স্বায়ত্তশাসন বাতিল, কাশ্মির ভেঙে দুই ভাগ করার ঘোষণা ভারতের
প্রকাশিত:
৫ আগস্ট ২০১৯ ২৩:৫০
আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৫ ২০:৩৫

প্রভাত ফেরী, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে শঙ্কাকে বাস্তবে রূপ দিল মোদি সরকার। জওহরলাল নেহেরুর সময়ে ভারতীয় সংবিধানে কাশ্মীরকে দেয়া বিশেষ মর্যাদা ৩৭০ ধারাটি বাতিলের নির্দেশনা দিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি। উল্লেখিত ধারাটি বাতিলের কারণে অবধারিতভাবে সংবিধানের ৩৫-ক ধারারও বিলুপ্তি ঘটল।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর রাজ্যসভায় এ ঘোষণা দেন। বিজেপি জোটের নির্বাচিত প্রতিশ্রুতি ছিল কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করা।
ইতোমধ্যেই ৩৭০ এবং ৩৫-এ ধারা বাতিল তথা স্বায়ত্তশাসন বাতিল, কাশ্মির ভেঙে দুই ভাগ করার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ এতে স্বাক্ষর করেছেন।
সোমবার, সংসদ শুরু হতেই রাজ্যসভায় সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন অমিত শাহ। সঙ্গে সঙ্গেই বিরোধীরা তুমুল হই হট্টগোল শুরু করেন। কয়েক মিনিটের জন্য মুলতবি হয়ে যায় অধিবেশন। পরে ফের অধিবেশন শুরু হলে, বিরোধীদের হই হট্টগোলের মধ্যেই রাষ্ট্রপতির নির্দেশনামা পড়ে শোনান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় এ সংক্রান্ত বিল উত্থাপন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এতে তিনি ৩৭০ ও ৩৫-এ ধারা বাতিলের প্রস্তাব করেন। ভারতীয় সংবিধানের এ দুই ধরাকে কাশ্মিরের সাংবিধানিক রক্ষাকবচ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এখন এ দুই ধারা বাতিল করে কাশ্মিরকে ভেঙে দুই টুকরো করার ঘোষণা দিয়েছেন অমিত শাহ। কাশ্মির ভেঙে নতুন দুই রাজ্য হবে জম্মু-কাশ্মির ও লাদাখ।
টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত কার্যকরভাবে ভারতকে কাশ্মিরের দখলদার বাহিনী হিসেবে প্রমাণ করেছে।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: