সিডনী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


বাংলাদেশে করোনা রোগী দেড় লাখ ছাড়াল, মৃত প্রায় ২ হাজার


প্রকাশিত:
৩ জুলাই ২০২০ ২২:৩৮

আপডেট:
৩ জুলাই ২০২০ ২২:৪৩

ফাইল ছবি

 

প্রভাত ফেরী: একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ডের দিনে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়াল। দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৮ মার্চ, তার দশ দিনের মাথায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। প্রথম রোগী শনাক্তের ২৮ দিন পর ৬ এপ্রিল শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০০ ছাড়ায়। ১৪ এপ্রিল এক হাজার ছাড়ায় শনাক্ত রোগী। এরপর ৪ মে ১০ হাজার, ১৫ মে ২০ হাজার এবং ২ জুন পঞ্চাশ হাজার ছাড়িয়েছিল শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। এরপর মাত্র ১৬ দিনে ১৮ জুন দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে যায়। বৃহস্পতিবার তা দেড় লাখে পৌঁছাতে সময় লাগল ১৪ দিন। অন্যদিকে বাংলাদেশে ১৮ মার্চ প্রথম কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। আর ২০ এপ্রিল মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়ায়। ১০ জুন মৃতের সংখ্যা হাজারের ঘর পেরিয়ে যায়। এখন তা পৌঁছে গেছে দুই হাজারের কাছাকাছি।

১৮ হাজার ৩৬২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৪ হাজার ১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এক দিনে এই সংখ্যা সর্বোচ্চ। এর আগের দিন বুধবার ১৭ হাজার ৮৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। এখন পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৮ লাখ ২ হাজার ৬৯৭টি নমুনা। দেশে ৭০টি ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এই সময়ে আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৩৮ জন মারা গেছেন গত এক দিনে, বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৯২৬ জন। বুধবার দেশে করোনায় সংক্রমিত ৩ হাজার ৭৭৫ জন শনাক্ত হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। মারা গিয়েছিলেন ৪১ জন।

করোনার ঝুঁকি এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে সবাইকে অনুরোধ জানিয়ে বৃহস্পতিবার নিয়মিত অনলাইন বুলিটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, যে স্থানে নমুনা সংগ্রহ করা হবে, সেখানে রশিদের মাধ্যমে ফি নেওয়া হবে। এরপর তা সরকারি কোষাগারে জমা হবে। দরিদ্র রোগীদের ক্ষেত্রে ফি মওকুফ থাকবে। তিনি আরও বলেন, অনেকে সুস্থ হওয়ার পরে কাজে যোগ দিতে অসুবিধা হচ্ছে। লক্ষণ বা উপসর্গ-মুক্ত হওয়ার পর আরও ১৪ দিন পর কাজে যোগ দিতে পারবেন। এ বিষয়টি সবাই বিবেচনা করবেন। এর জন্য আর কোনো পরীক্ষার দরকার নেই।

সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরে ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৩২ এবং নারী ছয়জন। এদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের একজন, ত্রিশোর্ধ্ব দুজন, চল্লিশোর্ধ্ব দুজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৬ জন, ষাটোর্ধ্ব আটজন, সত্তরোর্ধ্ব সাতজন, ৮০ বছরের বেশি বয়সি দুজন। তাদের ১১ জন ঢাকা বিভাগের, ১২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, পাঁচজন রাজশাহী বিভাগের, পাঁচজন খুলনা বিভাগের, একজন রংপুর বিভাগের, দুজন সিলেট বিভাগের এবং দুজন বরিশাল বিভাগের। ৩৩ জন মারা গেছেন হাসপাতালে এবং পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বাসায়। তিনি জানান, বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৪ হাজার ৩৩৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত ২৪ ঘণ্টায়। তাতে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল মোট ৬৬ হাজার ৪৪২ জনে।

তিনি বলেন, নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এখন পর্যন্ত রোগী শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৩ দশমিক ৩৫ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরও ৯৬০ জনকে এবং এ পর্যন্ত আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে ২৮ হাজার ৫০২ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭৭৫ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ১২ হাজার ৭৭৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ১৫ হাজার ৭৫৭ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে দুই হাজার ৮৯৪ জনকে, এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে তিন লাখ ৬৯ হাজার ১৮৯ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন হাজার ১৬৮ জন, এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন থেকে মোট ছাড় পেয়েছেন তিন লাখ পাঁচ হাজার ৫৮১ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৬৩ হাজার ৬০৮ জন।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top