দেশের ২৪ পৌরসভায় বিএনপি ও আওয়ামীলীগের লড়াই আজ


প্রকাশিত:
২৮ ডিসেম্বর ২০২০ ২২:১৪

আপডেট:
১৩ মার্চ ২০২৫ ১৯:০১

 

প্রভাত ফেরী: প্রথম ধাপে দেশের ২৪ পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ সোমবার। এতে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীরা নৌকা প্রতীক এবং বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা ধানের শীষ প্রতীকে ভোটের লড়াইয়ে নামছেন। এসব পৌরসভায় প্রায় সোয়া ৬ লাখ ভোটার। সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে ভোটগ্রহণ। এবার ভোট নেয়া হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে। পৌরসভাগুলোতে মোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ১৬০জন প্রার্থী।

গত ২২ নভেম্বর প্রথম ধাপে ২৫টি পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। গাজীপুরের শ্রীপুরে একজন মেয়র প্রার্থীর মৃত্যু হলে এই ধাপ থেকে পৌরসভাটির ভোট স্থাগিত করে ইসি। এ ভোট নিয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনার পাশাপাশি কিছুটা শঙ্কাও রয়েছে প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে। নির্বাচনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে রয়েছেন বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।

রবিবার সব ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠিয়েছে নির্বাচর কমিশন (ইসি)। করোনাকালে এ নির্বাচনে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনাও দিয়েছে কমিশন। ভোট দেওয়ার আগে-পরে ভোট কেন্দ্রে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রথম ধাপে ২৪ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে। চার ধাপে এ নির্বাচন শেষ করবে কমিশন।

এবার দ্বিতীয়বারের মতো পৌরসভায় দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে। এবারও তৃণমূলের এ নির্বাচনে মূল লড়াই হবে নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে। তবে ভোটের মাঠে ছয় রাজনৈতিক দলের মেয়র প্রার্থী থাকলেও বেশ কিছু পৌরসভায় শক্ত অবস্থানে রয়েছেন বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীরা। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর দলীয় প্রতীকে একযোগে দেশব্যাপী ২৩৪ পৌরসভায় নির্বাচন হলেও এবার চার ধাপে এ নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচনে ২০ দলের প্রার্থীরা অংশ নিয়েছিলেন। ভোট পড়েছিল ৭৩ দশমিক ৯২ শতাংশ।

এবারে প্রথম ধাপে ২৪ পৌরসভায় ৬ লাখ ২৪ হাজার ৮০৭ জন ভোটার জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট দেবেন। তারা ২৪ জন মেয়র, ৭২ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও ২১৬ জন সাধারণ কাউন্সিলর নির্বাচিত করবেন। এ নির্বাচনে তিন পদে মোট ১১৬১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে মেয়র পদে ৯৪ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৬৬ এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৮০১ জন প্রার্থী নির্বাচনী লড়াইয়ে রয়েছেন।

ইসি জানিয়েছে, প্রথম ধাপে নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছেন— আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টিসহ ছয় দলের মেয়র প্রার্থীরা। পাশাপাশি মেয়র পদে লড়ছেন বেশ কিছু স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও।

ইসির জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্বাচন উপলক্ষে ভোটের দিন যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে, সেগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গত শনিবার মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সব নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। রোববার মধ্যরাত থেকে সোমবার রাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় ট্রাক ও পিকআপ চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনের গাড়ি এবং হাইওয়েগুলো নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২৪ পৌরসভার ৩১৯টি কেন্দ্রে ভোট হবে। এ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবেন পুলিশের ১২৭৬ জন, আনসার ২৮৭১ জন, র‌্যাবের ৭২ টিম ও ৫০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য। এ ছাড়া ৭২টি মোবাইল ফোর্স ও ২৪টি স্ট্রাইকিং ফোর্স নির্বাচনী কাজে দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচনী পরিবেশ-পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহল শুরু করেছে গত শনিবার থেকেই। চার স্তরের নিরাপত্তা থাকবে ভোটের পরের দিন পর্যন্ত। সঙ্গে রয়েছেন নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে মাঠপর্যায়ে ২৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top