সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল ২০২৪, ৫ই বৈশাখ ১৪৩১


দীর্ঘ দেড় মাস পর বাংলাদেশে আজ খুলছে শপিংমলসহ কয়েকটি মার্কেট


প্রকাশিত:
১০ মে ২০২০ ২০:৪১

আপডেট:
১৮ এপ্রিল ২০২৪ ১০:৩৩

ফাইল ছবি

 

প্রভাত ফেরী: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশে গত দেড় মাস জরুরী পরিসেবা ছাড়া সকলকিছু বন্ধ ছিলো। এবার সেই প্রতিক্ষার শেষ হলো। দীর্ঘ দেড়মাস পর আজ খুলছে রাজধানীর শপিংমলগুলো। তবে অনেককেই নিজের সিদ্ধান্তে এখনো দোকান বন্ধ রাখবেন বলে জানিয়েছেন। তারমধ্যে বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, নিউ মার্কেটসহ আরো কয়েকটি শপিংমল রয়েছে। চলমান রমজান, আসন্ন ঈদ ইত্যাদির কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শর্তসাপেক্ষ সীমিত পরিসরে দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার।

এই নির্দেশনা অনুসারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এরইমধ্যে নিজেদের বেশিরভাগ আউটলেট খোলার ঘোষণা দিয়েছে দেশীয় ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড আড়ং ও বাংলাদেশের জুতা তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান এপেক্স ও বাটা। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারায় রাজধানীর মধ্যবিত্তদের অন্যতম প্রধান গন্তব্য নিউমার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হলেও খুলে যাবে এর উল্টো পাশের গাউছিয়া, চাঁদনী চক, ইস্টার্ন মল্লিকা,  ইস্টার্ন প্লাজা, এলিফ্যান্ট রোডের সব দোকান। খোলা হবে রাজধানীর গুলশান ১ ও ২ নম্বর সেকশনের ডিনএসসি মার্কেট এবং গাজী শপিং কমপ্লেক্সও। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও দোকান ও মার্কেট মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। 

জীবন ও জীবিকার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির করোনার মধ্যেই ঈদ উপলক্ষে দোকান খোলার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন জানায়। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যবিধি মানা বাধ্যতামূলক করে আজ রবিবার (১০ মে) থেকে রাজধানীসহ দেশের সব মার্কেট শপিংমল খোলার অনুমতি দেয় সরকার। তবে এ অনুমতি পেলেও গোল বেঁধে যায় দোকানমালিক-শ্রমিক ও ক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা নিয়ে। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুতগতিতে বাড়ছে, এই পরিস্থিতিতে ক্রেতাদের পাশাপাশি নিজেদের নিরাপত্তা কীভাবে রক্ষা হবে এবং হুট করে কেউ আক্রান্ত হলে তার দায়ভার বা চিকিৎসার দায়িত্ব কে নেবে বেশিরভাগ মালিক সমিতির আলোচনায় ছিল এই প্রশ্ন।

সরকার সুনির্দিষ্ট কিছু পেশাজীবীর জন্য করোনায় আক্রান্ত হলে তার দায়দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দিলেও দোকান মালিকদের বিষয়ে কিছু বলেনি। ফলে নিজেদের নিরাপত্তার পাশাপাশি ক্রেতাদের নিরাপত্তার ইস্যুও চিল তাদের আলোচনায়। এ কারণেই ব্যবসায়ীরা নিজেরা বসে এই সমস্যার সমাধান করতে না পারায় ব্যবসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় হলেও ঈদের আগে দোকান না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেশিরভাগ দোকান মালিক সমিতি।

সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনায় নিয়ে রাজধানী ও দেশের প্রধান বড় দুই শপিং কমপ্লেক্স বসুন্ধরা সিটি ও যমুনা ফিউচার পার্ক এবং এর পরপরই ঢাকা নিউ মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। কাল রবিবার থেকে এ তিনটি মার্কেট খুলছে না। একই কারণে আপাতত মার্কেট না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেট, মৌচাক মার্কেট ও আনারকলি মার্কেট, মোতালেব প্লাজা।

একই সঙ্গে এ সময় দেশের সব সোনার দোকানও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষযটিতে গুরুত্ব দিয়ে রাজধানীর গুলিস্তান-ফুলবাড়িয়া সব পাইকারি মার্কেট বিশেষ করে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স, এনেক্সকো টাওয়ার, মহানগর কমপ্লেক্স, ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট, সুন্দরবন সুপার মার্কেট, জাকির প্লাজা, নগর প্লাজা, সিটি প্লাজা, গুলিস্তান পুরান বাজার, বঙ্গ ইসলামিয়া সুপার মার্কেটও বন্ধ থাকবে।

এদিকে ব্যবসা, অর্থনীতি ও কর্মচারীদের জীবিকার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে গাউছিয়া, রাজধানীর গুলশান ১ ও ২ নম্বর সেকসনের ডিনএসসি মার্কেট, চাঁদনী চক, ইস্টার্ন প্লাজা, ইস্টার্ন মল্লিকা, গাজী শপিং কমপ্লেক্স এবং এলিফ্যান্ট রোডের সব দোকান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসব মার্কেট সমিতির কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ফলে তাদের ব্যবসার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জমানো পুঁজি ভেঙে খাওয়ার ফলে তারা এখন অনেকটাই অসহায় হড়ে পড়েছেন। কর্মচারীরা অনাহারে অর্ধহারে দিনাতিপাত করছেন। দোকান বা ব্যবসা চালু হলে তারা কিছুটা হলেও অর্থের মুখ দেখবেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি মানার নিশ্চয়তা দিয়ে ১০ মে রবিবার থেকে সীমিত আকারে দেশীয় ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড আড়ং ও বাংলাদেশের জুতা তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান এপেক্স ও বাটা। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে নিজ নিজ সিদ্ধান্তে আউটলেট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top