সিডনী শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


‘আমারে চিনস, বাইরাইয়া হাত-পা ভাইঙ্গা দিমু’


প্রকাশিত:
২০ নভেম্বর ২০১৭ ০৯:১৪

আপডেট:
১৭ মে ২০২৪ ১৩:৩৩

‘আমারে চিনস, বাইরাইয়া হাত-পা ভাইঙ্গা দিমু’

ফুটবলার তৈরীর সূতীকাগার খ্যাত পাইওনিয়র ফুটবল লিগের ফাইনাল ম্যাচের দিন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ঘটে গেল এক অনাকাঙ্খিত ঘটনা। এ ঘটনায় শারীরিকভাবে লাঞ্চিত হন ক্লাব কর্মকর্তারা। রোববার সন্ধায় ফাইনাল শুরুর আগে এবারের পাইওনিয়র লিগে অংশ নেয়া ৭১টি ক্লাবের মধ্যে প্রায় ৩০টির কর্মকর্তারা মাঠে উপস্থিত হন তাদের অংশগ্রহণ ফি আদায়ে। কিন্তু এই ফি চাইতে গেলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সদস্য ও পাইওনিয়ার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর তাদের উপড় চড়াও হন।



নানাভাবে হুমকি দানের পর এক পর্যায়ে তিনি ধাক্কা মেরে মাঠ থেকে বের করে দেন এফসি ব্রাক্ষণবাড়িয়া দলের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন জোবায়ের ও সোনারগাঁ সুপার স্টার ফুটবল একাডেমির সভাপতি জামাল মোল্লাকে। এ দু’জনের ভাষ্য এসময় জাহাঙ্গীর চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘আমারে চিনস, বাইরাইয়া হাত-পা ভাইঙ্গা দিমু। মাঠের বাইরে ফালাইয়া দিমু, তোগোরে পুলিশ দিয়া অ্যারেস্ট করামু।’ এমন ঘটনায় হতবাগ ফুটবল সংগঠকরা।



তাদের বক্তব্য, এ কেমন মাস্তানি। দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার মুখের ভাষা যদি এমন হয় তাহলে তিনি ফুটবলের সেবা করবেন কিভাবে? ওই দিন পুলিশের হস্তক্ষেপে মাঠের পরিস্থিতি শান্ত হলেও ঘটনা কিন্তু থেমে থাকেনি।



জানা গেছে, খেলা শেষের পর প্রতিবাদী বিভিন্ন ক্লাবের কর্মকর্তাদের নাকি মুঠোফোনে হুমকি দেয়া হয়েছে। প্রমাণ আছে (রেকর্ডিং) পাইওনিয়র লিগ কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান অমিত খান শুভ্র মোবাইলে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করেছেন সোনারগাঁ সুপার স্টার ফুটবল একাডেমির সভাপতি জামাল মোল্লাকে, গতকাল জানান তিনি।



তিন মাস পর অনুষ্ঠিত ফাইনালের আগে পাইওনিয়রে অংশ নেয়া ক্লাবগুলোর কর্তারা রোববার বেশ ক্ষোভ নিয়েই মাঠে প্রবেশ করেন। কারণ এখনো লিগ কমিটির প্রতিশ্রুত অর্থ তারা পায়নি। অংশগ্রহণ ফি বাবদ প্রতিটি ক্লাবকে ১০ হাজার এবং সুপার লিগে ওঠা ২০ ক্লাবকে ২৫ হাজার টাকা করে দেয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে হাতে গোনা ক’টি ক্লাবকে নাকি সাত থেকে ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছে লিগ কমিটি। কিন্তু বেশিরভাগ ক্লাবই তাদের পাওনা পায়নি। ফলে হাতা-হাতির মতো ঘটনা ঘটে যায়। পরে অবশ্য ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন জাহাঙ্গীর।



তবে ঘটনা প্রসঙ্গে এফসি ব্রাক্ষনবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের বলেন, ‘আমরা পাওয়া আদায় করতে গিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হবো, কিন্তু এর বিচার পাবো না এটা হতে পারে না। আমি ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।’


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top