সিডনী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


কেকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তত্ত্ব খারিজ


প্রকাশিত:
৫ জুন ২০২২ ১৯:৫৬

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ১৬:০৭

 

খারিজ অস্বাভাবিক মৃত্যুর তত্ত্ব। হৃদরোগই প্রাণ কেড়েছে জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী কেকের। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মিলল এমন তথ্য।
সংগীত শিল্পীর স্ত্রীর দাবি, হজমের সমস্যায় ভুগতেন কেকে। সে কারণে প্রায় প্রতিদিনই ওষুধ খেতেন। চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে ওষুধ খাওয়ার ফলে বিপত্তি বলেই মনে করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, হৃদরোগ মূলত দু’ধরনের। হৃদরোগে আর্টারি ব্লক হয় অনেকের। তার ফলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়। আরেক ধরনের হৃদরোগে হৃদযন্ত্র পুরোপুরি কাজ বন্ধ করে দেয়। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন বলে।



বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনেই মৃত্যু হয় কেকের। ফুসফুসে জল জমে গিয়েছিল তার।

অটোপসি সার্জেনদের মতে, বেশ কয়েক বছর যাবৎ হৃদরোগে ভুগছিলেন কেকে। তবে তা নিয়ে বেশ উদাসীন ছিলেন এ সংগীত শিল্পী।

প্রয়াত সংগীত শিল্পীর স্ত্রী জানান, ব্যস্ততার মাঝে সময়মতো খাওয়া-দাওয়া হত না কেকের। তার ফলে নিয়মিত হজমের সমস্যায় ভুগছিলেন সংগীত শিল্পী। প্রায় প্রতিদিনই হজমের ওষুধ খেতেন কেকে। চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে ভুরিভুরি ওষুধ খাওয়ার ফলে সমস্যা প্রকট হতে পারে বলেই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।
জানা গেছে, কলকাতায় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসার সময় থেকে কাঁধে ও হাতে ব্যথার কথা সাথীদের বলেন তিনি।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, হৃদরোগের ফলে বড়সড় বিপদ যে আসতে চলছে, কাঁধে ও হাতে ব্যথাই ছিল তার প্রাথমিক লক্ষণ।

উল্লেখ্য, গুরুদাস কলেজ ফেস্টে ভিড়ে ঠাসা নজরুল মঞ্চে মঙ্গলবার রাতে শেষবার অনুষ্ঠান করেন কেকে। ওই অনুষ্ঠান চলাকালীন অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন সংগীত শিল্পী। গরম লাগছে বলে জানান। প্রচণ্ড ঘামতে থাকেন। আলো নিভিয়ে দিতে বলেন। অনুষ্ঠান শেষে কলকাতার পাঁচ তারা হোটেলে পৌঁছান কেকে।

এতে লিফটে ওঠার সময় অসুস্থতা আরো বাড়তে থাকে। তা সত্ত্বেও লিফটে ওঠার সময় বেশ কয়েকজন অনুরাগীর সাথে সেলফি তোলেন। তারপর হোটেলে ঢুকে সোফায় বসতে গিয়েই পড়ে যান। ওই সময় টেবিলে ধাক্কা লেগে সামান্য চোট পানও কেকে। অনেকেই কেকের মৃত্যুকে অস্বাভাবিক বলেই দাবি করেছিলেন। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার পর অস্বাভাবিক মৃত্যুর তত্ত্ব খারিজ করেন তদন্তকারীরা।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top