সিডনী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১


ভারত থেকে টিকা রপ্তানিতে বাধা নেই


প্রকাশিত:
৫ জানুয়ারী ২০২১ ২৩:০৮

আপডেট:
৫ জানুয়ারী ২০২১ ২৩:১২

 

প্রভাত ফেরী: ভারত থেকে টিকা রপ্তানি নিয়ে কোনো জটিলতা নেই। টিকা রপ্তানি নিয়ে চলমান বিভ্রান্তি দূর করে সেরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়ার প্রধান নির্বাহী আদর পুনাওয়ালা এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ভারত থেকে সব দেশেই টিকা রপ্তানির অনুমোদন আছে। এক সাক্ষাৎকারে তার বক্তব্য নিয়ে দুদিন ধরে বিভ্রান্তি চলার পর মঙ্গলবার টুইট করে এ কথা জানালেন সেরাম ইন্সটিটিউটের প্রধান। টুইটে তিনি বলেন, যে কোনো দেশে টিকা রপ্তানির অনুমোদন রয়েছে। সেরামপ্রধানের বক্তব্যে ভারত থেকে বাংলাদেশে করোনার টিকা আমদানি নিয়ে বিভ্রান্তি দূর হলো। 

 

দুদিন আগে বেশ কয়েক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করে যে, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রথম কয়েক মাস বিদেশে রপ্তানি করবে না ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সেরাম ইন্সটিটিউট।

এপিকে দেয়া সেরাম ইন্সটিটিউটের প্রধানের বক্তব্যের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে– কয়েক মাসের জন্য ভ্যাকসিন রপ্তানির অনুমতি দেবে না ভারত সরকার। দেশটির জনগণ যাতে যথাযথভাবে ভ্যাকসিন পায় সে জন্য এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

 

সংবাদমাধ্যমে তার এ বক্তব্য ঘিরে উদ্বেগ তৈরি হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশসহ যেসব দেশে সেরামের মাধ্যমে টিকা পাওয়ার চুক্তি করেছে, তারা টিকা পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় পড়ে যায়। আগামী মাসের শুরুতে সেরাম ইন্সটিটিউটের কাছ থেকেই বাংলাদেশের ৫০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল। টিকার জন্য অগ্রিম হিসেবে ৬০০ কোটি টাকার বেশি সেরামের অ্যাকাউন্টে রোববার জমাও দেয়ার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু পর দিনই টিকা রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার খবর এলো।

 

এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেন, করোনাভাইরাসের টিকা রপ্তানি বন্ধের খবরটি তিনি গণমাধ্যম মারফত পেয়েছেন। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের কাছ থেকেই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে বলে জানতে পারি। এর পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা জানিয়েছেন, তারা এ ব্যাপারে কিছু জানে না। কী হয়েছে তারা জানার চেষ্টা করছে। আমরা এ নিয়ে ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছি।

 

তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, ভারত যদি নিষেধাজ্ঞা দেয়ও তা হলেও তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের যে উষ্ণ সম্পর্ক, তাতে আমাদের টিকা পেতে কোনো সমস্যা হবে না। প্রসঙ্গত, গত ২ জানুয়ারি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন দেয় ভারতের সরকার। টিকা রপ্তানি নিয়ে এরই মধ্যে সেরাম ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ, সৌদি আরব ও মরক্কোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করে।

 

চুক্তি অনুযায়ী সেরাম ইন্সটিটিউট ছয় মাসের মধ্যে তিন কোটি টিকা দেয়ার কথা বাংলাদেশকে। প্রতি মাসে ৫০ লাখ টিকা আসবে।

 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top