সিডনী সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১


ভারতের টিকা পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ: ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা


প্রকাশিত:
২৮ জানুয়ারী ২০২১ ১৮:০২

আপডেট:
২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:০৫

 

প্রভাত ফেরী: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, “বাংলাদেশ সরকার ভারত থেকে যে টিকা এনেছে, এটা পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ টিকা।”

২৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।

এই টিকা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে আনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিড-১৯ টিকা।

অধ্যাপক ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, পৃথিবীতে করোনার যত টিকা আবিষ্কার হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে এ (অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা) টিকা সবচেয়ে বেশি নিরাপদ, এটা প্রমাণিত। যে কোনো টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়, মানুষকে সচেতন করতেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা বলেছি। সুতরাং নির্ভয়ে এ টিকা নিতে পারেন দেশের মানুষ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, যখন একজন চিকিৎসক টিকা নেন, তখন তার কমিউনিটি আগ্রহী হয়। একইভাবে যখন একজন সাংবাদিক টিকা নেন, তার কমিউনিটিও আগ্রহী হয়। সব পেশার লোকজন যদি টিকা নেন, তখন তার কমিউনিটির অন্যরাও টিকা নিতে আগ্রহী হবেন।

টিকা নিরাপদ হলে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা নিচ্ছেন না কেন?

এমন প্রশ্নে অধ্যাপক সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, আমার মনে হয়, তারা জনগণের কথা চিন্তা করেই পরে টিকা নেবেন। জনগণকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দিচ্ছেন। জনগণের টিকা নেওয়া শেষ হলে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান নেবেন।

উল্লেখ্য, বুধবার ২৭ জানুয়ারি বিকালে দেশে টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি। রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে বিভিন্ন পেশার ২৬ জনকে ভ্যাকসিন প্রয়োগের মাধ্যমে শুরু হয়েছে প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ।

প্রধানমন্ত্রী ঘোষণার পরই ৫ জনকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়। প্রথম ভ্যাকসিন নেন রুনু ভেরোনিকা কস্তা। এরপর পর্যায়ক্রমে টিকা নেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আহমেদ লুৎফুল মোবেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা, ট্রাফিক পুলিশ মো: দিদারুল ইসলাম ও ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ। এসময় তাদের প্রত্যেককে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধনের পর অতি দ্রুত ৫ জনকে ভ্যাকসিন নিতে দেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ ব্যাপারে আগ্রহ দেখান। তবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আগে আগে নিলে বলবে, নিজেরাই আগে নিয়ে নিছে। সবাইকে না দিয়ে। সবাইকে দিয়ে নিই, তারপর নেব।”

আজ এ হাসপাতালের সঙ্গে আরও চারটি হাসপাতাল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও মুগদা জেনারেল হাসপাতালে মোট ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের পরিচালকরা।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top