সিডনী রবিবার, ২৮শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


শান্তিতে নোবেল পেলেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ


প্রকাশিত:
১৩ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:০৪

আপডেট:
২৮ এপ্রিল ২০২৪ ০৫:২৬

শান্তিতে নোবেল পেলেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ

প্রভাত ফেরী, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিতলেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। প্রতিবছরের মতো বছরও নোবেল পুরস্কারের এই ক্যাটাগরি নিয়েই সবার আগ্রহ ছিল। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় শততম শান্তি পুরস্কার বিজয়ী  হিসেবে তার নাম ঘোষণা করে নরওয়ের নোবেল কমিটি। 



নোবেল শান্তি পুরস্কারের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য মতে, বছর নোবেল পুরস্কারের জন্য ৩০১টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। যার মধ্যে ২২৩ জন ব্যক্তি এবং বাকি ৭৮টি প্রতিষ্ঠান। তবে গত ৫০ বছর ধরে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করার আগে মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করে না নোবেল প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ।



নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি শান্তিতে নোবেল বিজয়ী হিসেবে আবি আহমেদের নাম ঘোষণা করে বলে, এবার শততম নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন আবি আহমেদ। শান্তি এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য চলতি বছর তাকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হলো।



 



সংক্ষিপ্ত আবি আহমেদ আলী



ফেডারেল ডেমক্রেটিক রিপাবলিক অব ইথিওপিয়ার সাবেক সেনা গোয়েন্দা কর্মকর্তা আবি আহমেদ ২০১৮ সালের এপ্রিল দেশটির চতুর্থ প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন।



১৯৭৬ সালের ১৫ অগাস্ট ইথিওপিয়ার ঐতিহাসিক কাফা প্রদেশের (বর্তমান নাম ওরোমিয়া রিজন) বেশাশা শহরে জন্মগ্রহণ করেন আবি। তার বাবা আহমেদ আলি ছিলেন মুসলমান ওরোমো সম্প্রদায়ের লোক। আর তার চার স্ত্রীর মধ্যে আবির মা তেজেটা উল্ডে ছিলেন খ্রিস্টান আমহারা সম্প্রদায়ের।



রাজনীতিতে আবি



২০১০ সালে ওরোমো ডেমক্রেটিক পার্টি (ওডিপি) থেকে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন আবি। ওই সময়ে তার জন্মস্থানজিম্মা জোনেমুসলমান খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে হরহামেশাই দাঙ্গা বেঁধে থাকত। সেই দাঙ্গায়বহু মানুষ নিহত হয়।



সে সময় পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবে দাঙ্গা ঠেকাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন আবি। বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে ওই অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। এজন্য তিনিরিলিজিয়াস ফোরাম ফর পিসনামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।



রাষ্ট্রক্ষমতা



টানা তিন বছরের আন্দোলন এবং বিক্ষোভের মুখে ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ইথিওপিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হিলেমারিয়াম দেসালেং পদত্যাগে বাধ্য হন। সেই সঙ্গে তিনি দেশটির ক্ষমতাসীন জোট ইপিআরডিএফ এর প্রধানের পদও হারান।



ইথিওপিয়ার অলিখিত নিয়ম অনুযায়ী ক্ষমতাসীন জোটের প্রধানই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। দেশটির চার দল ওডিপি, এডিপি, এসইপিডিএম এবং টিপিএলএফ মিলেই জোট।



যুদ্ধের অবসান



ক্ষমতা নেওয়ার পর রাজনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে ইথিওপিয়ার জনগণের মধ্যে ঐক্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং ইথিওপিয়া-ইরিত্রিয়া সীমান্তে যুদ্ধের অবসানে আলোচনায় বসার প্রতিশ্রুতি দেন আবি।



আফ্রিকার দরিদ্র দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ১৯৯৮ সালের মে মাস থেকে ২০০০ সালের জুন মাস পর্যন্ত যুদ্ধ হয়। তার রেশ চলে পরের দেড় যুগ ধরে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top