সিডনী মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ ২০২৪, ৫ই চৈত্র ১৪৩০

বন্দুকবাজ : শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়


প্রকাশিত:
১৯ জুলাই ২০২১ ২২:১৭

আপডেট:
১৯ মার্চ ২০২৪ ১৪:২৫

ছবিঃ : শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

 

পল্টনের একটাই গুণ ছিল। সে খুব ভালো বন্দুকবাজ। বন্দুক বলতে আসল জিনিস নয়, হাওয়া-বন্দুক। চিড়িয়া, বাঘ এমনকী ইদুর মারার যন্ত্রও সেটা নয়। তবে অল্প পাল্লায় চাঁদমারি করা যায় বেশ, আর পল্টনের হাওয়া- বন্দুকটা ছিল ভালো। তার জমিদার দাদু জার্মানি থেকে আনিয়ে দিয়েছিলেন। 

জীবনটাকে প্রথম খাট্টা বানিয়ে ছাড়ল ইস্কুলের মাস্টাররা, আর বাবা। দিনরাত কেবল পড় পড়। শেষমেশ “পড় পড়” শব্দটা তার কানে আরশোলার মতো ফড়ফড় করে বেড়াত, মাথার মধ্যে ফরর, ফরর করত।

বন্দুকবাজ ছিল তখন থেকেই।

দাদুর জামিদারি বাবা বিফলে দিল! তারপর থেকে শুখা ভদ্রলোক তারা। নিমপাতা দিয়ে ভাত খায়।

বাবা কেবল হুড়ো দেয় তখন – মানুষ হ। দাঁড়া। নইলে মরবি।

পল্টন জানে, বাবা এখন ছেলের মধ্যে তাগদ চায়। বাপ নিজে সুপুত্র ছিল না। তবে খারাপ দোষও কিছু নেই। চটপট বড়োলোক হতে গিয়ে ফটাফট টাকা বেরিয়ে গেল। জমি গেল। বাড়িটা রইল শুধু। তা সে বাড়িরও ছুরত কিছু নেই। রংচটা দাদের দাগ সর্বাঙ্গে।

পল্টনের মাথায় পড়া ঢোকে না, বাপের হুড়ো খেয়ে বই মুখে হরবখত ঘ্যাঙর ঘ্যাং করত বটে, কিন্তু মা সরস্বতীর পায়ের ছাপ পড়ত না মাথার ঘিলুতে। তবে বন্দুকের নিশানা ছিল ওয়া : ওয়া। বিশ হাত দূর থেকে উলটো করে ধরা পেনসিলের শিস উড়িয়ে দিত একবারে । টান করে সুতো বাঁধো, পল্টন বিশ হাত দূর থেকে ছররা মেরে ছিড়ে দেবে। কোনো কাজে লাগে না গুণটা। কিন্তু আছে। অচল সিকি যেমন পকেটে পড়ে থাকে।

তার পথে বরাবরই নানান মাপের গাড্ডা। কখনো ছোটো কখনো বড়ো। ক্লাস নাইনে সে প্রেমে পড়ল গার্লস স্কুলের পপির সঙ্গে। পপি পড়েনি। পড়াটা পল্টনের একতরফা। না পড়ে উপায়ই বা কী? হুবহু মেমসাহেবের মতো দেখতে পপি, তেমনি সাজগোজ তার, আর রাজহাঁসের মতো অহংকারী সে। পুরো গঞ্জের যুবজন ঢেউ খেয়ে গেল।

পপি কখনো বিনা ঘটনায় রাস্তায় হাঁটতে পারত না। রোজ কিছু না কিছু ঘটবেই। এক ছোকরা স্রেফ হিরো বনতে গিয়ে বাগি সিপাহির মতো দোতলার ছাদ থেকে লাফিয়ে পপির চোখ টানতে গিয়েছিল। দুটো ঠ্যাং বরবাদ। 

