করোনা ভাইরাস, উৎপত্তি, বিস্তার এবং করণীয়
প্রকাশিত:
১ মার্চ ২০২০ ০৫:১৩
আপডেট:
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৯:০৮

প্রভাত ফেরী: চীনের উহান প্রদেশে নতুন ধরনের করোনা ভাইরাস (২০১৯-এনসিওভি) এপিডেমিক, প্যানডেমিক (যখন কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়ে) আকার ধারণ করেছে।
করোনা ভাইরাস থেকে সাধারণত ঠান্ডা লাগে। কিন্তু ভাইরাসের মতো ক্ষুদ্র প্রাণীও বুদ্ধিমান। এরা নিজেদের পরিবর্তন করছে প্রতিনিয়ত এবং শক্তিশালী করছে। এ সাধারণ করোনা ভাইরাস থেকেই মিডল ইস্টার্ন রেসপাইরেটরি সিন্ড্রোম বা মার্স এবং সার্সের জন্ম। বলা যায় প্রায় নানা রকমের করোনা ভাইরাস।
চীনের ভাইরাসটি এ সার্স এবং মার্স থেকেও মারাত্মক। শুধু ওপরের শ্বাসনালি নয় একেবারে নিচের অংশ, ফুসফুসকে সংক্রমিত করে নিউমোনিয়া বা আর মারাত্মক আকার নিয়ে মৃত্যু ঘটাচ্ছে। চীনের এই উহান প্রদেশে প্রায় ৫০০ বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রী আছে যারা আটকা পড়ে গেছে চীনের সরকারি কোয়ারিনটিনে (গতিবিধির বা চলাচলের সীমিত রাখার নিষেধাজ্ঞা)।
চীনের এই ভাইরাসের নাম ২০১৯-এনসিওভি এবং এটার জিনেটিক বিশ্লেষণ করে ২০০ করোনা ভাইরাস যা প্রাণীদের সংক্রমিত করে, তাদের সঙ্গে তুলনা করে দেখা গেছে এক ধরনের সাপ যা উহান প্রদেশে প্রচুর দেখা যায় তা থেকে এদের মানুষে মধ্যে ছড়িয়ে পড়া। আরও গবেষণায় জানা যাবে এটার জুনুটিক বা অন্য প্রাণী থেকে মানুষে ছড়ানোর ব্যাপকতা কেমন। আপাতত এটাই বিশাল চিন্তার বিষয়। চিকিৎসা, প্রতিরোধ, প্রতিকার না করলে ঘন বসতির দেশে এই ভাইরাস ৫০-৬৫ মিলিয়ন মানুষকে মেরে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা!
আমেরিকার ওয়াশিংটন স্টেটে ২২ জন, অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে তিনজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে নজরদারির জন্য।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: