এএসপি আনিসুলকে হত্যা করা হয়েছে: পুলিশ
প্রকাশিত:
১০ নভেম্বর ২০২০ ২২:৫৬
আপডেট:
১৩ মার্চ ২০২৫ ১৫:৩১

প্রভাত ফেরী: রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিমের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপির তেজগাঁও জোনের উপকমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়। সোমবার সকালে মাইন্ড এইড হাসপাতালে মানসিক রোগের চিকিৎসা নিতে গিয়ে হাসপাতালের কর্মীদের মারধরে আনিসুল নিহত বলে দাবি করেন স্বজনরা। পুলিশও প্রাথমিকভাবে এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে উল্লেখ করেছে।
পর দিন দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তেজগাঁও জোনের ডিসি হারুন অর রশীদ বলেন, ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনায় স্পষ্ট মনে হয়েছে- এএসপি আনিসুলের মৃত্যু অনাকাঙ্ক্ষিত নয়, এটি হত্যাকাণ্ড। কারণ যে ১০-১২ জন লোক তাকে পিঠ বেঁধে, মুড়ে, আছড়ে নিয়ে গেছে, তারা কেউ ডাক্তার না। তিনি বলেন, জাতীয় মানসিক হাসপাতাল থেকে হঠাৎ করে রোগীটা কীভাবে মাইন্ড এইড হাসপাতালে চলে গেল? এই দুই হাসপাতালের সঙ্গে কোনো দালাল জড়িত আছে কিনা, তা আমরা খতিয়ে দেখছি।
ডিসি হারুন বলেন, সেখানে গিয়ে রোগীটা প্রথমে ভালো ছিলেন। হঠাৎ করে দেখলেন যে, সে নিস্তেজ হয়ে গেছে। কিন্তু যখন আমরা ভিডিও ফুটেজ লক্ষ করলাম, সেখানে দেখলাম… আট থেকে ৯ জন লোক তাকে পিঠ মোড়াচ্ছে, তাকে মাথায় আঘাত করছে; তাকে বেঁধে ফেলছে এবং তাকে বিভিন্নভাবে জোর করে নিয়ে যাচ্ছে।’
এদিকে এএসপির মৃত্যুর ঘটনায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজারসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।এরা হলেন-মাইন্ড এইডের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয়, কো অর্ডিনেটর রেদোয়ান সাব্বির, কিচেন সেফ মাসুদ, ওয়ার্ড বয় জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম চন্দ্র পাল, লিটন আহাম্মদ, সাইফুল ইসলাম পলাশ ও ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান। তাদের প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
ডিসি বলেন, পুলিশের ৩১তম বিসিএস কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুলকে তো আর ফিরিয়ে আনতে পারবো না। তবে এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, এএসপি আনিসুল বরিশালে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু কয়েকদিন ধরে তিনি বেশ চুপচাপ থাকছেন লক্ষ্য করে পরিবারের সদস্যরা তাকে শ্যামলীতে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। কিন্তু কি এমন ঘটনা ঘটলো কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাকে আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে নিয়ে যেতে হলো?
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: