সিডনী রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


কালাকুসের দুই সূত্রঃ


প্রকাশিত:
৪ এপ্রিল ২০১৯ ১৪:১৪

আপডেট:
১৯ মে ২০২৪ ০৯:৫৭

কালাকুসের দুই সূত্রঃ

রাজিব হাসান, পার্থ:ব্রিটিশগন এক সময় সারা পৃথিবী শাসন করিয়াছেন। উনারা আমাদের প্যান্ট পড়া শিখাইয়াছেন। কাহারো সহিত ধাক্কা লাগিলে ‘সরি’ আর কাহাকেউ পথ হইতে সরিয়া যাইবার জন্য ‘এক্সকিউজ মি’ বলিতে হইবে- তাহাও উনারা স্বযত্নে শিখাইয়াছেন। উনারা আরো অনেক কিছু শিখাইয়াছেন। কিভাবে মানুষকে গর্দভ বানাইয়া উহাদের শাসন করিতে হইবে, তাহাও উনারা শিখাইয়া দিয়া গেছেন। যাহারা গর্দভ হইয়াছে, তাহারা মৃত্যু অব্দি বুঝিতে পারে নাই যে , তাহারা গর্দভ ছিল। তাহারা শেষ কালে হাসিতে হাসিতে বলিয়া গেছে, হারিয়াছি ঠিক, কিন্তু আমাদের গর্দভ বানাইতে পারে নাই। ইহাতে বিজ্ঞ জনেরা ধারনা করিয়াছেন যে গর্দভ দুই প্রকারের ঃ প্রথম প্রকারের গর্দভ ঘাস খায় এবং দ্বিতীয় প্রকারের গর্দভ ভাত খায় (সূত্র নংঃ ১)।



যাহাহউক, এই জন্য আমরা আজ সভ্য জাতি। উনাদের অবদানের কথা যে কোন সভ্য মানুষ কৃতজ্ঞতার সহিত স্মরন করে একমাত্র গর্দভ ছাড়া । এই ব্রিটিশগন সংখ্যায় কিন্তু বেশী ছিলেন না। কিন্তু আল্লাহ পাক উনাদের অনেক বুদ্ধি দিয়াছিলেন। তবে উনারা কিছুটা কৃপন প্রকৃতির ছিলেন। যাহারা আজ লন্ডনে থাকেন, তাহারাও এক সময় স্বীকার করিয়াছেন, ইহারা একটু কৃপন প্রকৃতির। তাহারা কিরুপ কৃপন তাহার কিছু নমুনা তুলিয়া ধরিতেছিঃ তাহারা প্রথমে সরল মনের মানুষদের মধ্যে গন্ডগোল লাগাইয়া দিত। গন্ডগোলের জন্য উহাদের কিছু লোভ বা কিছু কথা ছড়াইয়া দিত যে ‘তোমার অনুগত বন্ধু তোমাকে বধ করিয়া তোমার হইতে সব কাড়িয়া লইবার পরিকল্পনা করিতেছে’। ইহা শুনিয়া সহজ সরল মানুষ গুলির প্রথমে আক্কেল গুরুম হইত। তাহার পৌরষত্ব জাগিয়া উঠিত। আক্কেল্ গুরুম হইয়া তাহারা বোধশূন্য হইয়া গর্দভে পরিনত হইত। ইহাতে এরা নিজেরা মারামারি করিয়া শেষ হইয়া যাইত, তখন ব্রিটিশগন বাশী ফু দিয়া দৌড়া আসিয়া যে আধ মরা হইয়া থাকিত, তাহাকে মারিয়া সব দখল করিয়া লইত। ইহাতে উনাদের গোলা বারুদের খরচ বাচিয়া যাইত।



উনারা আবার চুপিসারে কর্ম করিতে সিদ্ধ হস্ত। যেমন, সরল মনের মানুষরা যখন নিজেদের মধ্যে মারামারিতে ব্যস্ত থাকিত, তখন ব্রিটিশগন সব ভোগ করিয়া চুপিসারে সটকাইয়া পড়িত।



বিজ্ঞ জনেরা উনাদের এই পদ্ধতিকে ডিভাইড এন্ড রুল বলিয়া থাকেন (সূত্র নংঃ ২)



উনাদের এই পদ্ধতিকে যতই নিন্দনীয় বলা হউক না, আজ অব্ধি এই পদ্ধতির মাধ্যমে মানুষদের শাসন করা হইতেছে । কারন, সব কিছু জানার এবং বোঝার পরও ইহারা ছিল অসহায়, ইহার কারন ছিল সূত্র নং ১। পৃথিবীতে কেয়ামত আসা অব্দি, এই দুই সূত্র ‘ত্রিভুজের দুই বাহুর সমষ্টি তৃতীয় বাহু অপেক্ষা বৃহত্তর’ সূত্রের ন্যায় চির সত্য হইয়া কালাকুসের থিওরী হইয়া আছে।



কেহ যদি ইহাকে ক্যালকুলাসের থিউরী ভাবিয়া পরীক্ষার খাতায় উত্তর দিয়া আসেন, তবে শূন্য পাইবেন।



উৎপত্তি ঃ অনেকে হয়ত ভাবিতেছেন যে, এই সূত্র আমি স্বপ্নে পাইয়াছি , কিন্তু ইহা সত্য নহে । এক পরিচিত বন্ধুর অনুরোধে প্রবাসের তথাকথিত দলীয় এবং রাজনৈতিক সঙ্ঘটনের অতীব উৎসাহী কর্মীদের কান্ড এবং তান্ডব দেখিয়া আমার মাথায় এই সূত্র চলিয়া আসে, অনেকটা নিউটনের মাথায় আপেল পড়িলে যেভাবে গতি সূত্রের আবিস্কার হয় সেই রকম আর কি ।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top