পশ্চিম মেদিনীপুরে ফের কারখানায় বিস্ফোরণ, আহত ২


প্রকাশিত:
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৯:০৯

আপডেট:
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৯:১২

 

প্রভাত ফেরী: পশ্চিম মেদিনীপুরে কেশিয়াড়িতে বুধবার সকালে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনায় দু'জন জখম হয়েছেন। এদিনের ঘটনা ফের একবার পিংলা বিস্ফোরণের স্মৃতি উস্কে দিল। ঘটনাচক্রে এদিন সকালে যখন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা চা চক্রে যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখছেন ঠিক সেই সময় মাত্র ২৭ কিলোমিটার দূরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কেশিয়াড়ি থানার আনাড় গ্রাম। জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে আনাড় গ্রামের ওই বাজি কারখানায় কাজ করার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কানাই লাল কর ও রতন কর নামে দুই বাজি কারখানার কর্মীকে গুরুতর আহত অবস্থায় নিয়ে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল, পরে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কেশিয়াড়ি থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। বাজির পাশাপাশি অন্য কোনো কিছু তৈরি হচ্ছিল কি না সেটাও পুলিশের তরফে খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বাজি বিক্রির অনুমতি থাকলেও বাজি তৈরির কোনোরকম অনুমতি ছিল না। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘অবৈধ ভাবে বাজি কারখানা চালানোর অভিযোগে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে বাজি ও বারুদের নমুনা। বাজি তৈরির আড়ালে বোমা তৈরি করা হচ্ছিলো কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে আমাদের এমন কিছু মনে হয়নি।’
এই জেলায় যদিও বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা নতুন নয়। গত পাঁচ ছয় বছরে পর পর একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে। মৃত্যুর সংখ্যাও কম নয়। ২০১৫ সালের ৬ মে। ওই দিন রাতে পিংলার ব্রাহ্মণবাড়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ১২ জনের। পরে কলকাতার হাসপাতালে আরও একজন মারা যান। জখম হয় তিন জন। মৃতদের মধ্যে নয় জনই ছিল নাবালক। ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়েছিল। গোড়ায় তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশই। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি। এখানেই শেষ নয়, কখনও দাঁতন, কখন নারায়ণগড়, কখনও মেদিনীপুর কোতয়ালি থানা এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বার বার বাজির সঙ্গে বোমা তৈরির প্রসঙ্গও এসেছে, জড়িয়েছে রাজনীতিও।

এবারও বিধানসভা ভোটের মুখে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির নেতাদের দাবি, বাজি তৈরি হলে তীব্রতা এতটা বেশি হত না, বোমই তৈরি হচ্ছিল। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের মদতে ভোটের আগে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, এখানে রাজনীতির কোনও বিষয় নেই। পুলিশ তদন্ত করে সব দেখুক।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top