সিডনী রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

চুনোপুঁটির সাথে রাঘববোয়াল রুই-কাতলাদেরও ধরুন : মাহবুবুল আলম


প্রকাশিত:
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২২:১৬

আপডেট:
১৯ মে ২০২৪ ০৩:০৪

ছবিঃ গ্রেফতারকৃত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ড্রাইভার

 

দেশে যেন দুর্নীতির মোচ্ছব চলছে। দুর্নীতিদমন অভিযানে দেখছি কেবল চুনোপুঁটিই ধরা পড়ছে, রাঘববোয়ালরা ধরা পড়ছে না। এরা দমন অভিযানের জাল ছিড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে কি-না এ নিয়েও জন মনে সন্দেহ দানা বাঁধছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক ডিজির গাড়িচালক মালেক পুকুর চুরি নয় সাগরচুরির মাধ্যমে কীভাবে শতাধিক কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছে, এ নিয়ে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও সংবাদ মাধ্যমের খবরে সাধারণ মানুষের চক্ষু চড়কগাছ। একজন ড্রাইভার হয়ে কী করে এত এত সম্পদের মালিক হয়েছে এবং তার উর্ধতন বসরাই বা কত হাজার কোটি টাকার মালিক তা হিসাব করে কূলকিনারা পাচ্ছে না দেশের সাধারণ মানুষ।তাই দেশপ্রেমিক প্রতিটি নাগরিকের দাবি দুর্নীতিবাজ চুনোপুঁটিদের সাথে সাথে রাঘববোয়ালদেরও ধরা উচিত। তারা যেন কোনভাবেই জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে যেতে না পারে সে প্রত্যাশা দেশের আপামর জনসাধারণের।    

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক ডিজির গাড়ি চালকের দুর্নীতির গল্প যেন আলীবাবা চল্লিশ চোরের গল্পকেও হার মানায়। রাজধানীতে ২৪টি ফ্লাটসহ মালেকের স্ত্রীর নামে দক্ষিণ কামারপাড়ায় ২টি সাততলা বিলাসবহুল ভবন আছে। ধানমন্ডির হাতিরপুল এলাকায় ৪.৫ কাঠা জমিতে একটি নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন আছে এবং দক্ষিণ কামারপাড়ায় ১৫ কাঠা জমিতে একটি ডেইরি ফার্ম আছে। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অর্থ গচ্ছিত আছে বলেও জানা যায়। মালেক ড্রাইভার দুটি বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রী নার্গিস আক্তারের নামে তুরাগ থানাধীন দক্ষিণ কামারপাড়া রমজান মার্কেটের উত্তর পাশে ছয় কাঠা জায়গার ওপর সাততলার (হাজী কমপ্লেক্স) দুটি আবাসিক বিল্ডিং রয়েছে। যাতে মোট ২৪টি ফ্ল্যাট রয়েছে । এছাড়া আনুমানিক আরও ১০/১২ কাঠার প্লট রয়েছে । বর্তমানে সপরিবারে এই ভবনেরই তৃতীয়তলায় বসবাস করেন মালেক। বাকি ফ্ল্যাটগুলোর কয়েকটি ভাড়া দেয়া রয়েছে। ড্রাইভার মালেকের মেয়ে বেবির নামে দক্ষিণ কামারপাড়া, ৭০, রাজাবাড়ী হোল্ডিংয়ে প্রায় ১৫ কাঠা জায়গার ওপর ‘ইমন ডেইরি ফার্ম’ নামে একটি গরুর খামার রয়েছে। সেখানে প্রায় ৫০টি বাছুরসহ গাভী রয়েছে। (বাংলাট্রিবিউন ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০) 

একজন ড্রাইভার হয়ে মালেক কীভাবে টাকার কুমির হয়ে ওঠেছে প্রাথমিক তদন্তে তা বেরিয়ে এসেছে। জানা গেছে স্বাস্থ্য অধিদফতরে ড্রাইভার্স অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠন তৈরি করে নিজে সেই সংগঠনের সভাপতি হয়েছেন। এই পদের ক্ষমতাবলে তিনি স্বাস্থ্য অধিদফতরের ড্রাইভারদের ওপর একছত্র আধিপত্য কায়েম করেছেন। ড্রাইভারদের নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতির নামে তিনি বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করতেন। এছাড়া তিনি স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক প্রশাসনকে জিম্মি করে বিভিন্ন ডাক্তারদের বদলি ও পদোন্নতি এবং তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করেছেন। শুধু তা ই নয় নিজের অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে মালেক তার মেয়ে নৌরিন সুলতানা বেলিকে অফিস সহকারী পদে, ভাই আব্দুল খালেককে অফিস সহায়ক পদে, ভাতিজা আব্দুল হাকিমকে অফিস সহায়ক পদে, বড় মেয়ে বেবির স্বামী রতনকে ক্যান্টিন ম্যানেজার হিসেবে, ভাগ্নে সোহেল শিকারীকে ড্রাইভার পদে, ভায়রা মাহবুবকে ড্রাইভার পদে, নিকট আত্মীয় কামাল পাশাকে অফিস সহায়ক পদে স্বাস্থ্য অধিদফতরের চাকরি দিয়েছে। ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে তাকে গ্রেপ্তাতারের পর তার বিপুল সম্পদের সন্ধান পেয়েছে র‍্যাব। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ বাংলাদেশি জালনোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, সাধারণ মানুষকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে শক্তির মহড়া ও দাপট দেখিয়ে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছেন এবং দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি, অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা এবং জাল টাকার ব্যবসা করে আসছেন।অনিয়ম সংঘটনে একশ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠছেন কেননা, তাঁরা জানেন, প্রচলিত আইনী ব্যবস্থায় তাঁদের কার্যকর শাস্তি দেওয়া মোটেই সহজ নয়; সে কারণে কেনাকাটা কেবল নয়, যেখানেই সরকারি অর্থসম্পদ রয়েছে, সেখানেই এর অপব্যবহার বা আত্মসাতের ঘটনা বাড়ছে। ৬ হাজার টাকার বালিশ, ২৭ লাখ টাকার পর্দা, ১৬ গুণ অতিরিক্ত দামে মেডিকেলের বইয়ের পরে এবার বিশ্বব্যাংকের ঋণপুষ্ট ৪ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্পে সরকারি কেনাকাটায় হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে।

দুর্নীতি আগেও ছিল, এখন তো সীমার বাইরে চলে যাচ্ছে। লুটপাটের মানসিকতা কতটা বেপরোয়া না হলে কেউ গরু-ছাগলের উন্নয়ন প্রকল্পে ৪৫ হাজার টাকার চেয়ারের দাম ৬ লাখ টাকা দেখাতে পারে? গাভির গর্ভবতী হওয়ার পরীক্ষার জন্য বাজারে ১ হাজার পিস বাক্সের কিটের দাম যেখানে বড়জোর ৫ হাজার টাকা, সেখানে তা দেখানো হয়েছে প্রায় ৫০০ গুণ বেশি। এই দামে কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে এবং কেনার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এমন প্রস্তাব অনুমোদিত হয় কীভাবে? দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তাঁর এ ঘোষণা যে কেউ আমলে নেয়নি তার প্রমাণ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সীমাহীন দুর্নীতির খবর। টিআইবির এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ভূমির দলিল নিবন্ধনে ১ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ, দলিলপ্রতি সমিতিকে বাধ্যতামূলকভাবে ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা চাঁদা, নকলনবিস থেকে মোহরার পদে যোগদানে ২ থেকে ৮ লাখ টাকা, মোহরার থেকে সহকারী পদে যেতে ১০ লাখ টাকা ও দলিল লেখকের লাইসেন্স পেতে ১ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত অবৈধ লেনদেন করতে হয়। আর ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোতে সাবরেজিস্ট্রার হিসেবে বদলি হতে হলে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়। এর বাইরে ভূমি অফিসে সেবা পেতে আসা মানুষদের দলিলের নকল তোলা, নামজারি, হালনাগাদ তথ্য পাওয়াসহ প্রতিটি পদক্ষেপে দিতে হয় অফিসভেদে সুনির্দিষ্ট পরিমাণের ঘুষ। (দৈনিক যুগান্তর)

মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ তৈরির জন্য বঙ্গবন্ধু বিষয়ক বই কেনায় বড় ধরণের অনিয়ম হয়েছে। এক্ষেত্রে বইয়ের গ্রন্থস্বত্ব ও মেধাস্বত্ব চুরির মাধ্যমে ২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ তৈরির জন্য বই কেনায় অনিয়মের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বক্তব্য সন্তোষজনক না হওয়ায় সংসদীয় উপ-কমিটি গঠন করা হয়। এরআগে ‘বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা’ এবং বঙ্গবন্ধুর জেলজীবন নিয়ে বই ‘৩০৫৩ দিন’ কেনার ক্ষেত্রে দুর্নীতির ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। ‘জার্নি মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড’ ও ‘স্বাধীকা পাবলিশার্স’ নামে দুটি প্রকাশনা সংস্থা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এই অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, ওই দুটি প্রতিষ্ঠানের নামে বই দু’টির গ্রন্থস্বত্ব ও মেধাস্বত্ব চুরি করে নাজমুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি প্রকল্পের মোট ২৮ কোটি ৭৮ লাখ ১২ হাজার ২০০ টাকার মধ্যে ২০ কোটি ৭০ লাখ ৮৬ হাজার ৪০০ টাকাই পাচ্ছেন। যিনি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে কর্মরত রয়েছেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর অভিযোগ তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এখানে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন এর নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমান ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ যে উপসম্পাদকীয় লিখেছেন তার অংশবিশেষ এখনে উদ্ধৃত করছি: 