আর একজন স্রেফ পপির জন্য গার্লস স্কুলের পুকুরে তেত্রিশ ঘণ্টা সাঁতরাল। নিউমোনিয়া হয়ে সে যায় যায়।

আর একজন কেবল পপির দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আর একজন প্রতিদ্বন্দ্বীর পেটে ছুরি চালিয়ে দিল। একজন জেল, অন্যজন হাসপাতালে গেল।

অনেকে গান শিখতে লাগল, ফুটবল খেলতে লাগল, ছবি আঁকতে লাগল, গল্প বা কবিতা লিখতে লাগল, সব পপির জন্য।

পপি কী ভালোবাসে, কী পছন্দ করে তা তো কারও জানা ছিল না।

পল্টনের আর কিছু নেই, বন্দুক আছে। এক বাজিকর বাজি দেখিয়ে মাতা মেরির আশীর্বাদ পেয়েছিল। গল্পটা জানত পল্টন। বাজিতে যদি হয় তো বন্দুকে হবে না কেন? পল্টন গিয়ে ডালিমের সেলুনে চুল ছাঁটল সেদিন, সবচেয়ে ভালো হাফ প্যান্ট আর শার্টটা পরল। আজ জুতোও পরল যা সে কদাচিৎ পরে।

আমতলার রাস্তা দিয়ে পপি ইস্কুলে যাচ্ছে। সঙ্গে হরেক কিসিমের ফুরফুরে মেয়ে। সব ডগমগ। আর আড়াল-আবডালে, আগে-পিছে ছোকরারা নানা কায়দা করে চোখ টানার চেষ্টা করছে।

পল্টন ঠিক করল, দেখাবে। পপির বাঁ বুকের ওপরে সাঁটা ইস্কুলের মেটাল ব্যাজ। বেশ ছোটো ব্যাজ। পল্টন আমগাছের আড়াল থেকে বন্দুক তাক করল। বেশ শক্ত কাজ। প্রথম, পপি চলছে। দ্বিতীয়, তার চারদিকে বিস্তর চেলি চামুন্ডী। কিন্তু বন্দুকবাজ পল্টন তো আর কাঁচা হাতের লোক নয়। সে ব্যাজটাকে ভালোমতো নিরিখ করে ঘোড়া টিপে দিল। ব্যাজটাকে টিপে দিয়ে লোহার গুলি লাফিয়ে উঠে পপির পা ছুঁল ভয়ে। কিন্তু ফসকায়নি।

কিন্তু পপির চোখের সামনে রুস্তম বনবার সাধ যারা এতকাল ধরে পুষছে তারা ছাড়বে কেন?

পপির লাগেনি, অলৌকিক হাতের টিপ পল্টনের। টিনের ব্যাজটা টোল খেয়ে গেছে। কিন্ত তখন কে শোনে তার কথা। ভুলটা কোথায় হয়েছে বোঝবার আগেই তার মাথা থেকে সিকি চুল খামচে তুলে নিল ছোকরারা, পেট-ফাটানো লাথি চালাল, নাক থ্যাবড়া করে দিল ঘুসিতে। তিনটে দাঁত নড়বড়।

প্রথমে ভয় খেলেও মার দেখে খুব হেসেছিল পপি আর তার বান্ধবীরা।

বন্দুকটা সেই গোলমালেও বেঁচে গিয়েছিল। সেটার ওপর কেউ কেন কে জানে আক্রোশ দেখায়নি।

মারে শেষ হল না। ইস্কুলে খবর হল। পরদিনই তার বাবার কাছে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট গেল ইস্কুল থেকে। ব্যথা-বেদনার শরীরের ওপর বাবা আর এক দফা চালাল। সেই রাতেই বন্দুক ঘাড়ে রাস্তা মাপল পল্টন। একটু খুঁড়িয়ে, ককিয়ে, মাঝে মাঝে চোখের জল ফেলে।

ভোর হল শহরতলিতে। লেভেল ক্রসিং-এ একটা ফাঁকা গুমটি ঘর পেয়ে শুয়ে পড়েছিল পল্টন। ভোর হল প্রচন্ড খিদেয় পিপাসায়। ভোর হল ভয়ে।

কিন্তু ভোর তো হল!

