সিডনী রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১


আমাদের গণতন্ত্র আমাদেরই ঠিক করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী


প্রকাশিত:
২৭ নভেম্বর ২০২১ ২২:২১

আপডেট:
৫ মে ২০২৪ ১৭:০৫

 

প্রভাত ফেরী: শুক্রবার সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নবনির্মিত কার্গো টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সবসময় নানা ইস্যুতে বিভিন্ন দেশকে চাপে রাখতে চায়। কখনো গণতন্ত্র, কখনো সু-শাসন, কখনো সন্ত্রাস আবার কখনো দুর্নীতির কথা বলে। এটাও একটা রাজনীতি।

কে দাওয়াত দিল না দিল তাতে কিছু আসে যায় না, আমাদের গণতন্ত্র আমাদেরই ঠিক করতে হবে। অন্য কেউ ঠিক করে দেবে না। 

এক দিনের সফরে সকাল ৯টার দিকে সিলেটে পৌঁছান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিমানবন্দের নেমেই নির্মাণাধীন নতুন কার্গো টার্মিনাল ঘুরে দেখেন। এ সময় সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 

পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র সম্মেলনে দাওয়াত না পাওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ নিয়ে এত চিন্তা কেন। সম্মেলন তো শত শত হচ্ছে দুনিয়াজুড়ে। নতুন বাইডেন প্রশাসন একটি উদ্যোগ নিয়েছে। বেচারা খুব কষ্ট করে এটা করেছে। এখনো ক্যাপিটালের যে ঘটনা তা সামাল দিতে হচ্ছে। এরকম একটি পরিপক্ব গণতান্ত্রিক দেশ সেখানেও ঝামেলা হয়। সেদিক দিয়ে আমরা খুব ভালো আছি। আর গণতন্ত্র অন্য কেউ শেখাবে না। দেশের লোকজনই শেখায়।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমেরিকার গণতন্ত্রের নমুনা তো দেখেছি, গণতন্ত্র সম্মেলনে কোন কোন দেশকে দাওয়াত দিয়েছে তাও দেখেছি। কাকে দাওয়াত দেবে এটাও তাদের বিষয়। তাই এসব নিয়ে চিন্তা না করে বাংলাদেশের কোনো দুর্বলতা থাকলে তা কীভাবে দূর করা যায় তা নিয়ে চেষ্টা করতে হবে।’

দুপুরে মন্ত্রী যোগ দেন ইউসেপ হাফিজ মজুমদার সিলেট টেকনিক্যাল স্কুলের ‘ইউসেপ কৃতী শিক্ষার্থী’ সংবর্ধনা ২০২১ অনুষ্ঠানে। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের অদক্ষ প্রবাসীরা দেশে ২৫ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন; যা জাতীয় বাজেটের বড় একটা অংশ। কারিগরি শিক্ষা নিয়ে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে বিদেশ গেলে রেমিটেন্সের পরিমাণ আগামীতে ১০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে বিশ্বাস করি। 

ড. মোমেন বলেন, মেধা ও ইচ্ছাশক্তি থাকলে সফলতার উচ্চ শিখরে পৌঁছা সম্ভব। আমরা পারি এটা মনের মধ্যে জাগাতে পারলে পড়ালেখায় কৃতিত্ব অর্জন সম্ভব। ইউসেপ সিলেটের শিক্ষকরা সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মননে আমরা পারি- এই মনোবল সৃষ্টি করায় শিক্ষার্থীরা অনন্য ও অসাধারণ ফলাফল অর্জন করতে পেরেছে। এজন্য আমি শিক্ষকদের ধন্যবাদ জানাই। 

ইউসেপ বাংলাদেশের চেয়ারপারসন পারভীন মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব মো. আবদুল করিম। 

আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক আনোয়ারুল ইসলাম ও ইউসেপ টেকনিক্যাল স্কুলের শিক্ষক তামান্না মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও সিলেট এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল হামিদুল হক, জালালাবাদ সেনানিবাসের স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিসের কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল চৌধুরী মোহাম্মদ আজিজুল হক হাজারী, ইউসেপ বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান ড. ওবায়দুর রব, সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজী এম এমদাদুল ইসলাম, সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পরিতোষ ঘোষ, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক ও সিটি কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, জকিগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যান লোকমান আহমদ, সিলেট উইমেন্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি স্বর্ণলতা রায়, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ প্রমুখ।

 


বিষয়: মোমেন


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top