সিডনী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৪ই চৈত্র ১৪৩০


করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের লক্ষণসমূহ


প্রকাশিত:
১৮ মার্চ ২০২০ ২০:২৯

আপডেট:
১৮ মার্চ ২০২০ ২২:৩৭

ফাইল ছবি

সারাবিশ্বেই এখন চলছে করোনা আতঙ্ক। বিশ্বের ১৬৬টি দেশ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে কয়েকটি দেশ। এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্য ইতিমধ্যে ৮ হাজারে ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ২ লাখ। বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়াতেও ছড়িয়ে পড়েছে রোগটি। অস্ট্রেলিয়াতে ইতিমধ্যে মারাগেছে ৬ জন। আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৬০০ জন। কিন্তু এখনো তৈরি হয়নি এর কোন প্রতিশোধক। তাই সতর্কতাই আমাদের একমাত্র অবলম্বন। আর এ ভাইরাসের লক্ষণগুলোও আমাদের জেনে রাখা জরুরী-

লক্ষ্মণ সমূহঃ

প্রথম দিন থেকে তিনদিন পর্যন্ত
সাধারণ সর্দিকাশি, হাল্কা গলা ব্যথা, তেমন কোনো জ্বর নাই। আপেক্ষিক ভাবে সুস্থ এবং খাওয়া দাওয়া করতে সমস্যা হবে না।

চতুর্থ দিন
গলা ব্যথা প্রথম ৩ দিনের তুলনায় কিছুটা বেশী। মাথা ঘোরা ও কিছুটা ভারসাম্যহীন অনুভব করা। -কথা বলতে কষ্ট হওয়া,শরীরের তাপমাত্রা 36.7°c এর আশেপাশে। খাওয়া দাওয়া করতে সমস্যা হওয়া। হাল্কা মাথা ব্যথা,অনেক সময় ডায়রিয়ার মতো হওয়া।

পঞ্চম দিন
গলা ব্যথা পূর্বের চেয়ে বেশী ।কথা বললে গলায় বেশি ব্যথা করা।দেহের তাপমাত্রা ৩৬.৫°-৩৬.৭° এর কাছাকাছি। শারীরিক দূর্বলাতা ও জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা।

ষষ্ঠ দিন
জ্বরের তীব্রতা আস্তে আস্তে বেড়ে 37°c এর আশেপাশে থাকা। শুকনা কাশি শুরু হওয়া।কথা বলার সময় বা ঢোক গিলতে গেলে ব্যথা করা।অস্বাভাবিক দূর্বলতা,বমি বমি ভাব, মাঝে মাঝে শ্বাসকষ্ট হওয়া। হাতের আঙুল গুলোতে ব্যথা শুরু হওয়া।
বমি,ডায়রিয়া।

সপ্তম দিন
উচ্চমাত্রায় জ্বর (37.4°c - 37.8°c), কফ সহ কাশি, মাথা ও শরীর ব্যথা,বমি ও ডায়রিয়া বৃদ্দ্বি পাওয়া।

অষ্টম দিন
জ্বরের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে 38° বা 38°C এর উপরে চলে যায়। শ্বাসক্ষট এবং প্রতিবার শ্বাসপ্রশ্বাস নেয়ার সময় বুক ভার ভার লাগে। বিরতিহীন কাশি। মাথা ব্যথা,জয়েন্ট ব্যথা এবং কোমরের মাংস ব্যথা।

নবম দিন
আগের সকল সিম্পটম থাকবে তবে সেগুলো মারাত্মক আকার ধারন করা যেমন জ্বরের অবস্থা আরো অবনতি , শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্থা।

উপরোক্ত লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

 

তথ্যসূত্রঃ সিঙ্গাপুর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top