পল্টন ভারী শহরে ঢুকে চারদিক দেখে। বাবার সঙ্গে বহুবার এসেছে, তখন খারাপ লাগেনি। এখন মনে হল, ই বাবা, এখানে আবার না জানি কী হবে! কিন্ত ডরপোকের ইজ্জত নেই। সঙ্গে বন্দুক তো আছে এখনও। প্রথমে পল্টন তার আংটি বেচল। তারপর খেল পেটভরে।

বাজারের কাছে বন্দুক হাতে ঘোরাঘুরি করার সময় বহু লোক তাকে ফিরে ফিরে দেখতে থাকে। কয়েকটা বাচ্চা ছেলে পিছুও নেয়। একটা ছেলের হাতে আধ-খাওয়া জিলিপি। পল্টন তাকে বলল, জিলিপিটা ধরে দাঁড়া।

ছেলেটা দাঁড়ায়। বিশ হাত দূর থেকে পল্টন বন্দুক মারে, জিলিপি পড়ে যায়।

ছেলেটা কেঁদে ওঠে বটে, কিন্তু বহু লোক তাকে শাবাশ দিতে থাকে!

তো পল্টনের পয়লা কাম সাফা, এ কাজটা হল সবচেয়ে শক্ত কাজ। ঢোকা। ঢুকে পড়া। পল্টন পয়লা গুলিতেই শহরে ঢোকার রাস্তা করে নিল।

সে জোগাড় করল আলপিন, ছুরি, টম্যাটো, আলু, সুতো আর যত সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম জিনিস আছে। ছুরির মাথায় টম্যাটো গেঁথে, সুতো ঝুলিয়ে, আলপিনের ডগা লক্ষ করে সে দমাদম বন্দুক মারে। একটা তাস দাঁড় করিয়ে যেকোনো ফোঁটায় গুলি লাগায় দশ-বিশ হাত দূর থেকে। গুলি ফসকায় না। মোমবাতির শিখা নিভিয়ে দেয়, উড়ন্ত মার্বেল ছটকে দেয়।

দিনে দেড় দু-টাকা রোজগার দাঁড়াল। কোই পরোয়া নেই। একটা চালের আড়তে পাহারা দেওয়ার কাজ পেল, সেইখানেই মাথা গোঁজার জায়গা আর দু-বেলা খাওয়া। সারাদিন শহরের এখানে-সেখানে বন্দুকবাজি। তবে ভুলেও সে আর মেয়েদের দিকে তাকায় না। ওপড়ানো জায়গায় ফের চুল গজাতে অনেক সময় লেগেছে।

তো বন্দুক আর পল্টন আছে। আর কী চাই?

আড়তের মালিক চেন্টুবাবুর আসলি বন্দুক আছে। দুটো নল দিয়ে আগুনে সিসে ছটকায়। চেন্টু বলে – চালাবি?

উদাস স্বরে পল্টন বলে – ও বড়ো ভারী জিনিস।

দুর ব্যাটা! অভ্যাস কর।

পল্টন আসল বন্দুকের খদ্দের নয়। সে কোনোদিন পাখি মারেনি, বাঘ মারেনি, বেড়াল পর্যন্ত নয়। জীবজন্তু মারতে বড়ো কষ্ট হয়। আসল বন্দুকে তার তবে কাজ কী?

কিছুদিন যায়। হাওয়া-বন্দুকের খেল শহরে পুরোনো হয়ে গেছে। নতুন আর কিছু না দেখালে লোকে তাকাবে কেন?

