বারাকা এ্যপায়েরেলের আমন্ত্রণে কানাডায় প্রবাসী বাঙালিদে মিলন
প্রকাশিত:
৩ এপ্রিল ২০২১ ২০:১৫
আপডেট:
১১ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:৪৬

প্রভাত ফেরী: বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সব কিছুই যখন স্থবিরভাবে চলছে, নতুন করোনা ভেরিয়েন্টে সবাই যখন আতঙ্কিত ঠিক সেই মুহূর্তে ব্যতিক্রমী এক আয়োজন ছিল বারাকা এ্যপায়েরেলের। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রবাসী জীবনের আনন্দ জয়গানে প্রবাসীরা মিলিত হয়েছিলেন উৎসব সুইটস রেস্টুরেন্টে বারাকা এ্যপায়েরেলের আমন্ত্রণে।
কানাডায় সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে নতুন করোনাভাইরাসের আতঙ্ক এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। কানাডাবাসী যতটা পারছেন মেনে চলছেন নিয়মকানুন আর সামাজিক দূরত্ব। তবে সরকারের দেওয়া বিধি-নিষেধ, সামাজিক দূরত্ব আর ঘরে বসে থাকলেও বাঙালির চিরাচরিত পহেলা বৈশাখ ও ঈদুল ফিতরের উৎসব যেন মনের গহীনে।
বাইরে বের হয়ে পহেলা বৈশাখ ও ঈদের কেনাকাটার ভিন্ন আমেজ তৈরি করতেই সম্প্রতি বারাকা এ্যপায়েরল আয়োজন করেছিল এই ব্যতিঐমী দিনব্যাপী আয়োজনের। আয়োজনে ছিল বাহারি রকমের শাড়ি, সহ মহিলাদের সাজগোজের নানা রকমের সরঞ্জাম আর পুরুষদের জন্য পাঞ্জাবি।সব মিলিয়ে এক অন্যরকম মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল এই আয়োজন।
করোনাকালীন এই সময়টায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কিছু টা সময়ের জন্য হলেও প্রাণের আনন্দে মেতে ছিলেন প্রবাসী বাঙালিরা।ভালোবাসার রং, আড্ডার রং, লোকজ ভাবনা, বাংলার ঐতিহ্য আর ভালোবাসা বিনিময়ে ছিল তৎপর। প্রমাণ মিলেছে প্রবাসী বাঙ্গালিদের পিছিয়ে না থাকার। অনেকের আগমনে ঘটেছিল ভিন্ন মাত্রা।
বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অব ক্যালগেরির সভাপতি মো. রশিদ রিপন জানালেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনেকেই এসেছেন, কেনাকাটা করেছেন নিজেদের পছন্দমতো। শূধু তাই-ই নয়, বাড়তি আনন্দ ছিল প্রবাসীদের একত্রিত হবার।
ক্যালগেরির ‘বারাকা এ্যপায়ারেল’এর স্বত্বাধিকারী আরিফা রব্বানি বলেন, বর্তমান এই পরিস্থিতিতে সকলের এই সতস্ফুর্ত সাড়ায় আমি সত্যিই বিমোহিত। অনেকের সাথেই প্রায় এক বছর পর দেখা হয়েছে, বেচাকেনার চাইতেও এটাই সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। যারা এসেছেন এবং যারা আসতে পারেননি সকলের জন্য শুভ কামনা। আগামীতে দেখা হবে অন্য কোন মিলন মেলায়।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: