘু করে দিচ্ছে। সেই লোক একসময় নিজের জমিদার বাড়ি হাসপাতালের জন্য দান করে দেয় আর করজোড়ে সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে।

অনেকেই জানেন, হুমায়ূন আহমেদের নিজের নানা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তির সহায়তা করেছিলেন। তিনি বলতে চেয়েছিলেন, তাকে এটা করতে হয়েছিল বাধ্য হয়ে, কিন্তু তিনি কোন মানবতা বিরোধী অপরাধ করেননি। তিনি বিভিন্ন লেখায় এটার উল্লেখ করেছেন। সমালোচকদের মতে হুমায়ূনের বিভিন্ন কাজে স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তির অপরাধে লঘুত্ব আনা, নৃশংসতা আড়াল করা এবং তাদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হয়েছে। এর কোন উত্তর তিনি দিয়ে যাননি। তাই বুঝি ইরতাজ উদ্দিন’রা এখনও হাততালি পান। ৭ই মার্চের ভাষণ নিয়েও নাকি তাঁর মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। বঙ্গবন্ধু ‘জিয়ে পাকিস্তান’ বলেছিলেন কিনা এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাই কি ভাষণের শেষে ‘জয় বাংলা’ও লোপ পেল তাঁর ছবিতে?

তবে এত সমালোচনার পরেও বলতে হবে হুমায়ূন আহমেদের বিভিন্ন সৃষ্টিতে মুক্তিযুদ্ধ এসেছে বারবার। এসব সৃষ্টিতে মিশে আছে দরদ, ভালোবাসা আর হুমায়ূনীও জাদু। এই সম্মোহন উপেক্ষা করা খুব কঠিন।  

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top