সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১


অস্ত্র মামলায় পাপিয়া দম্পতির ২০ বছরের কারাদণ্ড


প্রকাশিত:
১২ অক্টোবর ২০২০ ২২:২৩

আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৪১

 

প্রভাত ফেরী: নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনকে অস্ত্র আইনের মামলায় ২০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকার এক নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ এই রায় ঘোষণা করেন।

অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯-এর ‘এ’ ধারায় অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে দুজনকে ২০ বছর করে এবং ১৯-এর ‘এফ’ ধারায় অবৈধভাবে গুলি রাখার দায়ে দু'জনকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুই ধারার সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে বলে পাপিয়া ও তার স্বামীকে মোট ২০ বছেরের সাজা খাটতে হবে।

রায় ঘোষণা উপলক্ষে আজ পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি উপস্থাপনে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি করেন এ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু ও অতিরিক্ত পিপি সাজ্জাদুল হক শিহাব।

নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক পাপিয়াকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুই সহযোগী, তার স্ব্বামী মফিজুর রহমান সুমনসহ আটক করে র‌্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ১১ হাজার ৪৮১ ডলার, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের কিছু মুদ্রা ও দুটি ডেবিট কার্ড জব্দ করা হয়।

পরে পাপিয়ার ফার্মগেটের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০টি গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড উদ্ধার করে র‌্যাব। অভিযান চালানো হয় পাপিয়ার নরসিংদীর বাড়িতেও। র‌্যাবের পক্ষ থেকে সে সময় বলা হয়, পাপিয়া গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেল ভাড়া নিয়ে 'অসামাজিক কার্যকলাপ' চালিয়ে যে আয় করতেন, তা দিয়ে হোটেলে কোটির টাকার ওপরে বিল দিতেন।

গ্রেপ্তারের পর পাপিয়া ও তার স্ব্বামীর বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র আইনে একটি ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি এবং বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়। বিমানবন্দর থানায়ও তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪-এর অধীনে একটি মামলা করা হয়। আর মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে সিআইডি আরেকটি মামলা করে। এরপর দুদকও পাপিয়ার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নামে।

এর মধ্যে শেরেবাংলা নগর থানার অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলায় গত ২৯ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দেয় র‌্যাব। ২৩ আগস্ট অস্ত্র মামলায় অভিযোগ গঠন করে ঢাকা মহানগরের এক নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক পাপিয়া ও সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top