বাংলাদেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়াল, আক্রান্ত প্রায় ৩ হাজার


প্রকাশিত:
২০ এপ্রিল ২০২০ ২২:৩৯

আপডেট:
১২ মার্চ ২০২৫ ২২:১২

ফাইল ছবি

 

প্রভাত ফেরী: দেশে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১০০ জন ছাড়িয়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১০১ জনে।

এছাড়া দেশে নতুন করে ৪৯২ জনের দেহে নভেল করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯ এর সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। এতে দেশে এই ভাইরাসে সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৯৪৮ জনে।

নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘গতকালের তুলনায় আজ শনাক্ত অনেক বেশি। মৃত্যু ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করেছি ২ হাজার ৭৭৯টি নমুনা, মোট ২৬ হাজার ৬০৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে ৪৯২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১০ জনের মধ্যে পুরুষ ৮ জন, নারী দুজন। মৃত ১০ জনের মধ্যে ঢাকার ৫ জন, ঢাকার বাইরে নারায়ণগঞ্জে ৪ জন এবং নরসিংদীতে একজন।'

তিনি বলেন, ‘গাজীপুরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে। এটা প্রায় ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ। এছাড়া কিশোরগঞ্জে ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ এবং নরসিংদীতে ৬ শতাংশ। ঢাকায় এবং নারায়ণগঞ্জে আগের মতোই। অনেক বেশি আছে।’

গতকালের থেকে আজ নমুনা সংগ্রহ হয়েছে প্রায় ১০ শতাংশ বেশি এবং পরীক্ষা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৫৭ জনকে, এখন পর্যন্ত মোট আইসোলেশনে রাখা রোগীর সংখ্যা ৭১৩।

তিনি জানান, নতুন করে মৃত ১০ জনের মধ্যে পুরুষ আটজন এবং নারী দুজন। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এ ১০ জনের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব চারজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব চারজন এবং চল্লিশোর্ধ্ব দুজন। তাদের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় মারা গেছেন পাঁচজন, নারায়ণগঞ্জে চারজন এবং নরসিংদীতে একজন মারা গেছেন।

বুলেটিনে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদুল্লাহ পিপিইসহ চিকিৎসা সামগ্রী গ্রহণ এবং তা চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে বিতরণের তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, দু-এক সপ্তাহের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ডেডিকেটেড হাসপাতালসহ সারাদেশের হাসপাতালে এন-৯৫-এর সমমানের মাস্ক সরবরাহ করা সম্ভব হবে। বর্তমানে সরবরাহ সীমিত থাকায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরামর্শ অনুযায়ী নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ও পিসিআর এবং কিছু হাসপাতালের ওয়ার্ডে এন-৯৫ সরবরাহ করা হচ্ছে। এখন দেশে প্রতিদিন এক লাখ উন্নতমানের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) উৎপাদন ও সরবরাহ করা হচ্ছে।

বুলেটিন উপস্থাপনকালে করোনার বিস্তাররোধে সবাইকে বাড়িতে থাকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।

গত ডিসেম্বরের শেষে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন গোটা বিশ্বে তাণ্ডব চালাচ্ছে। চীন পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দিয়ে উঠলেও এখন ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সাড়ে ২৪ লাখ ১৪ হাজারেরও বেশি। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে এক লাখ ৬৫ হাজার। তবে সোয়া ছয় লক্ষাধিক রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।


বিষয়: করোনা


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top