“স্বাস্থ্যের কর্মচারী আবজাল ১ হাজার ৫০০ কোটি কামিয়ে এখন জেলে। তাদের সিন্ডিকেটের গাড়িচালক মালেকই যদি এত সম্পদ বানিয়ে থাকেন, তাহলে পরিষ্কার যে, গোটা স্বাস্থ্য খাতের বিশাল হরিলুটে টপ টু বটম কি নির্লজ্জ দুর্নীতিগ্রস্ত! …ওপরের কর্তাদের দুর্নীতি আশকারায় কর্মচারী আবজাল, ড্রাইভার বাদল এমন দাপুটে লুটেরা হন। এদের জন্য আবার সাহেব-বিবির অন্দরমহল খোলা থাকে বাণিজ্যের দফারফায়! মালেকগং ও এদের গডফাদার কি একজন ? এরা কি এক দিনে তৈরি হয়েছে? বছরের পর বছর সব সরকারের আমলে এরা তৈরি হয় দুর্নীতির ছায়ায়। বিএনপি জমানায় হাওয়া ভবনের ছায়ার বাইরেও কি তৈরি হয়নি? সোনালী ব্যাংকের ট্রেড ইউনিয়ন নেতা কর্মচারী বাকিরের কথা মনে পড়ে? ওয়ান-ইলেভেনে আটক হয়ে মারা যান কারাগারে! কি দাপট ছিল তার রাজনৈতিক প্রভাবে। বনের রাজা ওসমান গনির তোশকজুড়ে কেবল টাকা আর টাকা। তিতাসের মিটার রিডার থেকে শিল্পপতি হওয়া সেই ধনাঢ্য রটা?ক্যাসিনো-বাণিজ্য থেকে জি কে শামীমদের একচেটিয়া টেন্ডার- বাণিজ্য, পাপিয়া, সাহেদ, সাবরিনা, জেমির মতো প্রতারক এমনকি ফরিদপুরের ছাত্রলীগ সভাপতিসহ কয়েকজনকে ২ হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিংয়ে আটক করতে হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে”।

এখানে একটি কথা বেলা প্রয়োজন, দুর্নীতি আগে কখনই ছিলনা এমন নয়। সর্বক্ষেত্রে দূর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিকতা বা ব্যাপকতা পেতে শুরু করে '৭৫ পরবর্তী অবৈধ ক্ষমতা দখলকারি সেনা সরকার সমূহের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার মানসে অ-রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের নানা প্রলোভনের মাধ্যমে দলে টানার প্রক্রিয়া  শুরু হলে।তখন থেকে দুর্নীতি এবং দূর্নীতিবাজ ব্যাক্তি সমাজে তাঁদের অবস্থান ধীরে ধীরে পাকাপোক্ত করে নেয়া শুরু করে। '২০০১-২০০৬' ইং সালে চারদলীয় জোটের নেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকার পরিচালনাকালীন সময়ে  দূর্নীতি সর্বগ্রাসী রূপ পরিগ্রহ করে। উক্ত সময়ে '২০০২--২০০৬' ইং সালের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের দূর্নীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনে, বিশ্বের ১৭৩টি রাষ্ট্রের মধ্যে বাংলাদেশ পর পর ৪বার দূর্নীতিতে শীর্ষস্থান দখল করে।

শেষ করতে চাই এই বলেই যে, সর্বগ্রাসী দুর্নীতিতে গা ভাসিয়ে দিয়েছে দেশের প্রশাসনের টপ টু বটম এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।  এমনকি সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকেও তোলা হচ্ছে এ ধরনের অভিযোগ। দেশে দুর্নীতি কোন্ পর্যায়ে পৌঁছেছে, এ থেকে তার কিছুটা আঁচ পাওয়া যায়। বস্তুত দুর্নীতি এখন বাংলাদেশের জাতীয় সমস্যা। রাজনীতি থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সর্বত্রই বিস্তার ঘটেছে দুর্নীতির। ঘুষ বা অবৈধ লেনদেন ছাড়া কোথাও কোনো কাজ হয় না। দুর্নীতির বৈশ্বিক ধারণাসূচকে বছর বছর এর প্রতিফলন ঘটছে, যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য গ্লানিকর। প্রধানমন্ত্রী অতি সম্প্রতি বলেছেন, দুর্নীতি না হলে দেশের চেহারা পাল্টে যেত। বস্তুত এ মুহূর্তে বাংলাদেশ যেখানে অবস্থান করছে, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন করা গেলে অতি দ্রুত সেই অবস্থান আরও অনেক উপরে উঠা যেতো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন দুর্নীতির কারণে প্রতিবছর কমপক্ষে ১৮ হাজার কোটি টাকা মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) যোগ হতে পারছে না। এই হিসাব অবশ্য রক্ষণশীলভাবে করা। জিডিপির চলতি মূল্যকে ভিত্তি ধরে হিসাব করলে বছরে অঙ্কটা দাঁড়াবে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির অন্যতম প্রধান অন্তরায় হচ্ছে দুর্নীতি।

 

মাহবুবুল আলম
কবি
-কথাসাহিত্যিক, কলামিস্ট ও গবেষক



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top