খুব ভাবে পল্টন। সে চিত হয়ে, উপুড় হয়ে, হেটমুন্ডু হয়ে বহু লক্ষ্যভেদ দেখিয়েছে। কিন্তু তাও তো সব দেখা হয়ে গেছে মানুষের। আর কী বাকি আছে? রাতের বেলা হাওয়া-বন্দুক কোলে নিয়ে পল্টন জেগে বসে আড়ত পাহারা দেয় আর ভাবে। ভাবতে ভাবতে একদিন চেন্টুবাবুকে বলল – বন্দুক ছাড়া আর তো কিছু জানি না। তা বললেন যখন তো দিন আপনার মারণ-কল। চালাই।

পারবি তো?

প্র্যাকটিস তো করি।

চেন্টুবাবু বন্দুক দিলেন। বললেন – গুলির বড়ো দাম। সাবধান, বেশি খরচ করিসনি।

খুবই ভারী বন্দুক, হাওয়া-বন্দুকের পাঁচগুণ। চেন্টুবাবু তাকে নিয়ে এক ছুটির দিনে শহরের বাইরে গেলেন বন্দুক শেখাতে।

সারাদিন দমাদম চাঁদমারি হল। দিনের শেষে চেন্টুবাবু হাঁপাতে হাঁপাতে বললেন – তুই শালা একলব্যের বংশ।

মিথ্যেও নয়। আসলি চিজ পয়লা দিন ধরেই পল্টন খেল দেখিয়েছে। পিজবোর্ডে আঁকা গোল টার্গেটের ঠিক মাঝখানে একটার ওপর একটা গুলি পাম্প করে দিয়েছে; এদিক-ওদিক হয়নি। চেন্টুবাবু শূন্যে ঢিল হুড়েছেন, আর পল্টন সেই টিল ছাতু করেছে। তারপর নারকেল পেড়েছে বন্দুকে, বটের ফল পেড়েছে, সর্বশেষে একটা ওলটানো কাচের গ্লাসের ওপর রাখা একটা কমলালেবু ছ্যাঁদা করেছে, গ্লাসটার চোট হয়নি।

শহরে শখের শিকারি কিছু কম নেই। পল্টনের বন্দুকের হাত সবাই জেনে গেল। সেই থেকে সে শিকারি-পার্টির সঙ্গী। ছুটির দিনে কেউ না কেউ এসে বলবেই, চল রে পল্টন।

পল্টন যায়। নিজের হাতে জীবজন্ত সে মারে না। তবে বন্দুক বয়। গুলি ভরে দেয়। সঙ্গে থাকে। কথা কম বলে সে। কেউ চাইলে বন্দুকের নানা ভেলকি দেখায়। চলন্ত জিপ গাড়ি থেকে টার্গেট মারে, ঘোড়ার পিঠ থেকে পিছন ফিরে লক্ষ্যভেদ করে, হেটমুন্ডু হয়ে নিশানায় গুলি লাগায়।

বিশ্বাসবাবু বললেন – তা পাখি মারিস না কেন?

কষ্ট হয় বাবু। পাখির তো বন্দুক নেইী। সে উঠে কী চালাবে?

ব্যাটা ফিলজফার!

পল্টন জানে মারটা উভয় পক্ষেরই হওয়াটা হকের। একতরফা ভালো নয়। পাখি বন্দুক চালালে সেও উলটে চালাতে পারত।

চৌধুরি সাহেব বললেন- কিন্তু বাঘ?

বাঘেরও বন্দুক নেই। তা ছাড়া সে তো আমার ঘরে গিয়ে হামলা করেনি। বরং তার জায়গায় এসে আমিই ঝামেলা চালাচ্ছি।

তোর কপালে কষ্ট আছে।

সে জানে পল্টন। কপালে কষ্ট তার নেই তো কার আছে!

