না ফেরার দেশে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম
প্রকাশিত:
১৩ জুন ২০২০ ২৩:৪৮
আপডেট:
১৩ মার্চ ২০২৫ ০১:০৫

প্রভাত ফেরী: সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম আর নেই। আটদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শনিবার (১৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর শ্যামলী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মোহাম্মদ নাসিমের একান্ত সহকারী সচিব মীর মোশারফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার (১২ জুন) রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও তার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, মেডিক্যাল বোর্ড রাতে মিটিং করেছে। লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় নতুন করে হার্টে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আগে এই সমস্যা ছিল না।
গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করা হচ্ছিল নাসিমের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আপডেট। এ নিয়ে মানুষের কৌতুহলও ছিল যথেষ্ট। দলের ভেতর থেকে তো বটেই, সাধারণ মানুষেরও কৌতুহলের কমতি ছিল না নাসিমকে নিয়ে। এর যথেষ্ট কারণও ছিল। জাতীয় চারনেতার অন্যতম ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে তিনি। সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করেছেন ১৪ দলের মুখপাত্র হিসেবে। তিনি অংশ নিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধে। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। এসব সূত্রে মানুষের মধ্যে তাঁর ছিল ব্যাপক পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা।
মোহাম্মদ নাসিমের বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারের অভ্যন্তরে নিহত জাতীয় চার নেতার একজন এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম। তিনি সংসদে পঞ্চমবারের মতো সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন।
মোহাম্মদ নাসিম বর্তমান সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। এছাড়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মুখপাত্রও তিনি।
২০১৪ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান মোহাম্মদ নাসিম। এর আগে ১৯৯৬-২০০১ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
বিষয়: মোহাম্মদ নাসিম
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: