সিডনী মঙ্গলবার, ১৬ই এপ্রিল ২০২৪, ৩রা বৈশাখ ১৪৩১


সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক-উল হক আর নেই


প্রকাশিত:
২৪ অক্টোবর ২০২০ ২১:২৯

আপডেট:
১৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:২১

 

প্রভাত ফেরী: দেশের স্বনামধন্য আইনজীবী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক উল হক আর নেই। আজ সকাল সাড়ে ৮টার সময় রাজধানীর মগবাজারের আদ্-দ্বীন হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান- ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

ব্যারিস্টার রফিক উল হক, দেশের আইন পেশার এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বের চির প্রস্থান ঘটলো জীবনের ৮৪ বছরে। বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক জটিলতায় অসুস্থ হয়ে গত ১৬ অক্টোবর রাজধানীর মগবাজারের আদ্-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

এদিকে সকালে আদ-দ্বীন হাসপাতাল প্রাঙ্গনে রফিক উল হকের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তার মরদেহ পল্টনে বাসায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে জানাজার জন্য মরদেহ নেওয়া হবে বায়তুল মোকাররমে। পরে বাদ জোহার তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে বিকালে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

দীর্ঘদিন নীরবে, নিভৃতে থাকা এই ব্যক্তিত্ব আইনজীবী হিসেবে ৫০ বছরে বর্ণিল কর্মময় জীবনে তিনি বিভিন্ন সময়ে হয়ে উঠেছেন কারো পরামর্শক কারো বা অভিভাবক। দেশের বড় বড় আর জটিল মামলার সমাধানে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে তিনি বিভিন্ন সময় ছিলেন আদালতের উচ্চ আদালতের সহায়ক।

১৯৩৫ সালের দোসরা নভেম্বর কলকাতায় জন্ম নেয়া রফিক-উল হক ১৯৫৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, ৫৭ সালে দর্শন বিষয়ে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৫৮ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। আর ১৯৬১ সালে তিনি বার-এট-ল ডিগ্রি অর্জন করেন। কলকাতা বারের সদস্য হিসেবে সেখানেই আইন পেশার শুরু ১৯৬০ সালে। ১৯৬২ সালে তিনি ঢাকার উচ্চ আদালতে আইন পেশা শুরু করেন এবং ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টে অ্যাডভোকেট হিসাবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৭৫ সালে তিনি সর্বোচ্চ আদালত, আপিল বিভাগে সিনিয়র আইনজীবী হিসাবে যোগ দেন। ১৯৯০ সালে তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে নিযুক্ত হন।

সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে আইনজীবী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ব্যারিস্টার রফিক উল হক। ওই সময় তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অনেক রাজনীতিবিদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াই করেছিলেন।

আইন পেশার পাশাপাশি রফিক উল হক আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য মাদার তেরেসা পদকসহ পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার ও সম্মাননা। জীবনের সব অর্জন টুকুও হাসপাতালসহ বিভিন্ন চ্যারিটি ফান্ডে দিয়ে দিয়েছেন তিনি।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top