অফিসারদের ক্লাবে পল্টন চাকরি পেয়েছে। টেনিস বল কুড়িয়ে দেয়, ঘাস ছাঁটে, গলফের ব্যাগ বয়ে নিয়ে যায়, মদ ঢেলে দেয়।

একদিন খেয়ালবশে গলফ স্টিক চালিয়ে বহুদুরের গর্তে বল ফেলল।

মিত্র সাহেব বিয়ারের জাগ হাতে রঙিন ছাতার তলায় বসেছিলেন। দেখে বললেন – হোল ইন ওয়ান! আবার মারো তো!

আবার মারে পল্টন এবং এবারও গর্তে বল ফেলে।

সেই থেকে পল্টন একনম্বর গলফ খেলোয়াড়। সেই থেকে সে বিলিয়ার্ডেও সবচেয়ে চৌকস। পল্টন ছাড়া সাহেবদের চলে না। পল্টন ছাড়া ক্লাব অচল।

কাছাকাছি বউ বা প্রেমিকা থাকলে কোনো সাহেবই পল্টনের সঙ্গে বড়ো একটা বিলিয়ার্ড বা গলফ খেলে না।

গুহ সাহেব নতুন এসেছেন। সুন্দরী স্ত্রী।

[গল্পের নিয়মে গুহ সাহেবের স্ত্রী হতে পারত সেই পপি। জীবন তো অনেক সময়ে গল্পের মতই হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, গুহ সাহেবের স্ত্রী পপি নয়। অন্য একজন।]

পল্টন বিলিয়ার্ড টেবিলে একা একা বল চালাচালি করছিল। সাহেবরা কেউ আসেনি তখনো।

গুহ সাহেব হাত গুটিয়ে বললেন, হয়ে যাক এক হাত।

হল। হেরে ভূত হয়ে গেলেন গুহ। পল্টন গা লাগিয়েও খেলল না।

পরদিন গলফে সে গুহ সাহেবকে একদম বুরবক বানিয়ে ছাড়ল।

কিন্তু গুহ সাহেব বুরবক হতে পছন্দ করেন না। তিনি বিদেশে বিস্তর গলফ আর বিলিয়ার্ড খেলেছেন। কম্পিটিশনে শুটিং করেছেন। তা ক্রমে ক্রমে তাঁর পল্টনের সঙ্গে একটা অদেখা শক্রতা গড়ে উঠতে থাকে।

শীতকালে জলায় বাঘ আসে। সেবারও এল। সাহেবরা বন্দুক কাঁধে বাঘ মারতে চললেন। সঙ্গে পল্টন। জঙ্গলে বিটিং হচ্ছে। জঙ্গলের বাইরে দু-সার বন্দুক তৈরি।

পল্টন দূরে একটা গাছতলা বেছে ছায়ায় বসে আছে। বসতে বসতে ঢুলুনি এল। শুয়ে গেল সেইখানেই। বাঘটা বেরোল বিদ্যুৎশিখার মতো। তারপর ঢেউ হয়ে ছুটতে লাগল খোলা মাঠ দিয়ে, আগুনের মতো উজ্জ্বল শরীরে। মোট দশখানা বন্দুক গর্জে উঠল দুই সারি থেকে। তারপরেও গর্জাতে লাগল। ধোঁয়ায় ধোঁয়াক্কার, বারুদের গন্ধে বুক ছিড়ে যায়।

বাঘটা ঝাঁঝরা হয়ে পড়ে গেল ধানের খেতে। তার রক্তে মাটি উর্বর হতে লাগল। পল্টন শুয়েছিল টিলার মতো উঁচু জায়গায়। গাছতলায়। সবই ঠিক আছে তার, শুধু তোলা হাঁটুর মাঝখানে একটা ছ্যাঁদা। তিরবেগে রক্ত বেরোচ্ছে।

যখন সবাই ঘিরে ধরল তাকে সে কাতর স্বরে বলল, শাবাশ। লেগেছে ঠিক লেগেছে। শাবাশ সাহেব।

কাকে বলল কেউ বুঝতে পারল না। তবে মাসখানেক বাদে গুহ সাহেবের স্ত্রী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ডিভোর্সের মামলা আনলেন আদালতে।

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top